Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ওষুধ নির্ভরশীলতা নিয়ে কিছু কথা

মেজর (অব.) রেজা উল করিম | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 বাংলাদেশের যে কোন একজন সাধারণ নাগরিককে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, গত দশ বা বিশ বছরে দেশে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে কোন সেক্টর? সেক্ষেত্রে চিকিৎসা খাত তথা হাসপাতাল, ক্লিনিক, ঔষধের দোকান বৃদ্ধির কথাই অধিকাংশ মানুষ বলার কথা। সাধারণ দৃষ্টিতেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে কিন্ডার গার্ডেন স্কুল, বিউটি পার্লার ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানই গত এক বা দুই দশকে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে বলে প্রতিয়মান হয়। পাড়ার অলিতে গলিতে এখন ঔষধের দোকান। অথচ চিকিৎসাকে সাধারণত আমরা সেবা খাত হিসেবে জানি, ব্যবসা বা বাণিজ্য খাত হিসেবে নয়। চিকিৎসা খাতের এ বিস্তার যতটা না সেবার উদ্দেশ্যে তার চেয়েও বেশি বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে। চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ও ঔষধের দোকানের এই বিস্তার প্রমাণ করে আমাদের দেশে অসুস্থতার হার অনেক বেশি। এমন পরিবার পাওয়া বর্তমান সময়ে কঠিন, যে পরিবারের কোন না কোন সদস্য সপ্তাহে কোন ধরনের ঔষধ সেবন করেন না। অর্থাৎ, আমাদের দেশের অধিকাংশ পরিবারেই ঔষধ একটা নিয়মিত অনুষঙ্গ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন অবস্থা ধারণ করেছে যে, ঔষধই জীবন। কিন্তু কেন এই ঔষধ নির্ভরতা কিংবা কেনইবা অসুস্থ হওয়ার এই প্রবণতা?

এই ঔষধ গ্রহণ প্রবণতা বা ঔষধের উপর নির্ভরশীলতা একদিনে তৈরি হয়নি। গর্ভকালীন অপুষ্টি, শিশুকালীন খাদ্যাভ্যাস, বিশুদ্ধ পানির অভাব, বায়ু দূষণ, ভেজাল খাদ্য, খাদ্য উৎপাদনে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও বিভিন্ন কেমিক্যালের ব্যবহার প্রভৃতি কারণ এর জন্য দায়ী। খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনের সময় অতিরিক্ত ফলনের জন্য রাসায়নিক পদার্থের উপর অধিক নির্ভরশীলতা খাদ্যের গুণগত মান নষ্ট করার পাশাপাশি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। অন্যদিকে জন্মের পর থেকেই আমাদের সমাজের একটা বড় অংশের মায়েরা শিশুকে বুকের দুধের পরিবর্তে অন্য বাজারজাত খাদ্যের উপরও নির্ভরশীল করে যা শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
আমাদের সমাজের একটা বড় অংশ বিশেষ করে শিশু ও তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ট্যাব, ভিডিও গেমসের উপরে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা তাকে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ করে দেয়। এর পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ এ ধরনের প্রযুক্তির সামনে বসে থাকার কারণে শরীরের স্বাভাবিক চলালচ ব্যহত হয়। যেখান থেকে চোখ, মস্তিষ্ক, মেরুদÐসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আমাদের আগের প্রজন্ম অবসর সময় কাটানোর জন্য মাঠে যেত, খেলাধুলা করত, বন্ধুদের সাথে সরাসরি আড্ডা দিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে এগুলো অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে খেলার মাঠ নেই, বিনোদনের খোলা জায়গা নেই, পার্ক নেই, এমনকি স্বাভাবিক নিরাপত্তাও নেই। যে কারণেও তথ্য প্রযুক্তির উপরে নির্ভরশীলতা বেড়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে এটা আসক্তির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যার কারণে অনিদ্রা, অরুচিসহ বিভিন্ন সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। তথ্য প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত তরঙ্গও মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যা থেকেও বিভিন্ন শারিরীক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা।
ঘুম আসছে না অথচ সকালে জলদি উঠে ক্লাসে যেতে হবে বলে অনেকেই ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে নেয়। প্রতিদিন খাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ কখনো ঘুমের ঔষধ খাওয়া শুরু করে না। প্রথমে হয়তো মাসে একটি বা দুটি, পরে ক্রমশই বাড়তে থাকে এর সংখ্যা। ঘুমের অভাব যে কী পরিমাণ অস্বস্তিকর, কেবল সেই জানে যার অনিদ্রার সমস্যা আছে। তাই ঘুমের জন্য কাতর ব্যক্তি ঘুমানোর জন্য ঘুমের ঔষধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শারিরীক পরিশ্রমের অভাবের কারণে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে অনিদ্রার প্রকটতা বেশি। আবার খুব বেশি টেনশন কিন্তু ঘুমটাও প্রয়োজন তা ভেবেও অনেকে এই ট্যাবলেট খাচ্ছেন। এরকম নানা কারণে যখন তখন কেউ ঘুমের ট্যাবলেট খায়। অনেকে ভাবে অভ্যাস তো আর করছি না তাহলে সমস্যা কোথায়। কিন্তু এর মধ্যে দিয়েই সে ট্যাবলেটের প্রতি নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এর থেকে হরমনের সমস্যা ও পরিবর্তন হয়। যে পরিবর্তন মানসিক অবসাদগ্রস্থতা থেকে শুরু করে একজনকে লিভার, কিডনি এমনকি ক্যান্সারে পর্যন্ত আক্রান্ত করতে পারে। ঘুমের ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে খুব কম মানুষই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ফার্মেসি থেকে কেনা যাচ্ছে প্যাথেড্রিন থেকে শুরু করে এটিভেন, মাইলাম, ডর্মিকামের মতো উচ্চমাত্রার ঘুমের ওষুধ। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ হলেও অধিকাংশ ঔষধের দোকানে গিয়ে নাম বলতেই কেনা যাচ্ছে ওষুধগুলো।
বর্তমান সময়ে দূষণ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। যে কোন সময়ের চেয়ে বিভিন্ন ধরনের দূষণের হার বর্তমানে অনেক বেশি। যার মধ্যে পানি দূষণ, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, মাটি দূষণ অন্যতম। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এর একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০টি বড় বড় রোগের কারণ ১২ ধরনের পরিবেশ দূষণ। তার মধ্যে শব্দ দূষণ অন্যতম। একাধিক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা শহরের শব্দ দূষণের মাত্রা ৬০ থেকে শুরু করে কোনো কোনো স্থানে ১০৬ ডেসিবল পর্যন্ত রয়েছে। যা মানুষের শারীরিক-মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির অন্যতম কারণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সাধারণত শব্দকে মাপা হয় ডেসিবলে বা ডিবিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বসতি এলাকায় দিনের বেলা ৫৫ ডিবি, রাতে ৪৫ ডিবি হওয়া উচিত। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৬৫ ডিবি, রাতে ৫৫ ডিবি, শিল্পাঞ্চলে দিনে ৭৫ ডিবি, রাতে ৬৫ ডিবির মধ্যে শব্দ মাত্রা থাকা উচিত। আর হাসপাতালে ইত্যাদি সাইলেন্স জোন বা নীরব এলাকায় দিনে ৫০, রাতে ৪০ ডিবি শব্দ মাত্রা থাকা উচিত। অর্থাৎ এই মাত্রার মধ্যে থাকা আমাদের মধ্যে সহনীয়। এর বেশি হলেই দূষণ হিসেবে তা চিহ্নিত হয়।
ঢাকা শহরে বর্তমানে প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শব্দ, বায়ূ ও পানি দূষণ। বহুমাত্রিক এসব দূষণে কানে কম শোনা, হৃদরোগ, উচ্চ-রক্তচাপ, স্থায়ী মাথাব্যথা, ক্ষুধামন্দা, অবসাদগ্রস্থতা, নিদ্রহীনতাসহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ঢাকার অধিবাসীরা। এর মধ্যে শব্দ ও বায়ূ দূষণ আমাদের স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। ঢাকা শহরের রাস্তায় গাড়ির বিকট হর্ন এবং কালো ধোঁয়া পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এর পাশাপাশি রাস্তার পাশের ডাস্টবিন থেকে উপচে পড়া ময়লা পরিবেশে দূষিত করছে। শীতকালে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় ফলে ঐ সময়ে পরিবেশ দূষণের নেতিবাচক প্রভাব আরও প্রকট আকার ধারণ করে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনার স্তূপ পরিবেশের পাশাপাশি পানিও দূষিত করে থাকে। ঢাকা শহরের পরিবেশ নিয়ে সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। ঢাকা শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশুদ্ধ এবং সুপেয় পানির তীব্র সংকট রয়েছে। এছাড়াও বাতাসের বিষাক্ত সিসা, কার্বন ডাই অক্সসাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, সালফার বাতসের ধূলি কণায় নিঃশ্বাসের সাথে শ্বাস প্রণালীতে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ফুসফুস ক্যান্সার, কিডনি ডেমেজ, লিভারে সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ধরনের সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত করছে আমাদের। নানা ধরনের জটিল রোগ আক্রান্ত হয়ে পড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত আমাদের প্রজন্ম।
অন্যদিকে, ঔষধের ঢালাও এবং ভুল ব্যবহার হচ্ছে। ডাক্তাররা ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বেশি লিখছেন। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে ঔষধের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে গ্রাহকের ওপর আর্থিক চাপ পড়ছে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সমস্যা অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে বেশি। এছাড়াও একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক এন্টিবায়োটিক ক্রেতা ডাক্তারের যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই এন্টিবায়োটিক কিনে থাকেন। ঔষধের প্রতি অধিক ঝোঁকের নানা কারণ থাকতে পারে। রোগ নির্ণয়ের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকেরা বেশি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকতে পারেন। পাশাপাশি এন্টিবায়োটিক বিক্রির ওপর নজরদারির ব্যবস্থা নেই বলে এর অপব্যবহার হচ্ছে বেশি। এন্টিবায়োটিক ছাড়াও যে কোন ঠুনকো সমস্যার কারণেও অনেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন ঔষধ সেবন করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে ঔষধ বিক্রেতাই ডাক্তার সেজে বসেন। কোন রকমের একটা তিন মাসের কোর্স করা অথবা কোন হাসপাতালে কিছুদিন যে কোন পদে চাকরি করা অথবা কোন ডাক্তারের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা অথবা বড় কোন ফার্মেসিতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েই ডাক্তারি পেশায় নাম লিখানো ঔষধ বিক্রেতার সংখ্যা আমাদের সমাজে নেয়াহেত কম নয়।
সা¤প্রতিক সময়ে দেশের বেশ কয়েকটি ‘নামকরা’ হাসপাতালে অপচিকিৎসায় রোগী মারা যাওয়া ও সংকটাপন্ন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসা সেবার অব্যবস্থাপনা নতুন করে আমাদের সামনে এসেছে। মুনাফালোভী, অসৎ ও মানবিক মূল্যবোধহীন কিছু ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যোগসাজশ করে রোগীদের জিম্মী করছে, অপচিকিৎসা দিচ্ছে, ব্যক্তিগত ক্ষোভের প্রতিশোধ রোগীর উপর নিচ্ছে। টাকার লোভে প্রয়োজনাতিরিক্ত ঔষধ দিচ্ছে, ডায়াগোনসিস টেষ্ট করতে দিচ্ছে, সাধারণ সমস্যাকে জটিল আকারে উপস্থাপন করে রোগীর মনে ভীতি তৈরি করছে। এমনকি বিল বাড়ানোর জন্য মৃত রোগীকে আইসিইউতে রাখার মতো অমানবিক কাজগুলো আমাদের দেশের তথাকথিত বড় হাসপাতালগুলোতে বিরল নয়।
প্রত্যেক অভিভাবকই চায় তার প্রিয়জন নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত থাকুক, ভালো ও নিরাপদ চিকিৎসা গ্রহণ করুক। এ জন্য অনেক কষ্ট করে টাকা জমা করে হলেও ভালো হাসপাতালে ভর্তি হয়। আর এ সুযোগটাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অসাধু ডাক্তাররা নেয়। পাঠকমাত্রই জানেন, বাংলাদেশে কিছু স্বনামধন্য হাসপাতাল রয়েছে। যেগুলো খুব ব্যয়বহুলও বটে। এখানকার রোগীদের একটি বড় অংশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত। তুলনামূলক কম ক্ষমতাসম্পন্ন যে লোকজন সুনামের মায়াজালে বিভ্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হয়ে শোষণ, নিপীড়ন ও অবহেলার শিকার তারাই বেশি হন।
সর্বোপরি অপুষ্টি, দূষণ, পরিবেশ সমস্যা, ঔষধের সহজলভ্যতা ও অপব্যবহার, খাদ্যাভ্যাস বিভিন্ন কারণেই আমাদের দেশের একটি বড় অংশের মানুষ জন্মের পর থেকেই ঔষধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ নির্ভরশীলতা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মানসিক শক্তি, কর্মক্ষমতা, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, মনোযোগ ও ইচ্ছা শক্তিকে নষ্ট করে দেয়। যার কারণে বর্তমানে আমরা এমন একটা প্রজন্ম পাচ্ছি যারা কায়িক পরিশ্রমে চরম অনীহা পোষণ করে, ধৈর্য্যরে অভাবের কারণে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে, মাদকাসক্ত হয়, মানসিক অবসাদে ভোগে। সার্বিকভাবে, সামগ্রিক পরিবেশের উন্নয়ন ও ঔষধের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কমাতে না পারলে আগামী প্রজন্ম দেশের জন্য বোঝা হিসেবে আবির্ভূত হবে।
লেখক: নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওষুধ

২৬ জানুয়ারি, ২০২২
১১ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন