Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গণপরিবহনে নৈরাজ্য

রাজিবের মৃত্যুর পরও শ্রমিকদের টনক নড়েনি : যাত্রীরা অসহায়

নূরুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাজধানীতে দুই বাসের চাপায় প্রথমে হাত এবং পরে জীবনটাই হারিয়েছেন কলেজ ছাত্র রাজীব। লেখাপড়া করে বাবা-মা হারা ছোট দুই ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন তিনি। রাজিবের মৃত্যুর পর এতিম দুই ভাইয়ের কি হবে তা কেউ জানে না। রাজীব দেখিয়ে দিয়ে গেছেন- এই ঢাকা শহর একটা মৃত্যু ফাঁদ। এখানকার গণপরিবহন ব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে বিশৃঙ্খল।
অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে বাসে বাসে ধাক্কা লাগানো, যাত্রীদেরকে বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়া, বাসের ভেতরে ধর্ষণ করা, গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা, বিরতিহীন ও সিটিংয়ের নামে প্রতারণা করা-এগুলো হলো গণপরিবহণ শ্রমিকদের কাজ। অথচ এ নিয়ে মালিকপক্ষের কোনো মাথাব্যাথা নেই। রাজিবের মৃত্যুর পর কোনো মালিক তার ছোট দুই ভাইয়ের খোঁজ-খবরও নেননি। এ প্রসঙ্গে নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, যারা পরিবহনের ব্যবসা করছেন, তারা শুধু নিজেদের কথা চিন্তা করেন, যাত্রী ও পথচারীদের কথা ভাবেন না। গোটা রাজধানীতে শুধু গাড়ি আর গাড়ি। কোথাও ফাঁকা নেই। সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন এই নগরীতে কমপক্ষে ৩১৭টি গাড়ি নামছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি বা প্রাইভেট কার। দেশে নিবন্ধিত প্রাইভেটকারের ৭৫ শতাংশ চলছে রাজধানীতে। অথচ এসব পরিবহনে যাতায়াত করছে মাত্র ৮ ভাগ যাত্রী। বাকি ২৫ ভাগ যানবাহন ৯২ ভাগ যাত্রীকে বহন করছে। যানজটে প্রয়োজনীয় ট্রিপের এক তৃতীয়াংশ ট্রিপও পূরণ হচ্ছে না প্রতিদিন। এতে করে পরিবহণ শ্রমিকরা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। নিত্যনৈমিত্তিক ভোগান্তিতে পড়ছে নগরবাসী।
এসব ছাড়াও ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে লক্কর ঝক্কর মার্কা বাস। আছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত আসন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা না থাকাসহ ভাড়ার নিয়ে চরম অনিয়ম। অনেকের মতে, বর্তমান সরকারের আমলে পাল্লা দিয়ে দেশের সব সেক্টরে উন্নতি হলেও নগর পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি হয়নি। এখানে যাত্রীদের অভিযোগ শোনার মতো যেনো কেউ নেই। বিআরটিএ সূত্র জানায়, ঢাকা শহরের আয়তন ও জনসংখ্যা বিবেচনায় কতো গাড়ি চলাচল করতে পারবে তার কোনো পরিসংখ্যান বিআরটিএ’র কাছে নেই। এ বিষয়ে সরকারি কোনো পরিকল্পনা বা নির্দেশনাও নেই। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, যাত্রীদের সমস্যাগুলো দেখার দায়িত্ব নগর বা মেট্রো আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির (আরটিসি)। কিন্তু সেই কমিটি দখল করে রেখেছেন সরকার সমর্থিত পরিবহন মালিক ও শ্রমিক কমিটির নেতারা। যে কারনে যুগ যুগ ধরে যাত্রীরা ভোগান্তি পোহালেও এ নিয়ে কথা বলার কেউ নেই।
নগরীর বিভিন্ন রুটের বাস যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুধুমাত্র বাসে চলাচল করার মতো নিশ্চয়তা কখনও থাকে না। সরকারী ছুটি ছাড়া অধিকাংশ কার্যদিবসে পিক আওয়ারে সময়মতো বাস পাওয়া যায় না। একটা বাস আসলে সেটাতে হুড়োহুড়ি করে যাত্রীরা উঠতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। আবার একই স্থান থেকে কোন বাস আগে যাবে এ নিয়ে চলে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েই দুই বাসের মাঝখানে পড়ে রাজিবের মৃত্যু হয়েছে। অথচ রাজিবের মৃত্যুর পর এতোটুকু টনক নড়েনি পরিবহণ শ্রমিকদের। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেও গুলিস্তানে দুই বাসের মধ্যে এরকম প্রতিযোগিতা করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, নগরীতে রুটভিত্তিক গাড়ির সংখ্যা বিন্যাস নেই। যে রুটে বেশি বাস দরকার সেই রুটে বাস কম। আবার যে রুটে যানজট কম বা লাভ বেশি সেই রুটে যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেক বেশি। পরিবহন মালিকদের অভিযোগ, তারা ইচ্ছা করলেই রুটভিত্তিক বাস নামাতে বা বাড়াতে পারেন না। এতে প্রধান বাধা মালিক সমিতি। মালিক সমিতির অনুমোদন ছাড়া কোনো রুটেই বাস নামানো যায় না। কয়েকজন মালিক অভিযোগ করে বলেন, মালিক সমিতির নেতারা লাভজনক রুটগুলো দখল করে রেখেছেন। সে কারণে তাদের লোকসান গুনতে হয় না।
বাস ভাড়া নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি চলছেই। ২০১৬ সালে বাস বাড়া পূননির্ধারণ হওয়ার পর প্রথম দিকে ভাড়া নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এখনও শুভঙ্করের ফাঁকির আড়ালে সেই বিশৃঙ্খলা আছে। বিরতিহীন, সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রীদের সাথে প্রতারণা চলছেই। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য মতে, বিগত ২৬ বছরে ৩ দফা জ্বালানী তেলের দাম কমার পর দেশের পরিবহন সেক্টরে ভাড়া কাগজে কলমে কমানো হলেও বাস্তবে কমেনি। ২০০৮ সালের ২৫ অক্টোবর ৫৫ টাকার ডিজেল ৭ টাকা কমে ৪৮ টাকা হলে পরিবহন ভাড়া যাত্রী প্রতি কিলোমিটারে ০৭ পয়সা কমানো হয়। ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারী ৪৮ টাকার ডিজেলের মূল্য কমে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করায় যাত্রী প্রতি বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ০৪ পয়সা কমানো হয়। এরপর পরিবহন মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পরিবহন সেক্টর শিল্পখাত ঘোষণা ও জ্বালানীর মূল্য ৪৪ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাস ভাড়া যাত্রী প্রতি কিলোমিটারে ০৫ পয়সা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে কাগজে কলমে ভাড়া কমানো হলেও প্রকৃতপক্ষে কোন বাস-মিনিবাস ভাড়া কমে নি। সরকার জনস্বার্থে জ্বালানীর মূল্য কমালেও গুটি কয়েক পরিবহন মালিক এই সুবিধা ভোগ করছে।
এদিকে, নগরীতে চলাচলকারী বাসগুলোতে ৩৭ টি আসনের অনুমোদন দেয়া হয়। এর বেশি আসন থাকলে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু তারপরেও নগরীতে চলাচলকারী ৯৮ ভাগ বাসই ৪১ আসনের। পরিবহন মালিকরা জানান, মাঝে মধ্যে বিআরটিএ-এ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে নিজেদের স্বার্থে। কড়াকড়ি আরোপ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষের পরিমাণ বাড়ে। কিন্তু ৪১ আসনের বাসের ফিটনেস বন্ধ হয় না।
এছাড়া মহিলা যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা বাধ্যতামূলক হলেও অধিকাংশ বাসে তা নেই। এতে করে নারী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এখনও নগরীতে চলাচলকারী বেশিরভাগ বাসের ছাদ ফুটো। বৃষ্টি এলে যাত্রীদের মাথায় পানি পড়ে। জানালায় গøাস নেই। এ কারণে বৃষ্টি থেকে রেহাই মেলে না।
এসব অনিয়ম ছাড়াও রাজধানীর রাস্তার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মুলে হলো সিটি সার্ভিস বাসগুলো। রাজধানীর এমন কোনো স্থান নেই যেখানে বাস দাঁড়ানো থাকে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রাবাড়ী থেকে রায়েরবাগ, কমলাপুর থেকে শাজাহানপুর, মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে দিলকুশা, মহাখালী থেকে নাবিস্কো, কল্যাণপুর থেকে গাবতলী, মোহাম্মদপুর সাতরাস্তা থেকে ধানমন্ডি, আদাবর থেকে শ্যামলী, রামপুরা ব্রীজ থেকে বনশ্রী পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে দিনে-রাতে সব সময় বাস ও মিনিবাস দাঁড় করানো থাকে। বাসের সারিতে রাস্তায় যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। রাস্তায় চলাচলের সময় যেখানে ‘দাঁড়ানো যাবে না’ বলে সাইনবোর্ড দেয়া থাকে সেখানে বেশি বেশি দাঁড়ায় বাসগুলো। এতে করে পেছনে যানবাহন আটকা পড়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। তাতেও ভুক্তভোগি ওই যাত্রীরাই।
জানা গেছে, ঢাকার রাস্তায় দুই লাখ যানবাহন চলাচল করার কথা থাকলেও চলছে ১০ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। এর মধ্যে গণপরিবহনের সংখ্যা অতি নগণ্য। গণপরিবহনের মধ্যে দ্বিতল বাস, বাস ও মিনিবাস রয়েছে ৩০ হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু চলছে মাত্র চার হাজার। রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও চলছে ধুঁকে ধুঁকে। এ অবস্থায় গণপরিবহন খাতে সৃষ্টি হয়েছে চরম অব্যবস্থাপনার। যা যুগ যুগ ধরে চলছে। এ থেকে বের হতে কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনাও নেই।
রাজধানীতে যানজটের সাথে এখন বড় সমস্যা হলো দুর্ঘটনা। এমন কোনো দিন নাই, যেদিন রাজধানীর রাস্তায় দুর্ঘটনায় সাধারণ যাত্রী, আরোহী বা পথচারীরা হতাহত হন না। কলেজ ছাত্র রাজিব যেদিন আহত হন সেদিন ফার্মগেইটে আরও এক মহিলা আহত হয়েছিলেন। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেসরকারি এক হিসাব মতে, ২০১৫ সালে সারাদেশে দুই হাজার ৬২৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই নিহত হয় ২২৭ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ অতি মুনাফা অর্জনের অসুস্থ প্রতিযোগীতা, অদক্ষ এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়ে গাড়ি চালানো। সেই সাথে যাত্রীদের অসচেতনাও দায়ী। বিজ্ঞানভিত্তিক যাতায়াত ব্যবস্থা গণপরিবহণগুলোকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় আনাসহ নিয়মবর্হিভূত সড়ক ব্যবহার বন্ধ হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে। পরিবহণ বিশেষজ্ঞ এবং বুয়েটের শিক্ষক ড. শামসুল হক বলেন, পুরো ঢাকা শহরকে যদি বাস দিয়ে সেবা দিতে হয়, তাহলে ৬টা কোম্পানি দিয়ে এই ২২টা রুটকে কাভারেজ দেওয়া যায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, শহর ও জনসংখ্যা অনুপাতে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিতে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা থাকা জরুরি ছিল। দিন দিন রাজধানীর জনসংখ্যা বাড়ছে, গাড়িও প্রয়োজন- এই বিবেচনায় যানবাহনের নিবন্ধন চলছে। এখানে কোনো পরিকল্পনা নেই। অথচ পুরো বিষয়টি এখন একটি সিস্টেমের মধ্যে আনা উচিত। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, যাতায়াত ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা এবং সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে মালিক শ্রমিকের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে যাত্রীদের। একই সঙ্গে কৌশলগত পরিবহণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ রুট পারমিটের ক্ষেত্রেও ভালোভাবে যাচাইবাছাই করতে হবে। ##



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৪১ এএম says : 0
    জনগন বলছেন, “ কেমন আছি – ২০১৮ “ গতি নিয়ন্ত্রনহীন গাড়ীর চালক যাত্রীর নিরাপত্তায় সবাই উদাসীন, খবরের কাগজে চোখ পড়লেই চাকায় পিষ্ট, হত্যা, ধর্ষন প্রতিদিন ? আন্দোলনে অত্যাচার, বুলেট বিদ্ধ এ যেন হয়ে গেছে রুটিন, কটোক্তির বাজার এক চেটিয়ে হারিয়ে গেছে মান-সন্মান ৷ মানবতা হারিয়েছে মান বিবেকের কর্মকর্তা এখন শয়তান, র্দুনীতি আজ বৈধতার রূপে পদোন্নতির চাবিকাঠি ইলেকশান ৷
    Total Reply(0) Reply
  • Aafif Nabhan ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:৫৭ এএম says : 0
    আর কত প্রাণ গেলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে ?
    Total Reply(0) Reply
  • মামুন ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:০৪ এএম says : 0
    বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হোক
    Total Reply(0) Reply
  • আবু নোমান ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:০৫ এএম says : 0
    এখনই গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে এটা দেশের জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • তামান্না ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:০৫ এএম says : 0
    যাতায়াত ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা এবং সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে মালিক শ্রমিকের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে যাত্রীদের।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণপরিবহন

৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ