Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচনী বছরে ‘নতুন উদ্যোগ নয়’ : অর্থমন্ত্রী

ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা চায় এফবিসিসিআই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

‘নির্বাচনী বছরে নতুন কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে না’ বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল বৃহস্পতিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৩৯তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলামসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে এনবিআর ও এফবিসিসিআই। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এবার নির্বাচনী বছর। নির্বাচনী বছরে নতুন উদ্যোগ নেয়া যায় না। পুরাতন ইস্যুতে কাজ করতে হয়। আগের নেয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নই মূল উদ্দেশ্য থাকবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখন অ্যাগ্রোপ্রসেসিং (কৃষিপ্রক্রিয়াজত) শিল্প ভালো করছে। সরকার এ খাতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আগামী বাজেটেও এটা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। তবে পোল্ট্রিতে কোনো প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব হবে না।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাজেটে সরাসরি রপ্তানি করা পণ্যে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে এনবিআরের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন করদাতারা আগের মতো হয়রানির শিকার হচ্ছেন না। ফলে এখন ৩০ লাখের উপরে করদাতা ছাড়িয়েছে। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো, করপোরেট করহার কমানোর দাবি করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন সার্বিকভাবে আমদানি শুল্ক ও মুসক সম্পর্কিত লিখিত বেশকিছু প্রস্তাব দেন। এর মধ্যে রয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা, করপোরেট কর ২ দশমকি ৫ শতাংশ কমিয়ে সব কোম্পানির করের হার নির্ধারণ করা।
ব্যক্তিগত করদাতার প্রদর্শিত নিট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জের শূন্য শতাংশের সীমা তিন কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। এছাড়া দ্বৈত করের নীতি বাতিলের দাবি করা হয়। রফতানির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাকের সব পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি করেন তিনি। দেশীয় শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল এবং রসায়নিক জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ শুল্কস্তর নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ১০ শতাংশের ওপরে যাচ্ছে না। তাই, করের আওতা বাড়িয়েই রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। রাজস্ব না কমিয়ে কিভাবে কর্পোরেট ট্যাক্স সুষম করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।



 

Show all comments
  • তামিম ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৫:৪২ এএম says : 0
    নির্বাচনী বছরে নতুন কোনো উদ্যোগ নিলে সমস্যা কোথায় ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এফবিসিসিআই


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ