Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পিএসজির ট্রেবলের সাক্ষী নেইমার

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ফরাসি ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম কোন শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল তৃতীয় সারির দল লেস হার্বিয়ের্স। কিন্তু তাদের স্বপ্নটা পূরণ হতে দেয়নি শক্তিশালী প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। পরশু রাতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের স্তাদে ডি ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে উল্টো হার্বিয়ের্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে ঘরোয়া ট্রেবল জিতে নিয়েছে উনাই এমেরির দল। এটি ছিল তাদের রেকর্ড বর্ধিতকরণ ১২তম ফ্রেঞ্চ কাপ শিরোপা। সেই সাথে ঘরোয়া প্রতিযোগীতায় য় টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত রইলো পিএসজি।
শিরোপা না জিতলেও আন্ডারডগ হিসেবে আসরের শুরু ও শেষটা দুর্দান্তভাবেই করেছে হার্বিয়ের্স। ফ্রেঞ্চ কাপে টানা দশ ম্যাচ পর পরাজয়ের স্বাদ পেল তারা; যার শুরু হয়েছিল মাত্র ২১৭জন সমর্থকদের সামনে, আর শেষটা হলো প্রায় ৭৪ হাজার দর্শকের সামনে। ফাইনাল ম্যাচে তাদের জন্য টিকিট নির্ধারণ ছিল ১৫ হাজার। যা প্রায় লেস হার্বিয়ের্সের মোট জনসংখ্যার সমান!
তবে ফাইনালে তাদের পেরে ওঠা আসলেই দুষ্কর ছিল। পিএসজির মত শক্তিশালী দলের কাছে মাত্র ২ গোল খাওয়াকেও তাই তাদের অর্জন বলে ধরে নেয়া যায়। এডিনসন কাভানি-কিলিয়ান এমবাপে-ডি মারিয়াদের মত আক্রমণ নিয়েও হার্বিয়ের্সের রক্ষণ ভাঙ্গতে বেগ পেহাতে হয়েছে আগেই ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান ও লিগ কাপজয়ী পিএসজিকে।
২৬তম মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর গোলের পর জয়নিশ্চিতকরণ দ্বিতীয় গোলের জন্য ৭৪ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ফরাসি জায়ান্টদের। সেই গোলটিও আসে পেনাল্টির সুবাদে। এই গোলে দলের জয় নিশ্চিত করেন উরুগুয়ান স্ট্রাইকার কাভানি। শুরুর ২০ মিনিটে অবশ্য তিনবার তাদের গোলবঞ্চিত করে বারপোস্ট। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপের একটি গোল বাতিল করে ভিডিও অ্যাসিসট্যাস্ট রেফারি। হার্বিয়ের্স পিএসজির গোলে তাদের একমাত্র শটটি নিতে পারে ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে।
পায়ের অস্ত্রোপাচার শেষে প্যারিসে ফেরা দলের ব্রাজিলীয় তারকা নেইমার স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে ম্যাচ উপভোগ করেন। ম্যাচ পরবর্তী উদযাপনে সতীর্থদের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ উনাই এমেরি বলেন, ‘আমাদের এই মৌসুমটি নিয়ে আমি খুশি।’ যদিও পিএসজি মৌসুম শুরুই করেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ের সুপ্ত বাসনা নিয়ে। কিন্তু শেষ ষোলয় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে সেই স্বপ্ন চূর হয় তাদের। মৌসুম শেষেই ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে এই স্প্যানিশ কোচের। যেটি আর নবায়ন হবার সম্ভাবনা ক্ষীন। ঘরোয়া ফুটবলে ‘ট্রেবল’ জিতে বিদায় নেয়ার সৌভাগ্য হলেও সেকথা তাই ভোলেননি এমিরি,‘ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ব্যর্থতাটিকে বাদ দিলে বছর জুড়ে ভাল খেলেছে ছেলেরা। তারা সব সময় চেস্টা করেছে অধিক সংখ্যক গোল করার।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নেইমার


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ