Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিরিয়ায় নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

পশ্চিমা হামলার পরে অবস্থান আরও পোক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে দুটি বিমান ঘাঁটিতে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা। সানা এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ছবি তাদের টিভিতে প্রচার করেছে। সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং ‘ওয়ার মিডিয়া’ জানায়, গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সাড়া দিয়েছে। ইসরাইল এসব হামলা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুটি বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। ওয়ার মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, হোমস শহরের মধ্যাঞ্চলে শায়রাত বিমানঘাঁটিতে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এদের অধিকাংশ নস্যাৎ করে দেয় সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ ছাড়া, তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র দামাস্কের উত্তরে কালামোন অঞ্চলের পূর্বে দুমাইর এলাকার দুমাইর বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়। তবে তিনটিই প্রতিহত করতে সক্ষম হয় সিরিয়া। প্যান আরব আল-মায়াদিন টিভি জানিয়েছে, দুমাইর থেকে বিদ্রোহীদের অন্য এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার জন্য সমঝোতার একদিন পর সেখানে বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটলো। পেন্টাগনের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ‘শনিবারের পর ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়নি। সোমবার রাতের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়।’ সানা তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইসরাইল এ হামলা চালিয়েছে। এর আগে গত ৯ এপ্রিল সিরিয়ার হোমসের টি-৪ বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। এ ঘটনায় ১৪ সিরীয় সেনা নিহত হন বলে জানায় সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। দৌমায় রাসায়নিক গ্যাস হামলার অভিযোগে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স বিমান হামলা চালালেও পূর্ব ঘৌতা ও এর আশপাশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাত বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে নিজের অবস্থান আরও পোক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ৭ এপ্রিল আসাদবাহিনী দৌমায় ক্লোরিন গ্যাস হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ পশ্চিমা শক্তিগুলোর; যার শাস্তি হিসেবে সপ্তাহখানেক পর দামেস্ক ও হোমসের তিনটি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী বিমান। পশ্চিমা শক্তিগুলোর এ হামলা সিরিয়ায় চলা বহুপক্ষীয় যুদ্ধের গতিপথ একটুও বদলায়নি বলে মন্তব্য রয়টার্সের, যতখানি বদলেছে দৌমায় সরকারি বাহিনীর সন্দেভাজন রাসায়নিক হামলায়। বছরখানেক ধরে আসাদ সমর্থক বাহিনীর ধারাবাহিক আক্রমণের পরও দামেস্কের কাছের এ শহরটি দাঁড়িয়ে ছিল বিদ্রোহীদের অন্যতম শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে; সন্দেহভাজন ওই গ্যাস হামলার কয়েক ঘণ্টা মধ্যেই ওই অবস্থার বদল ঘটে। অবরুদ্ধ অধিবাসীদের চাপ এবং একই ধরনের আরও হামলার হুমকির মুখে জইশ আল ইসলাম দৌমা ছেড়ে তুরস্কের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার দিকে চলে যেতে রাজি হয় বলে দাবি করেছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির শীর্ষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলৌশের। সপ্তাহখানেক পর পশ্চিমারা যখন হামলা চালাচ্ছে, ঘৌতার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসাদ তখন সিরিয়ায় নিজের ক্ষমতা আরো সংহত করেছেন। শনিবার প্রথম প্রহরে চালানো পশ্চিমা সামরিক হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাশিয়া ও সিরিয়া; দৌমায় কোনো ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথাও অস্বীকার করছে তারা। মস্কো বলছে, যুক্তরাজ্যের সহযোগিতায় এ মিথ্য নাটক সাজানো হয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের দাবি, গোয়েন্দা তথ্য এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে দৌমায় রাসায়নিক হামলার পেছনে যে সিরীয় সরকারের হাত ছিল তার ইঙ্গিত মিলেছে। যাই ঘটুক না কেন, কথিত ওই হামলার দিনটির পর ঘৌতার যুদ্ধক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। সিনহুয়া, রয়টার্স, বিবিসি।



 

Show all comments
  • বুলবুল আহমেদ ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:২০ এএম says : 0
    অনতিবিলম্বে এই যুদ্ধের অবসান হওয়া দরকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়া

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ