Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উভয় বাজারের সকল মূল্যসূচকের পতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আবারও টানা পতনে দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের মতো দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও দেশের উভয় বাজারের সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় সাত পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৮০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় সাত পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৪৮ পয়েন্টে।
এদিকে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পতন বাজারেও দর বৃদ্ধিতে কিছুটা হলেও দাপট দেখিয়েছে বীমা ও ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলো। তবে বেশিরভাগ ব্যাংক ও প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠানের দরপতনের কারণে উভয় বাজারের সকল সূচক কমেছে।
গতকাল সবকটি মূল্যসূচকের পতন ঘটলেও লেনদেনের বেশিরভাগ সময় তা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে শেষ ঘণ্টায় বাজার টানা নিম্নমুখী থাকে। মূলত একের পর এক ব্যাংক ও প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠানের দরপতনের প্রভাব অন্য খাতের ওপরে পড়ায় বাজার নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। দিন শেষে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুা কমেছে। লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামও কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৫২টির; আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির দাম।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারের বিভিন্ন খাতের মধ্যে বীমা ও বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বেশি। কিন্তু এই খাতের কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন তুলনামূলক কম। যে কারণে বেশি সংখ্যক কোম্পানি নিয়েও বীমা খাত মূল্যসূচকের উত্থান বা পতনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে না। অপরদিকে ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম হলেও এ খাতের বাজার মূলধন অনেক বেশি। যে কারণে সূচকের ঊত্থান-পতনে ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬টি ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টি ব্যাংকের শেয়ারের দাম। অপরদিকে তালিকাভুক্ত ৩৬টি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টির শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১৫টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির দাম। এদিন শেয়ারের দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষে থাকা বীমা খাতের কোম্পানির সংখ্যা ২৯টি। বিপরীতে দাম কমেছে ১২টি বীমার। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির এবং একটির শেয়ার লেনদেন হয়নি।
এছাড়া এদিন ওষুধ খাতের ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯টির এবং ৩টির অপরিবর্তিত রয়েছে দাম। বীমা ও ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর এমন দাপটের মধ্যেও ব্যাংক ও প্রকৌশল খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের কারণে লেনদেনে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৯২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় ছয় কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার কম লেনদেন হয়েছে।
অপর বাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৪৯ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে ৮২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩১টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মূল্যসূচকের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ