Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হয়রানি বন্ধে গণশুনানী করার সুপারিশ

বীমা দাবি পরিশোধ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার হরিদাশ কাটী গ্রামের যাদব কুমার দাশ গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে জীবন বীমার একটি পলিসি খুলে ছিলেন ২০০৬ সালে। ২০১৬ সালে ওই পলিসির প্রিমিয়াম শেষে মাচ্যুরিটি চেক দাবি করেন। কিন্তু এখনো সেই বীমা দাবি পরিশোধ হয়নি। একইভাবে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে গ্রæপ বীমা করেছিলেন গোপালগঞ্জের ২৬ জন। বীমা দাবি করে তারা গত দুই বছর কোম্পানীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সর্বশেষ সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এধরণের অসংখ্য অভিযোগ এসেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। কমিটির বৈঠকে গ্রাহকেদের ম্যাচুরিটি চেক না পাওয়াসহ বীমা গ্রাহকদের লাগামহীন হয়রানির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। তারা বিষয়টি নিয়ে বীমা কোম্পানীগুলোর নানা অনিয়ম-দূনীতির বিষয়টিও তুলে ধরেন। আলোচনা শেষে গ্রাহক হয়রানি বন্ধে গুশুনানী আয়োজনের সুপারিশ করা হয়। মন্ত্রণালয়, সংসদীয় কমিটি ও বীমা কোম্পানীর প্রতিনিধি এবং ভ‚ক্তভোগী গ্রাহকদের উপস্থিতিতে এই গণশুনানী হবে। কমিটির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুনানীর তারিখ নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটি সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বৈঠকে কমিটি সদস্য নাজমুল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ফরহাদ হোসেন ও আখতার জাহান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কমিটি সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, বীমা কোম্পানীগুলোর কাছে গ্রাহকরা যে হয়রানির শিকার হচ্ছে তা নিয়ে গণশুনানীর আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এধরণের শুনানী হয়ে থাকে। এরমাধ্যমে হয়রানি কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে বৈঠকে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা, একই ফিডার পদধারী কনিষ্ঠ কর্মকর্তা/ কর্মচারীর সাথে জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা/ কর্মচারীরর বেতনের সমতার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এসময় জানানো হয়, সম্প্রতি বাজেটের আকার বাড়ার পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে সংশোধিত বাজেটের তুলনায় মোট বাজেট বাস্তবায়নের হার ৮৪ দশমিক ৫ শতাংশ হতে ৯২ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে এবং এডিপি ব্যয় ৮৯ দশমিক ৯ শতাংশ হতে ৯৩ শতাংশের মধ্যে। এসংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনাকালে অর্থছাড় প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে বাজেট বাস্তবায়নের পাশাপাশি উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এজন্য অর্থছাড় প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রæত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আসার পরে ঢালাওভাবে ব্যাপকহারে ঋণদান করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে যেকোন আর্থিক বিপর্যয়ের হাত থেকে ব্যাংকটিকে রক্ষার বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার সুপারিশ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ