Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তৈরি পোশাক ওষুধসহ ৩৬ পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিন -সফররত থাইমন্ত্রীকে বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৮, ১০:১০ পিএম
  • থাই ভিসা সহজ করার আহবান

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের ১০০টি প্রকল্পে প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে থাইল্যান্ড বিনিয়োগ করলে একটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন বরাদ্দ প্রদান করা হবে। এ জন্য সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প নগরীতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে রফতানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত নগদ আর্থিক সহায়তার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। একই সঙ্গে থাইল্যান্ড ভ্রমন ও ব্যবসার জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই ভিসা প্রক্রিয়াকরণকে সহজ করার আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় সফররত থাইল্যান্ডের ইনভেস্টমেন্ট এন্ড ইকোনমিক রিফর্মস বিষয়ক মন্ত্রী কোবসাক পুটরাকোল এর নেতৃত্বে থাই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সাথে এফটিএ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ মূহুর্তে থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে ৬ হাজার ৯৯৮টি পণ্য রফতানি ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করছে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৪৮ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৭৮১ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, ওষুধসহ যে সকল পণ্য থাইল্যান্ডে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এমন আরো ৩৬টি পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানানো হয়েছে। তিনি আশা করেন, আগামী ২০২১ সালে উভয় দেশের বাণিজ্য দুই বিলিয়রনন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। গতবছর বাংলাদেশে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেষ্টমেন্ট তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ছিল। এ বছর আরো বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ^মানের ওষুধ প্রস্তুত করছে। বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে থাইল্যান্ডে ওষুধ রফতানি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
থাইল্যান্ডের ইনভেস্টমেন্ট এন্ড ইকোনমিক রিফর্মস বিষয়কমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। বিনিয়োগের বিষয়ে বিডার সঙ্গে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের সাথে পর্যটন, ফাইনান্স, ম্যান্যুফ্যাকচারার্সসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাণিজ্য করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক বিশ^ সেরা। আগামীতে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে আরো ঘনিষ্ট ভাবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীস বসু, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইন, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম, থাইল্যান্ডের ডেলিগেশন সদস্যরা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যমন্ত্রী

২৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ