Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মৎস্যখাতে স্বয়ম্ভরতা অর্জনকে অবশ্যই টেকসই করতে হবে

এসডিজি শীর্ষক কর্মশালা

| প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:৩২ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পরিবেশ ও পানি দুষণ থেকে মুক্তি পেতে হলে দেশের ভরাট হওয়া নদী ও হাওড়-বাওড়ের খনন এবং মৎস্যখাতের ওপর জোর দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে মৎস্যখাতের স্বয়ম্ভরতা অর্জনকে অবশ্যই টেকসই করতে হবে বলেও তারা দাবি করেছেন। গতকাল শনিবার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এসব দাবি করেন তারা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রইছউল আলম মন্ডলের সভাপতিত্বে কর্মশালা উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। এতে বক্তব্য রাখেন জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান, মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি মোঃ গোলজার হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের প্রফেসর ড. নির্মল চন্দ্র রায়, মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। মৎস্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন এবং বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার ওপর মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দফতরের উপপরিচালক ছালেহ আহমদ।
উন্নয়ন অভিযাত্রায় মৎস্যখাত টেকসই, স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও এসডিজি প্রেক্ষিত শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা সারাদেশের পরিবেশ দুষণ ও পানিদুষণ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করা, ভরাট নদী ও হাওড়-বাওড়ের খননকার্য এবং মৎস্যখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ২০২১ সালে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে মৎস্যখাতের স্বয়ম্ভরতা অর্জনকে অবশ্যই টেকসই করতে হবে। মাছের স্বয়ম্ভরতাকে ধরে রেখে ভ্যালু এডেড মৎস্যপণ্য উৎপাদনের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। কাঁচা ও রান্না করা মাছের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে পারলে যেমন ব্যস্ত ভোক্তাদের লাভ হবে তেমনই উৎপাদনকারীরাও ন্যায্যমূল্য পাবে। কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় সারাদেশ থেকে সকল কর্মকর্তারা। কর্মশালার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সারাদেশের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে মৎস্যখাতের চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা-সম্ভাবনা চিহ্নিত করা। দু’ভাগে বিভক্ত কর্মশালার ১ম পর্বে আগত অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উন্মুক্ত আলোচনা এবং সমস্যাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর এবং ২য় পর্বে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রকল্পের উপস্থাপনা, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তিসেবা, বিভাগওয়ারী আলোচনাসহ মুক্ত-আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী মৎস্য অফিসারগণ মৎস্যখাতের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং মৎস্য উৎপাদনে স্বুয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ধারা টিকিয়ে রাখতে পরামর্শ দেন। মৎস্যমন্ত্রী মৎস্য চাষের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিবরণ দিয়ে কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিকদের এলাকা ও পরিবেশ ভিত্তিক মাছ চাষের প্রযুক্তির আবিস্কারসহ মাছের রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারেও অবদান রাখার আহবান জানান। তিনি পানি দুষণ এবং নদী খননের প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ভিত্তিক সভার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, নিরাপদ খাদ্য এবং মাছের অভয়াশ্রয় নিশ্চিত করতে আমরা উদ্যোগ নেবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবেশ ও পানি দুষণ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ