Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চাঁদাবাজিতে বাড়ছে পেঁয়াজ চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম

| প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও বিভিন্ন মহলের চাঁদাবাজির কারণে পেঁয়াজ চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ক্যাব সভাপতি বলেন, চিনি, পেঁয়াজ, তেল, খেজুর, ছোলা, ডালসহ রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা সবাই বলছেন এবার মজুদ পর্যাপ্ত আছে। দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তাহলে হঠাৎ করে চিনি, পেঁয়াজের দাম কেন বাড়ছে। এর মূল কারণ সিন্ডিকেট। তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বাজারকে অস্থির করছে। অন্যদিকে যানজট, জাহাজজট, চাঁদাবাজিসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে এ দাম বাড়ছে। গোলাম রহমান বলেন, গত সপ্তাহে বেশ কিছুদিন সরকারি ছুটি ছিল এটাকে পুঁজি করে আমদানি কম হয়েছে। এ অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু চিনির দাম বাড়াচ্ছে পুরোই সিন্ডিকেট করে। একটি পণ্য ১ টাকা ২ টাকা বাড়তে পারে, কিন্তু এক দুইদিনের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়া অস্বাভাবিক। তিনি বলেন, এখন সরকারে উচিৎ বাজার মনিটনিং করা। একই সঙ্গে যারা অনৈতিকভাবে দাম বাড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। ক্রেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রোজা উপলক্ষে এক সঙ্গে অধিক পরিমাণ পণ্য না কিনে স্বাভাবিক সময়ে যে পণ্য কিনে সেইভাবে কিনতে হবে। তাহলে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে দাম বাড়াতে পারবে না। দোকান মালিক সমিতির চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বলেন, ব্যবসা এখন ব্যবসায়ীরা করছে না। এটা রাজনৈতিক দলের কাছে চলে গেছে। ফলে সব ক্ষেত্রে চাঁদাবাজির পরিমাণ বেড়ে গেছে। আগে একটি দোকানের জন্য ভাড়া দিতে হতো ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা। এখন ৩০ হাজার টাকার বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে ভোক্তাদের উপরে। তিনি বলেন, প্যাকেটজাত পণ্য সরাসরি মিল থেকে খুচরা বিক্রতাদের কাছে যায়। ফলে এর দাম কম বাড়ে। কিন্তু খোলা পণ্য খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে তিন চার হাত বদল হয় ফলে এর দাম বেশি বাড়ে। আমাদের দেশে সবজি বা কাঁচা পণ্য সংরক্ষণের ভালো ব্যবস্থা নেই। তাই বেশি উৎপাদন হলেও বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এবার টমেটো বেশি উৎপাদন হয়েছে কিন্তু পর্যপ্ত কোল্ড স্টোরেজ নেই। কাঁচামরিচের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এ কারণে রমজানে চাহিদা বাড়লে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে এসব পণ্যের দাম হঠাৎ করে বাড়তো না।
রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা ও আমদানি পেঁয়াজের দাম ৩২-৩৮ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা আর আমদানি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আর দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেনÑ বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার মো. রুহুল আমিন, বারডেম হাসপাতালের নিউট্রিশন বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ (মহুয়া) প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ