প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় নাটোরের লালপুরে প্রেমিক প্রেমিকা আত্মহত্যা করেছে। আজ রোববার এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, প্রেমিক এজাজুল করিম ও প্রেমিকা পপির মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো। শনিবার রাতে এজাজুল তার পিতাকে পপির সাথে বিয়ে দেবার জন্য বলে। এজাজুলের পিতা আনছার আলী বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় এজাজুল অভিমান করে সেই শনিবার রাতে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে পপিও আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। প্রেমিকা পপি পাটিকাবাড়ি বেলায়েত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেয়। প্রেমিক এজাজুল করিমশনিবার রাতের কোন এক সময় নিজ ঘরের তীরের সাথে গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। আজ রবিবার সকালে ঘরের তীরের সাথে গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে লালপুর থানার পুলিশ। নিহত এজাজুল উপজেলার নবীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে ও পাবনা পলিটেকনিক্যালের সিভিল শাখার ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিল। প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে একই উপজেলার এবি ইউনিয়নের শ্রী রামগাড়ি গ্রামের সাজদার রহমানের মেয়ে প্রেমিকা পপি (১৬) আজ রবিবার সকাল ১০ টার দিকে ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে পপিকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পপিকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ব্যাপারে লালপুর থানা ওসি আবু ওবায়েদ জানান, এজাজুলের আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হিতের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে আসার কিছুক্ষন পরেই পপির মৃত্যুর খবর পায়। দু’জনের লাশ উদ্ধার শেষে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে আত্মহত্যা ঘটনাটি প্রেম ঘটিত বিষয়ে কিনা তা এখনো বলা যাচ্ছেনা। তদন্তকরে নিশ্চিত করে বলা যাবে। তবে স্থানীয়ভাবে এমনটি শোনা যাচ্ছে।