Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাজেটে অধিকতর স্বচ্ছতা চায় টিআইবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহŸান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। কালো টাকাকে বৈধতা প্রধান সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কালো টাকাকে বৈধতা প্রদানের সুযোগ অব্যাহত না রাখা, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা ও আলোচনার সুযোগ রাখা, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড এর জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি ও অনিয়মে জর্জরিত রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংকের সংকটের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলিকরণসহ জনগণের করের টাকায় মূলধন যোগানোর কোনো ধরনের সুযোগ বাজেটে না রাখার আহŸান জানিয়েছে টিআইবি। দুদক এর জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের আহŸান জানাচ্ছে টিআইবি। কালো টাকাকে বৈধতা প্রধান সংবিধানের ২০ (২) ধারার সাথে সাংঘর্ষিক। অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ প্রদান একদিকে যেমন নৈতিক অবক্ষয়কে প্রশ্রয়ের দৃষ্টান্ত, তেমনি দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় এটিও প্রমাণিত যে, এই জাতীয় অসাধু চর্চা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও কোনো সহায়ক ভূমিকা পালন করে না।
ড. জামান বলেন, জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যসকল খাতের প্রস্তাবিত বরাদ্দের ন্যায় প্রতিরক্ষা বাজেটের পেছনে পর্যাপ্ত যুক্তিসহ বিস্তারিত বিবরণ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করতে হবে ও বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রস্তাবিত খসড়া জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালায় সশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের কাছাকাছি নেয়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিরক্ষা খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় প্রতিরক্ষা বাজেট ও তার ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের প্রচলন করলে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ব্যাপারে জনসমর্থন বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের সংকটের কারণে জিম্মি বিসিসিটিএফ এর জন্য এবারের বাজেটে কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ না রাখা হলে ইতোমধ্যে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী আরো ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, যা কখনো কাম্য হতে পারে না। ব্যাংকিং খাতের মূল শক্তিই হলো আমানতকারীদের আস্থা। আস্থার ঘাটতি হলে দেশের ব্যাংকিং খাতই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হবে না সার্বিকভাবে অর্থনীতিতেও বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. জামান বলেন, আসন্ন বাজেটে খেলাপি ঋণ ও তারল্য সংকটে নিমজ্জিত সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকসমূহের জন্য পুনঃতফশিলিকরণও পুনঃমূলধনীকরণ সুবিধা রাখলে তা ঋণ খেলাপি ও দুর্নীতিবাজদের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা হিসেবে বিবেচিত হবে। স¤প্রতি অর্থমন্ত্রী যে যোগসাজশের ঋণ সংকটের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন তার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে জনগণের অর্থে ঋণ পুনঃতফশিলিকরণ ও মূলধন জোগান দেয়ার পরিবর্তে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহŸান জানায় টিআইবি।#####

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ