Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এলপিজি ব্যবসা বৃদ্ধি প্রয়োজন
নয় বছরে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। বর্তমানে কদাচিৎ লোডশেডিং হয়। জ্বালানি গ্যাসের উৎপাদনও বৃৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তা দেশের প্রয়োজন পুরোপুরি মেটাতে পারছে না। বিকল্প হিসেবে সরকার বিপুল এলএনজি আমদানির ব্যবস্থা করে গ্যাসের প্রয়োজন পূরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশে খুব দ্রæত এলপিজির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিকাংশ এলপিজি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ করছে। এলপিজি সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারের অবদান মোটেই উল্লেখযোগ্য নয়। দেশে এলপিজির মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার অপেক্ষা খুব বেশি এবং সরবরাহও নিয়মিত নয় বিধায় ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই অসুবিধার সৃষ্টি করছে। বর্তমানে সিংহভাগ এলপিজি গৃহস্থালি রান্নার কাজে ব্যবহূত হয়। ক্ষুদ্র শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান এলপিজি ব্যবহার করে থাকে। ভোক্তাদের এলপিজি আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে নিয়মিত সরবরাহের জন্য দেশের অর্ধেক এলপিজি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরবরাহ করা সময়ের দাবি। এলপিজি তুলনামূলকভাবে ক্লিন জ্বালানি বলে পরিচিত। সরকার বছরে পাঁচ লাখ টন এলপিজি সরবরাহ করলে এলপিজি ব্যবসায় শৃঙ্খলা অর্জিত হবে। প্রতিযোগিতার কারণে ভোক্তারা যৌক্তিক মূল্যে নিয়মিত এলপিজি পাবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পাঁচ লাখ টন এলপিজি সরবরাহের পদক্ষেপ নিলে দেশের এলপিজি ব্যবহার বৃৃদ্ধি পাবে, ভোক্তারা নিয়মিত এলপিজি পাবে এবং মূল্যও যৌক্তিক হবে।
মো. আশরাফ হোসেন
ব্যাংক টাউন, সাভার, ঢাকা

সুনামগঞ্জে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চাই
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভূ্দ্যয়ের পর থেকে শিক্ষাক্ষেত্র সমপ্রসারিত হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষায় স্নাতকদের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়লেও এসব স্নাতকের অনেকেই বেকার বা স্বল্প বেকার জীবনযাপন করছে। এটা জাতীয় অপচয়। লাখ লাখ শিক্ষিত যুবক বেকার জীবনযাপন করলেও দেশের অনেক বৃহৎ শিল্প-কারখানা বিদেশি কারিগরি ও পেশাদার লোকবল নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এর প্রধান কারণ দেশে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ লোকের অভাব। এমনকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও বিদেশি পেশাদার লোক দেশে কাজ করছে। শিল্পোদ্যোক্তারা অধিক বেতন-ভাতা প্রদান করে বিদেশি লোকবল নিয়োগ করছেন। বাংলাদেশের সুযোগ হচ্ছে আগামী ১০-১৫ বছরে এক বিশাল সংখ্যার তরুণ কারিগরি কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উপযুক্ত হবে। তাদের জন্য কর্মক্ষেত্র তৈরি একটা চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের বিদেশেও পাঠানো যাবে। তাই দেশে বেসরকারি উদ্যোগে মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে তেমন আগ্রহী না হওয়ায় সরকারকেই ভূমিকা নিতে হবে। সুনামগঞ্জ জেলায় কোনো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ভূমিকা রাখতে পারে। এমতাবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. বিল্লাল হোসেন
সেন্ট্রাল বাসাবো, ঢাকা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন