Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বন্দোবস্ত পাওয়া জমিতে ফসল বুনছেন ৮০০ পরিবার

প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) থেকে : আর্থ সামাজিকভাবে অবদান রাখছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলকুড়ালিয়া খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়া নারীরা। আর্থ সামাজিকভাবে দেশ এগিয়ে গেলেও বিভিন্নভাবে নারীরা পিছিয়ে থাকলেও  পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলকুড়ালিয়া খাস জমিতে নারীরাই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান রানা মাস্টারের বলিষ্ট নেতৃত্বে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলকুড়ালিয়া খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ১৯৯২ সাল হতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও একটুকরা জমির আশার বুক বেধে সংগ্রাম করে আসছিল। সংগ্রাম কিছুটা সফল হয়েছে নারীদের পক্ষে। তারা একসনা লীজ থেকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পেয়ে এখন নারীরাই তাদের জমিতে আবাদ করছেন। নারীরা ক্ষমতায় ও ভূমিতে নারীদের সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের জন্য তারা মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যে সব নারীরা মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার কোনমত চালাতো আজ সেই নারীরা বিলকুড়ালিয়ার একফালি জমি বরাদ্দ পেয়ে নিজেই চাষাবাদ করে সংসারের হাল ধরে সচ্ছলতা এনছেন। ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়াও করছে। বিলপাড়ের ১৩শ’ ভূমিহীন নারীর সংসার চলছে নারীর সম অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। স্বামী পরিত্যক্ত নারী আনোয়ারা, বিধাব ফুলজান ও জরিনা জানান ২২ বছর আগে ঠিকমত ৩ বেলা খেতে পারতাম না। কিন্তু আজ রানা মাস্টারের আলোর পথে এসে পেট পুরে ৩ বেলা খাওয়া এবং ছেলে-মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াতে পারছে। সমাজে নিজেদের স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। ১৫টি গ্রামের ভূমিহীন নারী পুরুষ সম অধিকার আদায়ে ১৪শ’ বিঘা খাসজমি ১৩শ’ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়া শুরু করেছেন সরকার। ইতোমধ্যে ৮শ’ পরিবারকে জমির দলিল বুঝে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্বামী পরিত্যক্ত ও বিধাব রয়েছেন ২শ’ ১৮জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দোবস্ত পাওয়া জমিতে ফসল বুনছেন ৮০০ পরিবার
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ