Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চুরি ও লুটপাটে ঝুঁকির মুখে অর্থনীতি

প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ আবদুল কাহহার
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় আবার বাংলাদেশ!’ এমন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলছে। মানি লন্ডারিং হলো-একটি অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রম। আইনত এটি একটি ফৌজদারী অপরাধ। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে সেই সম্পদের আংশিক বা পূর্ণ অংশ রূপান্তর বা এমন কোন বৈধ জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়, যাতে করে সেই বিনিয়োগকৃত সম্পদ থেকে অর্জিত আয় বৈধ বলে মনে হয়, তাই মানি লন্ডারিং। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪১টি দেশ নিয়ে গঠিত এপিজিএমএলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) খসড়া মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অর্থায়ন বিষয়ে মানদ- নির্ধারণকারী এশিয়া অঞ্চলের এ সংস্থার প্রতিবেদেনটি দেশের জন্য বড় ধরনের হুঁশিয়ারি বার্তা। অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অর্থায়ন-সংক্রান্ত ১১টি মানদ-ের বিচারে সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আইনি কাঠামোতে দুর্বলতা থাকায় ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) ‘ধূসর’ বা ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় বাংলাদেশর নাম শুরু থেকে থাকলেও ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আইসিআরজি প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আসে। কিন্তু এ বছর আবারও আগের মতো ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বলে গবেষণা সংস্থাগুলো তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। সূচক নির্ধারণের নিয়ামকগুলোর একটি বাদে বাকিসবগুলোতো মধ্যম ও নি¤œমানে রয়েছে বাংলাদেশ। অর্থ পাচার কমছে না, ক্রমশ বেড়েই চলছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদন বলছে, গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে ৫ হাজার ৫৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪০ কোটি। এই অর্থ চলতি অর্থবছরের মোট বাজেটের প্রায় দেড় গুণ। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে। গত এক দশকে অর্থ পাচারের বিবেচনায় ১৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২৬ নম্বরে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে মোট ৫ হাজার ৫৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা। ২০১৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ছিল ১৪৫টি দেশের মধ্যে ৫১তম। ‘সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদের শেষ বছরে ২০১৩ সালে’ (সমকাল, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫)।  
এছাড়া সম্প্রতি পানামার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর গোপন নথিতে ২৫ বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকার কথা জানা গেছে। এর মধ্যে ২টি কোম্পানি, একজন সুবিধাভোগী ও ২২ জন শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এক এমপির নামও রয়েছে। ‘পানামা পেপারস’ নামে ওসব নথি প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)। ওই তালিকায় বিশ্বের বাঘা বাঘা রাষ্ট্রপ্রধানসহ শতাধিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও আত্মীয়স্বজনের কর ফাঁকি দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ার প্রমাণ রয়েছে। জার্মান দৈনিক জিটডয়েচ সাইতংয়ের অনুসন্ধানী সাংবাদিক বাস্তিয়ান ওবারমেয়ারের হাতে এসব নথি আসে। তারা এটাকে তুলে দেন আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক সংস্থা আইসিআইজের কাছে। পরবর্তীকালে যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান, ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বাংলাদেশের নিউএইজসহ ৭৮টি দেশের ১০৭টি সংবাদমাধ্যম এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে। সোমবার ১ কোটি ১৫ লাখ নথি প্রকাশ করা হয়।
আইসিআইজের হস্তগত মোসাক ফনসেকার গোপন নথি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী বিদেশে কোম্পানি স্থাপন করে কর ফাঁকি দিচ্ছেন। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও তার স্ত্রী নিলুফার জাফরের নাম। যদিও সংশ্লিষ্টদের অনেকেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে এসব ভিত্তিহীন প্রচারণা এবং তারা বৈধভাবেই ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তবে অনেকেই মনে করছেন, এর মধ্য দিয়ে এদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ লোপাটের নানা ফন্দি-ফিকিরের যে হিমশৈল গড়ে উঠেছে তার চূড়াটাই কেবল দৃশ্যমান হলো। হয়তো আরও কিছু দেখা যাবে নথিগুলোর বিস্তারিত প্রকাশের পর।   
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার (৮০০ কোটি টাকা) ডিজিটাল ডাকাতি বা ডিজিটাল চুরির ঘটনা প্রথমে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের প্রভাবশালী দৈনিক ইনকোয়ারারে প্রকাশিত হয়। ইনকোয়ারারের সূত্র ধরে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ পায় গত ২ মার্চ। ৭ মার্চ থেকে আরো জানাজানি হয়। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থমন্ত্রী স্বয়ং ঘটনাটি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে গণমাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। অপরদিকে রিজার্ভ চুরির তদন্ত এখনো অন্ধকারেই ঘুরপাক খাচ্ছে । রিজার্ভ চুরির তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। মানি লন্ডারিং নাকি হ্যাকিং এর মধ্যেই তদন্ত ঘুরপাক খাচ্ছে। রিজার্ভ চুরি হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটিকে হ্যাকিং প্রমাণ করতে ব্যস্ত। তবে রিজার্ভ চুরির আগে-পরের ঘটনা পর্যালোচনা ও অন্য বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে একে কেউ হ্যাকিং বলছেন না। ব্যাংকের সাড়ে ৪ হাজার কম্পিউটারের মধ্যে ৫০টিকে গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষা করে বিদেশি হ্যাকারদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আইটি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা ছাড়া কোনভাবেই এই চুরি করা সম্ভব নয়। অথচ চুরি তদন্তে বাংলাদেশের তিনটি কমিটি কাজ করলেও তাদের তদন্তে দেশীয় কারো সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়নি। এখন কোন কথাটিকে যৌক্তিক মনে হবে, আইটি বিশেষজ্ঞদের নাকি তদন্ত কর্মকর্তাদের? এর জবাব হয়তো কোনো দিনই পাওয়া যাবে না।
তাছাড়া রিজার্ভ চুরির পর অর্থমন্ত্রীর অতি উৎসাহী কর্মকা- এবং গভর্নরের পদত্যাগ নিয়েও ধূ¤্রজাল আছে। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, নতুন গভর্নর যোগ দেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার মধ্যে অধিকাংশ সময় প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার প্রবণতা সব সময়ই লক্ষ করা যায়। প্রকৃত অপরাধীদেরকে বাঁচাতেই নানা নাটক ও কল্পকাহিনী তৈরি করা হয়। সরকার গঠিত যে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে তাদের কাজে-কর্মের অগ্রতিরও খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সময় যতই অতিবাহিত হচ্ছে প্রকৃত সত্যই ততই চাপা পড়ছে। একটি বিষয়ের সাথে অন্য একটি বিষয় যেন জড়িয়ে আছে। কেননা ইতোমধ্যেই রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(এফবিআই)। শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা এফবিআইয়ের কর্মকর্তদের সাথে দুই দফা এবং সিআইডির পক্ষ থেকে বৈঠক করা হলেও এর পর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাকে বাংলাদেশে কোনো ঘটনার তদন্ত করতে হলে সরকারের সম্মতি লাগবে। সেই ধরনের অনুমতি সরকারের পক্ষ থেকে না পাওয়ায় এফবিআই কোনো তদন্ত করতে পারছে না। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তদন্ত কাজে এফবিআইয়ের সহযোগিতা চাওয়া তো দূরের কথা তাদের সাথে বৈঠক করার কথাও অস্বীকার করা হচ্ছে। জাতীয় স্বার্থে তদন্ত সংস্থাকে তদন্তের অনুমতি দিতে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করবার কথা কিন্তু বাস্তবচিত্র হচ্ছে তার বিপরীত। হ্যাকিং প্রমাণ করতে প্রতিঘণ্টায় কয়েকশ ডলার পারিশ্রমিক দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কিন কোম্পানি মে-িয়ানের সঙ্গে চুক্তি করলেও এফবিআইকে কেন তদন্তে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না সেটিও জানা দরকার।
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে যে ধরনের অগ্রগতি থাকার কথা সে ধরনের অগ্রগতি নেই। দেশে একের পর এক ব্যাংক লুট হচ্ছে। ব্যাংক অফিসারের ড্রয়ারে, বাসায় বিছানাভর্তি অবৈধ টাকার স্তূপ! বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির ঘটনায় দেশের মানুষ স্বস্তিতে নেই। ব্যাংক থেকে টাকা চুরিকে হ্যাকিং বলে চালিয়ে দেওয়ার মতো অসৎ চিন্তা নিঃসন্দেহে বড় কোনো ষড়যন্ত্রের অংশবিশেষ। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রণালয় কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে তাও দৃশ্যমান নয়। অপরাধীচক্রের হাত এতই শক্তিশালী যে, তাদের গ্রেফতার তো দূরের কথা তাদের নামগুলোও গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে না। দেশে যখনই কোন বড় ধরনের কেলেঙ্কারি ঘটে যায় তখনই সে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে নতুন করে অন্য একটি ইস্যু সৃষ্টি করা হয়। তনু হত্যার মতো অসংখ্য মেয়ে ধর্ষিত হওয়ার খবর এদেশে নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবরের কাগজই যার স্বাক্ষ্যবহন করে। তনুর মতো আরো অনেকেই হত্যাকা-ের শিকার হয় এবং হচ্ছেন। আমরা প্রতিটি ঘটনারই তীব্র নিন্দা জানাই এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোকÑএটাই প্রত্যাশা। দুঃখজনক হলো অধিকাংশ ঘটনাই আড়ালে থেকে যায়। কিন্তু তনুর ব্যাপারটি হঠাৎ এতটা সাড়া পাওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কারণ রয়েছে। সরকার যখন তাদের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বিতর্কিত ঠিক সেই মুহূর্তে তনুর বিষয়টি সামনে নিয়ে এসে ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার। সন্দেহের আরও কারণ হলো, এর ফলে বিভ্রান্ত কতিপয় তরুণ গোটা সেনাবাহিনীকে ধর্ষক বলে চিহ্নিত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারি ধামাচাপা ও গর্বিত সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণœ করতেই হয়তো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কিনা এটা খতিয়ে দেখা দরকার।
যাইহোক, বাংলাদেশ ডার্ক-লিস্টে (ধূসর তালিকা) অর্ন্তভুক্ত হলে দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর সেটি হলে থার্ড পার্টি ছাড়া এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে পারবে না, বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে, ব্যবসায়ের ব্যয় বেড়ে যাবে, রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হবে, বৈদেশিক সাহায্যও কমে যাবে, এছাড়া বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সুদের হারও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে উপার্জিত আয় বা কালোটাকা বৈধকরণের সুযোগ সরকারের তরফ থেকেই দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় সরকার মানি লন্ডারিং বা চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কতটা নৈতিক অবস্থানে দাঁড়াবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। লোপাটকৃত টাকা উদ্ধারসহ জড়িতরা গ্রেফতার হোক সেই প্রত্যাশাই করে দেশের প্রতিটি মানুষ। জঙ্গিবাদ বিস্তারে কে বা কারা অর্থ যোগান দিচ্ছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও ঢালাওভাবে ইসলামি দল ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একই সাথে ইসলামি স্কলারদের জড়িয়ে মানি লন্ডারিং মামলায় আসামি করা হচ্ছে, এটি অবশ্যই ন্যায় বিচার পরিপন্থি। গভর্নরের পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানোর বিষয়টি মানসিক প্রশান্তি ছাড়া কিছুই নয়। কেননা, তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তো চুরি হওয়া অর্থের ক্ষতিপূরণ হবে না। তাই গভর্নরের পদত্যাগে আনন্দে আত্মহারা না হয়ে মূল হোতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থানেয়াসহ দেশের অর্থনীতিকে ঝুঁকিমুক্ত করাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
য় লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চুরি ও লুটপাটে ঝুঁকির মুখে অর্থনীতি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ