কক্সবাজারে ২৪ জানুয়ারী পরীক্ষায় কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি

২৪ জানুয়ারি রবিবার কক্সবাজার জেলায় ৩৭৮ জনের করোনা টেষ্টের মধ্যে সবাই নেগেটিভ পাওয়াগেছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার লক্ষীপুর বাজার মোড়ে,দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে গাছ কেটে অবোরোধ করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
কৃষকের ঘন্টাব্যাপী এই অবরোধের কারনে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলে,পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী ঘটনা স্থলে গিয়ে কৃষকের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে মহাসড়ক থেকে গাছ সরিয়ে নিয়ে অবোরোধ প্রত্যাহার করে নেন কৃষকরা।
ওই এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক মঞ্জুরুল ইসলাম, ভুট্টু মিঞা, সাইদ আলী, ময়েন উদ্দিন, আ:হালিম, আলী হোসেন ও তাজমিলুর রহমান,জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অপরিকল্পিতভাবে আবাদী জমির পানি নিষ্কাশন কল্পে তৈরী কালর্ভাটের মুখে পুকুর খননের কারনে পানিষ্কাশন বন্ধ হয়ে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার প্রায় ১ হাজার একর জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই এলাকার কৃষক। এঘটনায় দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজসহ প্রসাশনের বিভিন্ন মহলে কয়েকবার অভিযোগ করেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অবশেষে মাঠের ধান ঘরে তুলতে না পারা অসহায় কৃষক মহাসড়ক অবোরোধ করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকার আবাদী জমিতে পনিনিস্কাশনের জন্য নির্মিত কালর্ভাটের মুখ রোধ করে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় বৃষ্টির পানিতে বোরো ধানের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের নারায়নপুর, লক্ষীপুর, মহাদীপুর, আর্দশগ্রাম, গড়পিংলাই, জয়নগর, বারাই পাড়াসহ কৃষকের প্রায় ১হাজার একর পাকা-আধাপাকা বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে পুকুর খননকারী দৌলতপুর ইউপি সদস্য হুমাইয়ুন এর সাথে কথা বললে,তিনি বলেন আমি ছাড়াও এই এলাকায় আরো আটটি পুকুর খননের কারনে পানি নিস্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। আমার পুকুরের পাশ দিয়ে পানিনিস্কাশনের জন্য জায়গা রাখা হয়েছে সেদিক দিয়ে পনিনিস্কাশনের ব্যাবস্থা করা যেতে পারে।
এই বিষয়ে দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এখানে সরকারী বরাদ্ধ দিয়ে পানি নিস্কাশনের বড় ড্রেন করতে হবে,যাতে এই জলাবদ্ধতা নদীতে নেমে যায়। এই বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেখেছেন তারাই ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবুতাহের মন্ডল বলেন,অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারনে পানি নিষ্কাষনের জন্য তৈরি কালভার্টটি বন্ধ হয়ে,আবাদী জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে এই এলাকার কয়েকশ কৃষকের ফসল এখন পানির নিচে। তিনি আরও বলেন বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে দেখেছেন তারা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলে কৃষকদের আশ্বস্থ করেছেন।
এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,কৃষকের সুবিধার্থে যা করার প্রয়োজন তাই করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।