Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পৃথিবী ধ্বংসের আশঙ্কা

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কোন কোন বিজ্ঞানীর অভিমত, এলিয়েনরা এসে পৃথিবী নামক এই গ্রহকে ধ্বংস করে ফেলবে। এ মতের বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সদ্য পরলোকগত বিজ্ঞানী ড. হকিং। তবে সে এলিয়েনরা কবে পৃথিবীতে আসবে, কতজন আসবে, কোথা থেকে আসবে এসবের কোন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি তিনি। এমনকি তার মতের অন্য কোন বিজ্ঞানীরাও দেননি। তাই অনেকের অভিমত, তাদের বক্তব্য সঠিক নয়। যাক সেসব বিজ্ঞানীদের ব্যাপার। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের তা বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা সাধারণ আমজনতা এটা বুঝতে পারি যে, পৃথিবীকে ধ্বংস করতে এলিয়েনের আসার প্রয়োজন নেই। মানুষরূপী যে এলিয়েন এই বিশ্বে আছে, তাদের অপতৎপরতার কারণেই বিশ্ব ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে এবং তা যে কোন সময়ে ধ্বংস কাÐ সংঘটিত হতেও পারে। মাত্র দু’টি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। প্রথমতঃ রাশিয়ার পরমাণু চালিত সাবমেরিন; দ্বিতীয়তঃ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। প্রথমটির বিষয়ে বলা হয়েছে নামেই সাবমেরিন, কাজে পারমাণবিক বোমা। সাগরের তলদেশে বিস্ফোরিত হলে প্রায় ৩২৮ ফুট উঁচু সুনামি তৈরি করতে পারে, যার বিধ্বংসী ক্ষমতা আর তেজস্ক্রিয়তা শুধু একটি দেশ নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই মারাত্মক বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। রাশিয়া এমনই একটি সাবমেরিন তৈরি করছে। নাম পুজেইদন বা স্ট্যাটাস-৬। এই সাবমেরিন ফেডারেল অ্যাসেম্বলিতে ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ড্রোনটি সাগরের অনেক গভীরে যাবে। এটি সাবমেরিন অথবা নৌকার চেয়ে দ্রæতগতিতে ছুটবে। দ্রæতগতির এই ডুবোজাহাজ আন্তঃমহাদেশীয় হামলা চালাতে সক্ষম। সমুদ্রের গভীর থেকে অতি উচ্চগতির যুদ্ধজাহাজসহ সমুদ্র উপকূলের যেকোনো স্থাপনায় হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দেবে। শত্রুরা তা বাধা দিতে পারবে না। এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করবে। এটা সত্যিই অসাধারণ। ব্রিটিশ দ্য সানের খবরে বলা হয়েছে, পুতিন ডিভাইসটির নাম বলেননি। তবে এটিকে সমুদ্রতলের বহুমুখী সিস্টেম স্ট্যাটাস-সিক্স মনে করা হচ্ছে, যা পুতিনের ‘পৃথিবী ধ্বংসের অস্ত্র’ নামেও পরিচিতি পাচ্ছে। অপরদিকে, পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণার জন্য নামকরা পদার্থবিদ রিক্স রিচার্ডসন বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছেন, পুতিনের এই পারমাণবিক সাবমেরিন বিস্ফোরণে সুনামি বা জলোচ্ছ¡াস তৈরি করতে পারবে। আর এ সুনামির কারণে ঢেউয়ের উচ্চতা ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) পর্যন্ত হবে। ওই সুনামি ২০১১ সালের জাপানের সুনামির চেয়েও ভয়াবহ হবে। জাপানে ২০১১ সালে ভূমিকম্প ও পরে সুনামিতে ১৫ হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিল। রিচার্ডসন আরও বলেছেন, এই সুনামি তৈরি হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস এবং সান দিয়াগো হুমকির মুখে পড়বে। মিডল-বারি ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের পারমাণবিক নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জেফরি লুইস ২০১৫ সালে ফরেন পলিসিতে লেখা এক নিবন্ধে রাশিয়ার এই পারমাণবিক সাবমেরিনটিকে ‘পুতিনের পৃথিবী ধ্বংসের অস্ত্র’ বলে অভিহিত করেন। ঘণ্টায় ৫৬ নটিক্যাল মাইল গতিসম্পন্ন পুতিনের সাবমেরিনটি ৬,২০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম। স¤প্রতিও রাশিয়া বেশ কিছু মারাত্মক বিধ্বংসী অস্ত্র ও বোমা তৈরি করেছে। এসব অস্ত্রের প্রতিটি পুরো বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। স্মরণীয় যে, কোন দেশকে ধ্বংস করার জন্য আক্রমণ করার দরকার নেই। যদি সে দেশ সাগরের নিকটবর্তী হয়, তাহলে সেই সাগরে স্ট্যাটাস-৬ বিস্ফোরণ ঘটালেই দেশটি প্রবল ঢেউয়ের তলে ডুবে গিয়ে সবকিছু বিলীন হয়ে যাবে! কোন দেশ বা বিশ্ব ধ্বংস করার জন্য রাশিয়ার এই অস্ত্র ছাড়া আর একটি ভয়ংকর মারণাস্ত্র আছে। সেটা হচ্ছে ‘হাইপারসনিক মিসাইল’ যা শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রæতগতিতে উড়ে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সেই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক বোমা বহনেও সক্ষম এবং তার ক্যাপাসিটি সমগ্র বিশ্ব। রাশিয়া তার নতুন এই হাইপারসনিক মিসাইলের নাম দিয়েছে কিনজাল। শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৩২ মিটার। কিনজালের গতি শব্দের গতির ১০ গুণ হলে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতি সেকেন্ডে যাবে ৩,৩২০ মিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়া বিশ্বের যেকোনও স্থানে নির্ভুলভাবে পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম বলে গত এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট পুতিন পার্লামেন্টে বলেছেন এবং এর সক্ষমতা নিয়ে ভিডিও গ্রাফিক্স দেখিয়েছেন। সেই গ্রাফিক্সে দেখানো হয়, কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে বৃষ্টির মতো আঘাত হানছে। রাশিয়া মস্কো থেকে কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে মাত্র ৩৭.৫ মিনিটে ফ্লোরিডায় আঘাত হানবে, আকাশপথে যার দূরত্ব ৭,৪৭২ কিলোমিটার। রাশিয়ার অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান সেরগেই সুরোভিকিন জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য এটি উৎক্ষেপণ করা সম্ভব।

উত্তর কোরিয়ার এক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপারে ন্যাটোর অন্যতম সাবেক সেনা-কমান্ডার ও মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক অ্যাডমিরাল জেমস স্ট্যাভরিডিসর অভিমত হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক-ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক কোনো বোমা আমেরিকায় আঘাত হানলে দেশটির জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি নিহত হবে। বিজনেস ইনসাইডার সাময়িকীকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে উত্তর কোরিয়ার এই দু-মুখো পরমাণু বোমার হামলা সম্পর্কে হোয়াইট হাউজকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, এই বোমা বিস্ফোরণের ফলে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ছাড়াও আরো তিন হামলার ঢেউ বয়ে যাবে গোটা আমেরিকার ওপর। আর এক্ষেত্রে প্রথমে পানি ও তাপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং এসবের তথ্য-সিস্টেমগুলো ধ্বংস হবে, দ্বিতীয় পর্যায়ে এক মাইক্রো-সেকেন্ডে আগের চেয়ে কিছুটা দুর্বল অথচ অভিন্ন হামলা ঘটবে এবং তৃতীয় পর্যায়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে গোটা যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। এ ধরনের বোমা হামলার ফলে সপ্তাহ’র পর সপ্তাহ ও মাসের পর মাস এবং এমনকি দুই বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হবে যুক্তরাষ্ট্র। বলা বাহুল্য, উত্তর কোরিয়ার এই মারণাস্ত্র শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই ক্ষতিকারক নয়, এটা যে দেশে ব্যবহার করা হবে, সে দেশেরও পরিণতি হবে একই। কারণ, ঐ অস্ত্র শুধুমাত্র আমেরিকার জন্য তৈরি করা হয়নি। এটি তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি শত্রুদেশকে ধ্বংস করার জন্য। আর কে কখন কার শত্রু বনে যায় তার ইয়ত্তা নেই। ঠিক আষাঢ়ের আকাশের মতো- এই রোদ, এই বৃষ্টি। তাই এসব মারণাস্ত্রের লক্ষ্য সব দেশই। তাই পৃথিবীতে কখন কী ঘটে যাবে তা নিশ্চিত করে বলা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।
বর্ণিত মারণাস্ত্র শুধুমাত্র রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার কাছেই নেই। কম-বেশি আরো অনেক দেশের কাছেই আছে। এ তথ্য বহুবার প্রচারিত হয়েছে যে, কোন দেশের কাছে কতটি পরমাণু বোমা এবং অন্যান্য মারণাস্ত্র আছে। এমনকি কোন দেশের সামরিক বাহিনীর সংখ্যা ও অস্ত্রের পরিসংখ্যান কিছুদিন আগেও প্রকাশিত হয়েছে- গেøাবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০১৭-তে। তাতে বৈশ্বিক সামরিক শক্তির ক্রম: অবস্থানও নির্ণয় করা হয়েছে (পরমাণু বোমা ছাড়া)। তাই এসব অস্ত্র দিয়ে অসংখ্যবার ধ্বংস করা যাবে বিশ্বকে। তবুও শান্তি ও উন্নতির চরম অন্তরায় ঐসব মারণাস্ত্র তৈরি করা বন্ধ হয়নি। প্রতিযোগিতামূলকভাবে আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ অতি স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্র দূরপাল্লার একটি ভয়ানক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যার বিস্তারিত বিষয় এখনো প্রকাশিত হয়নি।যা হোক, এই প্রতিযোগিতামূলকভাবে মারণাস্ত্র তৈরির কারণে দিনদিন সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে আশংকাজনকভাবে। এ ব্যাপারে স¤প্রতি প্রকাশিত স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিচার্স ইন্সটিটিউটের প্রতিবেদন মতে, স্নায়ুযুদ্ধের পর দুই মেরুর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সামরিক ব্যয় হয়েছে ২০১৭ সালে। ঐ বছর বিশ্বে অস্ত্রের কেনাকাটা হয়েছে ১,৭৩৯ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০১৬ সালের চেয়ে ১.১% বেশি। ১৯৯৯-২০১১ এই ১২ বছরে সামরিকখাতে ব্যয়বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও ২০১২-২০১৬ সাল পর্যন্ত ব্যয় কম ছিল। হঠাৎ করেই ২০১৭ থেকে ব্যয় বাড়ানো শুরু করেছে দেশগুলো। গত বছরে মোট সামরিকখাতের ব্যয়ের কোন দেশের পরিমাণ কী তাও বলা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, বৈশ্বিক সামরিক ব্যয়ের যুক্তরাষ্ট্র ৩৬%, চীন ১৩%, সৌদি আরব ৪%, রাশিয়া ৩.৮%, ভারত ৩.৭%, ফ্রান্স ৩.৩%, যুক্তরাজ্য ২.৭%, জাপান ২.৬%, জার্মানি-২.৫%, দক্ষিণ কোরিয়া ২.৩%, ব্রাজিল ১.৭%, ইতালি-১.৭%, অস্ট্রেলিয়া ১.৬%, কানাডা ১.২% ও তুরস্ক ১%। উক্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ ছিল (মার্কিন ডলারে) যুক্তরাষ্ট্রের ৬১ হাজার কোটি (যা তালিকায় দ্বিতীয় থেকে অষ্টম স্থান পর্যন্ত দেশগুলোর সম্মিলিত ব্যয়ের চেয়েও বেশি), চীনের২২,৮০০ কোটি (২০০৮ সালে চীন বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ১৩% ব্যয় করত। কিন্তু ২০১৭ সালে ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে), সৌদি আরবের ৬,৯৪০ কোটি, রাশিয়ার ৬,৬৩০ কোটি (গত বছর ২০% কমেছে নানা নিষেধাজ্ঞা থাকায়), ভারতের ৬,৩৯০ কোটি, ফ্রান্সের ৫,৭৮০ কোটি, ব্রিটেনের ৪,৭৭২ কোটি, জাপানের ৪,৫৪০ কোটি, জার্মানির ৪,৪৪৩ কোটি, আর সেরা দশের শেষ স্থানে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার ৩,৯৯২ কোটি। তালিকায় ১১-১৫ নম্বরের দেশগুলো হলো ব্রাজিল, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও তুরস্ক। সামরিক খাতের ব্যয়ের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের শীর্ষ ১৫টি দেশ ২০১৬ সালেও শীর্ষ ১৫-তে ছিল। চলতি বছরেও সামরিক ব্যয় বেড়েই চলেছে। আর এসব করা হচ্ছে যুদ্ধে জয়ের আশায় যা যেকোনো সময়ে সংঘটিত হতে পারে এবং বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। দরিদ্র দেশগুলোও এ থেকে পিছিয়ে নেই। যেমন: ওই সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে সামরিক খাতে ব্যয় ছিল প্রায় ছয় হাজার ছয়শ’ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে সেই ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় আটাশ হাজার আটশত কোটি টাকা।
মরিতে চাহি না আমি এই সুন্দর ভুবনেÑ এ আকাক্সক্ষা শুধুমাত্র কবির একার নয়- বিশ্বের সব মানুষেরই। বিশেষ করে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কামনা-বাসনা সকলেরই। কিন্তু পৃথিবীকে বহুবার ধ্বংস করার মতো পর্যাপ্ত মারণাস্ত্র রেখে অকাল মৃত্যু, আহত হয়ে থাকা, সম্পদ-হানি হওয়া ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই পৃথিবীকে সুন্দর করতে, বাঁচার মতো করে উপযোগী করে গড়ে তুলতে সামরিক খাতের ব্যয় বন্ধ করে সে অর্থ, সে মেধা, সে শ্রম ব্যয় করা উচিৎ সকলের প্রয়োজনীয় খাবারের জন্য, সকলের সুচিকিৎসার জন্য, সকলের সুশিক্ষার জন্য, সকলের বাসস্থানের জন্য, সব ধরনের পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। এসবই হওয়া উচিৎ বিশ্ববাসীর একমাত্র শ্লোগান ও কর্ম। স্মরণীয় যে, জাতিসংঘের তথ্য মতে, বর্তমানে বিশ্বে ৮০ কোটি মানুষ দরিদ্র রয়েছে। তারা সব রকমের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এছাড়া, এর চেয়েও অধিক লোক আছে দারিদ্র সীমার কাছাকাছি। তাদের অবস্থাও প্রায় তথৈবচ। লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।



 

Show all comments
  • পাবেল ১৫ মে, ২০১৮, ৩:৪৩ এএম says : 0
    সুন্দর একটি লেখা। লেখককে ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • জুয়েল ২১ মে, ২০১৮, ১১:০৭ এএম says : 0
    খুবই,,ভালো, লাগলো,,কিছু,,,জানতে,,পারলাম,,ধন্যবাদ,,,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পৃথিবী


আরও
আরও পড়ুন