Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়া সবাইকে বের করবো : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৮ এএম, ৭ মে, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার : এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কমার ক্ষেত্রে প্রশ্নফাঁসের কোনও প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এবার এসএসসি পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মূল্যায়নে সমতা আনার কারণে এমনটি হয়েছে। শিক্ষার মান বেড়েছে। খাতা মূল্যায়ণে কড়াকড়ি করা হয়েছে। আগের মতো আর নম্বর দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। গতকাল (রোববার) সচিবালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারের ফলাফলে ইতিবাচক দিক হলো পাসের হার কমেছে। আমরা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছি। মূল্যায়নে সমতা আনার জন্য এই পরিবর্তন। শিক্ষকরা যাতে ভালো করে খাতা দেখেন, ভালো করে না দেখেই যেন নম্বর না দেন। সেদিক থেকে ভালো করে খাতা দেখার ফলে পাসের হার কমেছে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার মান এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতবারও পাসের হার কমেছে, এবারও পাসের হার কমেছে। তবে দেখা দরকার মূল্যায়নটা সঠিক হয় কিনা। আমাদের শিক্ষার্থী বাড়ছে। সবাই ফেল করছে তা নয়। মূল্যায়নের পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণে এবার সার্বিকভাবে পাসের হার কমেছে। আগে অনেকে খাতা না দেখেই নম্বর দিয়ে দিতেন। এবার আমরা কড়াকড়ি করেছি। এখন ভালো করে খাতা দেখার ফলে গতবারের মত এবারও পাসের হার কমেছে। বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বিইডিইউ) কয়েক বছর গবেষণা করে পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে নতুন কাঠামো নির্ধারণ করে দিয়েছে।
কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বোর্ড ফল বিশ্লেষণ করবে। কুমিল্লা বোর্ড গত দুই বছর খারাপ ফল করে। আমাদের তাগিদ ছিল, বোর্ডকে সজাগ করেছি। সব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে সেখানে ব্যাপক প্রচেষ্টা নিয়েছি যেন ঘাটতি পূরণ করতে পারে, এখন সমতায় আসছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবার টানা দুই বছরের চেষ্টায় কুমিল্লা বোর্ডে এবার ভালো ফল হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আনুমানিক পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর সবাইকেই খুঁজে বের করা হবে জানিয়ে নাহিদ বলেন, এদের সবাইকে আমরা খুঁজে বের করতেছি, কেউই রেহাই পাবেন না। ওই সময় অনেকে ধরা পড়েছে, ১৫৭ জন জেলে আছে, ৩২টি মামলা হয়েছে। পরে আরও শতাধিক গ্রেফতার হয়েছে, জেলে আছে। যারা একবার গ্রেফতার হয়েছেন, ধরা পড়েছেন তাদের সবার পরীক্ষা, ছাত্র জীবন, শিক্ষা জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এতে কোনো সন্দেহ নাই। প্রশ্ন কেনা বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যারা লেনদেন করেছেন তাদেরকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এবারের এসএসসি পরীক্ষার ১৭টির মধ্যে ১২টি বিষয়ের এমসিকিউ অংশের ‘খ’ সেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল বলে সরকারের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছিলেন, পরীক্ষার আগে ওই এমসিকিউ প্রশ্ন পেয়েছে পাঁচ হাজারের মত পরীক্ষার্থী। যেহেতু মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখের বেশি এবং যেহেতু সৃজনশীল অংশের কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, সেহেতু কোনো পরীক্ষা বাতিল করা হবে না। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মাহবুবুর রহমান ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। #######

 



 

Show all comments
  • লাবনী ৭ মে, ২০১৮, ২:২১ এএম says : 0
    আল্লাহ দোহাই লাগে, ভাষণ না দিয়ে প্রশ্নফাঁস বন্ধ করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Najnin Umme Zakia ৭ মে, ২০১৮, ১:১৫ পিএম says : 0
    Seta abar kivabe korben sir.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষামন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ