Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়াকে ১৭ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ১৭ এপ্রিল ফের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আজ তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর পক্ষের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময় চেয়ে আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন-নির্ধারণ করেন। এদিকে, গতকাল এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ বাকি আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন নির্ধারিত থাকলেও শুধু জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের জমি কেনার ক্ষেত্রে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুদক মামলাটি করে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট। তেজগাঁও থানায় করা এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দেয়া হয়। গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট হাইকোর্টে খালেদার জিয়ার আবেদন খারিজ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ। তিনি এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। আদেশের পর খুরশীদ আলম খান বলেন, আমরা দেখিয়েছি, ২০০৯ সালে তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল। এ অবস্থায় আবেদনকারীপক্ষ বিষয়টি উত্থাপন না করার কথা জানালে হাইকোর্ট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়। গত ৯ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষের জেরার পর্যায়ে থাকা এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগে গেজেট প্রকাশ না করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আরজি জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট এ মামলা করে দুদক। তেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়।





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়াকে ১৭ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ