Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যে কোনো মূল্যে সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে

আফতাব চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে পরিবেশ ও মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের আশপাশ এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৯০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে ২৪টি লাল চিহ্নিত। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমম্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার পর এ বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন এবং আগামী ৯ মে শুনানির দিনও ধার্য করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সুন্দরবন সংলগ্ন সংকটাপন্ন এলাকার বিদ্যমান শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকাসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্যাদির বিবরণ দাফতরিক নথি পর্যালোচনা ও সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় ৭৮টি, খুলনা জেলায় ৯২টি এবং সাতক্ষীরায় ২০ শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে অবশ্য ৪০টির মতো শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে। পরিবেশ দূষণ যাতে ভয়াবহ রূপ নিতে না পারে এবং সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যে যাতে কোন রূপ নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে এ লক্ষ্য সামনে রেখে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের চারদিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে রিট আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেন বলেছেন, সরকার আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করে বলেছে যে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে ২৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাটি, পানি ও বায়ু দূষণকারী অর্থাৎ লাল শ্রেণির অর্ন্তভুক্ত। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান কোনভাবেই সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে পারবে না। পরিবশেগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা (অ্যানভায়রনমেন্টাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া-ইসিএ) অর্ডিন্যান্স ১৯৯৯ অনুযায়ী প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকার মধ্যে এ ধরনের শিল্প শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকার সুযোগ নেই। এ ছাড়া বাকি যে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রভাব এর থেকেও বেশি।
রিট আবেদনটিতে বলা হয়েছে, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুন্দরবনের সংরক্ষিত বন এলাকা এবং এর চার পাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে। এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায়, ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দদূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। পরিবেশ অধিদফতর এরই মধ্যে প্রায় ১৫০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে, যার মধ্যে জাহাজভাঙা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্প রয়েছে বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেয়া সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ ও পরিবেশ আইন ১৯৯৫-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তা ছাড়া এসব শিল্পকারখানা সুন্দরবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে সুন্দরবনের পাশেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ইতোমধ্যেই পরিবশেবাদীরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। পরিবেশ নিয়েই প্রায় তিন যুগেরও বেশি সময় থেকে আমিও গবেষণা ও লেখালেখি করে আসছি, পেয়েছি জাতীয় পুরষ্কারও। আমারও সরকার বরাবরে বিনীত আবেদন থাকলো, দেশের পরিবেশ বিনষ্ট হয়, সুন্দরবন তথা সারাদেশের ক্ষতি হয় এমন কাজটি করতে সংশ্লিষ্ট মহল যেন বার বার চিন্তা-ভাবনা করে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে স্থাপনের পর যদি দেখা যায়, আমাদের উপকার না হয়ে অপকার হয় তাহলে তা আগে বাগেই বিবেচনা করা উচিৎ। পরিবশেবাদীদের দাবির প্রতি সরকারের বিশেষ বিবেচনার অনুরোধ আমার পক্ষ থেকেও থাকলো।
ক‘বছর আগেও বাংলাদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে বাঘ দেখা যেত হরহামেশাই। ইদানীং সুন্দরবন ছাড়া কোথাও বাঘের আনাগোনা নেই। জানা যায়, বন রক্ষকদের সাহায্যে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। বাঘ শিকারীরা বাঘনিধনে তৎপর কিন্তু যারা নিধন করছে তাদের সামাল দেয়া যাদের কর্তব্য, তারা নিরব। এদিকে বনভূমি সংকুচিত হওয়ার ফলে পরিবেশগত কারণে এবং খাদ্যাভাবে দিনে দিনে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। আমরা পত্র-পত্রিকায় প্রায় দেখি আমাদের মাননীয় মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকতারা দেশে যতটা বাঘ আছে বলে জানান দিয়ে থাকেন বাস্তবের সাথে তার মোটেই মিল নেই। অতি সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা কমে গেছে। পক্ষান্তরে ভারতীয় অংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনে দিনে সারাদেশেই বনভূমি সংকুচিত হচ্ছে আর এর সঙ্গে বাঘসহ সকল বন্য প্রাণির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। সোজা ও সরল ভাষায় বলতে হয়, আমাদেরকে অবশ্যই বাঘসহ সকল প্রকার বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে আন্তরিকতার সাথে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের এমনভাবে কথা বলতে হবে, কাজ করতে হবে যাতে কথা ও কাজে মিল থাকে। আমরা এখনই তৎপর না হলে সংরক্ষণে সততার পরিচয় না দিলে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন না করলে একদিন হয়ত বাঘ নামক প্রাণির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ ব্যপারে আর বিলম্ব করা ঠিক হবে না।
সারাবিশ্বে বছরে সমুদ্রতল বাড়ছে দুই মিলিমিটার করে। কিন্তু সুন্দরবনের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির মাত্রা অনেক বেশি। সুন্দরবন অঞ্চলের দ্বীপের মানুষের মনে দেখা দিয়েছে মৃত্যুভয়। জানা যায়, ইতোমধ্যে সুন্দরবনের মানচিত্র থেকে মুছে গিয়েছে বেশ ক’টি ছোট্ট দ্বীপ। ক’লক্ষ হেক্টরের সমুদ্র তীরবর্তী বদ্বীপ অঞ্চল সুন্দরবন ভারত আর বাংলাদেশের যৌথ সম্পত্তি। এই অঞ্চলটি বিশ্ব ঐতিহ্যস্থান। ইতিহাস প্রমাণ দেয়, ১২০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে এ অঞ্চলে মানুষের অনুপ্রবেশ ও বসবাস ঘটেছে। আজও সুন্দরবনের মাটি খুঁড়লে প্রাচীন মানব সভ্যতার অংশবিশেষের অস্তিত্ব মিলে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারের সময় থেকেই (১৭৮০ খ্রিস্টাব্দ) এ অঞ্চলে বসবাসের তাগিদে মানুষ তৎপর হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সুন্দরবনের অংশ দ্বীপের মধ্যে মানুষ নিজেদের বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস করছে। সুতরাং এখানকার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ নিদারুণভাবে মানুষের দ্বারা বিনষ্ট ও নিজস্ব বাস্ততন্ত্রের কাজকর্ম বিঘিœত হয়েছে। প্রকৃতিও বহুবার এ অঞ্চলে আঘাত হেনেছে এবং ভবিষ্যতেও হানবে এ কথা অনস্বীকার্য। আমাদের কাজকর্মে প্রকৃতির সঙ্গে এই সংঘাত আমরা যদি বাড়িয়ে চলি তবে আমাদের পরাজয় ঠেকানো অসম্ভব। কেন-না প্রকৃতির সঙ্গে কোনও যুদ্ধেই এ যাবৎকাল মানুষ জয়ী হয়নি। এই রকম মনোভাব থেকে গত তিন-চার দশক ধরে সুন্দরবনের মনুষ্য বসবাসকারী অংশে সরকারি উদ্যোগে বিপর্যয়ের পর ত্রাণ ও পুনর্বাসনের সঙ্গে পরিবেশ বান্ধব কিছু কাজকর্ম শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেগুলো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা মিলিয়ে করা হয়নি।
সুন্দরবনের বদ্বীপ অঞ্চল কৃষিউপযোগী উর্বর পলিমাটিতে তৈরি, যদিও মাটিতে নোনাভাবের প্রভাব কৃষিকাজের প্রতিবন্ধক। এই বাধাগুলো মানুষ তার নিজের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান দ্বারা দূর করার চেষ্টা করছে। সরকারিভাবে অবশ্য এ নিয়ে খুব বড়ো প্রকল্প বা সহায়তার কথা শোনা যায়নি। অথচ বহু প্রকল্পে সরকারি তরফে গবেষণা হয়েছে এবং তার অনেকগুলো নিদানের প্রয়োগও খুব সহজভাবেই সেখানে করা যায়। যেমন অগভীর পুকুর খুঁড়ে বৃষ্টির পানি ধরে রাখা, কৃষিভূমির সামগ্রিক উচ্চতা বাড়িয়ে তাতে চাষ করা। এ ছাড়া মাটির নীচের কৈশিক পানির চলন নিয়ন্ত্রণ করে মাটির নোনাভাব দূরীকরণ, পরিবেশবন্ধু কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করে মাটির নোনাভাব দূরীকরণ ইত্যাদি। এ ব্যবস্থাগুলোর বর্তমান অবস্থায় থাকা সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। কিন্তু সুন্দরবন প্রকৃতপক্ষে সমুদ্রের জোয়ার-ভাটার উপর বেঁচে থাকা বদ্বীপ-অঞ্চল, যা দিনে দু’বার সমুদ্রের জোয়ার ও ভাটার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই বিষয়টিই সুন্দরবনের টিকে থাকার ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। কেননা বিশ্ব উষ্ণায়ন সমুদ্রকে স্ফীত করে তুলছে এবং এই উচ্চ পানিতল সমুদ্রতল থেকে মাত্র ৩০ ফুট উঁচু সুন্দরবনকে নিমজ্জিত করার প্রয়াসে অনায়াসেই সফল হতে পারবে। কেননা সারাবিশ্বে প্রতিবছর সমুদ্রতল ২ মিমি করে বেড়ে চলছে, আর সুন্দরবনের অংশে প্রতিবছর ৩.১৪ মিমি করে বাড়ছে। এইভাবে চললে এ শতাব্দীর মাঝামাঝি সুন্দরবনের অধিকাংশ অংশই পানির তলায় তলিয়ে যাবে।
এসব চিন্তা-ভাবনা থেকে আমরা যদি এখনই কিছু করতে শুরু না-করি তবে বিপর্যয় তীব্র হবে, সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়বে এবং ওই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের চাপে মূল ভূখন্ডের মানুষেরও সমস্যা হবে। জনগণনা থেকে দেখা যাচ্ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে প্রচুর মানুষের বসবাস। সেই অঞ্চলটি ভীষণভাবে নিমজ্জমান ও ভূমিক্ষয় প্রভাবিত অঞ্চল। এ অঞ্চলের সাগর আগামী দশ বছরে তলিয়ে যেতে পারে। প্রমাণস্বরূপ ইতোমধ্যে বেশ ক’টি দ্বীপ সাগরে হারিয়ে গেছে সুন্দরবনের মানচিত্র থেকে। ১৯৬৯ সাল থেকে ২০০১ সাল অবধি সময়কালে এখানে আমরা হারিয়েছি ১৫০ বর্গকিমি অঞ্চল যদিও কিছুটা আমরা ফিরেও পেয়েছি, তবে তা মনুষ্য বসবাসের যোগ্য এখনও হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী দশ বছরে এই অঞ্চলের মানুষগুলো হয়ে যাবেন শরণার্থী। বিশ্ব-উষ্ণায়নের শরণার্থী। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের উদাহরণ হিসেবে পাঠ্যপুস্তকে এ বিষয়টি বিশ্বে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংযোজিত হবে। এখনই এ অঞ্চলের মানুষের মূল ভূখন্ডে কাজ খুঁজতে আর আশ্রয়ের তাগিদে চলে আসা দেখলে আন্দাজ করা যায় বিষয়টির অনিবার্যতা। ক’টি দ্বীপ ছাড়া মানুষের বসবাসের ন্যূনতম সুবিধা নেই। নেই স্বাস্থ্যসেবা। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ বা চিত্ত বিনোদনের স্থান। সরকারকে এসব অঞ্চলের জন্য গভীরভাবে চিন্তা করা দরকার। যেমন মূল ভূখন্ড সংলগ্ন দ্বীপগুলোকে সরাসরি রাস্তার মাধ্যমে যোগাযোগ বা ব্রিজের মাধ্যমে সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে অন্যান্য দ্বীপ থেকে এই শরণার্থী মানুষগুলোকে আশ্রয় ও তাদের জীবন বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া যেত। পরিবর্তে সরকার তাদের বসতজমিসহ সমস্ত দ্বীপ ফেরত পেত। এতে করে সুন্দরবনের সর্বত্র উন্নয়ন করার মতো অসম্ভব অলীক ভাবনার বাস্তবায়নের প্রয়াস নিতে হতো না। গড়ে উঠত প্রাকৃতিক পরিবেশের সুন্দরবন, তার জীবসম্পদ। আর ট্যুরিজম থেকে আয় হতো আরও রাজস্ব। দ্বীপভূমির বনজ সম্পদ, কৃষিজ উৎপাদন ও জৈববৈচিত্র্য বিশেষ অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চয় এনে দিত, যা কিনা সরকারি উন্নয়নের ব্যয়ের চেয়েও অনেক বেশি হতো বলে গভীরভাবে বিশ্বাস করি যুক্তি মেনেই। সুন্দরবনের অস্তিত্ব সুরক্ষা করা জাতীয় স্বার্থেই অপরিহার্য। প্রথমতঃ এমন কিছু করা যাবে না, বিশেষ করে এমন শিল্প-কারখানা সুন্দরবনের আশেপাশে গড়ে তোলা যাবে না, যাতে এর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিল্প-কারখানা দেশের অন্যত্রও গড়ে তোলা যায়। কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে গেলে তা আর বানানো যাবে না। দ্বিতীয়তঃ সুন্দরবনের উন্নয়নে ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা নিতে হবে যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া থেকে একে রক্ষা করা সম্ভব হয়। সরকার এ দুটি দিক বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ১৯৯৮ (স্বর্ণপদক -১ম)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুন্দরবন

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন