Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাধ্যমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য

চি ঠি প ত্র

| প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি তথা এমপিওভুক্ত। একই যোগ্যতা ও অভিন্ন সিলেবাস হওয়া সত্তে¡ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ বিরাট বৈষম্যের শিকার। যার বাস্তব উদাহরণ হলো বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি না পাওয়া। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মাত্র এক হাজার টাকা ও চিকিৎসা ভাতা মাত্র পাঁচশ› টাকা, যা বর্তমান যুগ অনুযায়ী একেবারেই বেমানান। যদিও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি স্কেলে বেতন পান। প্রতিবেশী দেশ ভারতে সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা সরকারি। ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করেন। কয়েক দশক পর দেশের সব বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় কয়েকটি ধাপে জাতীয়করণ হয়। ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন সময় হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের। প্রাথমিক শিক্ষা ঢালাওভাবে জাতীয়করণে প্রাথমিক শিক্ষার মান কমেনি, বরং বেড়েছে। মাধ্যমিক স্তর জাতীয়করণ হলে শিক্ষাব্যবস্থায় আর কোনো বৈষম্য থাকবে না। অতএব, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের কাছে প্রত্যাশা, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

মো. মোশতাক মেহেদী
সহকারী শিক্ষক, কুষ্টিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাধ্যমিক

২৩ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন