Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

| প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

গত ৮ মে দৈনিক ইনকিলাবের ৯ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ”নোয়াখালী-৬ হাতিয়ায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া, দলের চাইতে ব্যক্তির প্রভাব বেশী” শীর্ষক সংবাদের লিখিত প্রতিবাদ করেছেন মাহমুদ আলী রাতুল। প্রতিবাদে তিনি উল্লেখ করেন, প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংশ ও সামাজিকভাবে হেয় করতে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। কোন কালেই প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহন করিনি এবং আজিম গ্রæপে কখনো চাকুরী করিনি। আমি মহান মুক্তিযুদ্বের শহীদ পরিবারের সন্তান। আমার পরিবার মহান মুক্তিযুদ্বে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেছে। মুক্তিযুদ্বে আমার বড়ভাই মোস্তফা আলী দুলাল শহীদ হয়েছে। শিক্ষা জীবন থেকেই আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। বর্তমানে আমি হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি। আমরা হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ব। ২০০৮ সালে ঋণ খেলাপীর দায়ে হাতিয়া আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী’র মনোনয়ন বাতিল হয়। তখন হাতিয়ায় আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী ছিলনা। ঐ নির্বাচনে মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছিলনা। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলা ও বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য মোহাম্মদ আলী বর্তমানে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত আছেন।
প্রতিবেদকের ভাষ্য ঃ প্রকাশিত সংবাদটি বস্তুনিষ্ঠ, তথ্যবহুল ও সঠিক। মাহমুদ আলী রাতুল নিজেকে হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি পরিচয় দিয়েছেন। অথচ হাতিয়া উপজেলায় আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৪ সালে। সে কমিটিতে তার নাম নেই। জেলা উপজেলা কমিটি অনুমোদন করেন দলীয় সভানেত্রী। হাতিয়া বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও তমরদ্দি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বাবু এবং হাতিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক ফখরুল ইসলাম বাদশা জানান, মাহমুদ আলী রাতুল প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহন করেছেন। নির্বাচনকালে তিনি ফজলুল আজিমের বাসভবনে আলাউদ্দিন বাবুসহ রাত্রি যাপন করেন। পরে তার নিকটাতœীয় ও হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক লিসানুল আলম লেলিনের ”ধানসিড়ি রিসোর্ট” এ অবস্থান করেন। কর্মজীবনে তিনি আজিম গ্রæপে চাকুরী ও মালামাল সরবরাহ করেন। এটা হাতিয়া ও চট্রগ্রামের শত শত মানুষ অবগত আছে। তার ভাই মুক্তিযোদ্বা ছিলনা এবং তার পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্বে অংশ নেয়নি। এবিষয়ে হাতিয়া উপজেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার দিদারুল ইসলাম খান ও মুক্তিযোদ্বা ফয়েজুর রহমান জানান, হাতিয়ায় মোস্তফা আলী দুলাল নামের কেউ মুক্তিযোদ্বা ছিল না। শহীদ মুক্তিযোদ্বা তালিকায় এধরনের কারো নাম নেই। মোস্তফা আলী দুলাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে কাজ করতেন। মুক্তিযুদ্বকালে তিনি ব্যক্তিগতকাজে হাতিয়া থেকে জেলা শহর মাইজদীতে গমন করেন। এরপর তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। মাহমুদ আলী রাতুলের ঘনিষ্ট সহপাঠি তৌহিদুর রহমান বিজভীসহ কয়েকজন জানান, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে মাহমুদ আলী রাতুল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর সক্রিয় কর্মী ছিল। পরবর্তীতে জাসদ ভেঙ্গে বাসদ গঠিত হলে তিনি বাসদের কর্মী ছিলেন। এমনকি তখনকার বাসদ সমর্থিত মিনু-মোস্তাকিন পরিষদের সদস্য ছিল।
২০০৮ সালে মোহাম্মদ আলী আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কা প্রতীক পান। আইনগত জটিলতার কারনে তার প্রার্থীতা বাতিল হয়। পরবর্তীতে তার সহধর্মীনি আয়েশা ফেরদৌস আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। আওয়ামীলীগ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান এইচ,টি ইমাম কর্তৃক ইস্যুকৃত চিঠিতে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আয়েশা ফেরদৌসের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করার জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান দেয়া হয়। অথচ তৎকালীন নেতৃবৃন্দ ফজলুল আজিমের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। এমনকি ২০১৪ সালের নির্বাচনেও উক্ত অংশটি নৌকা মার্কা প্রার্থীর সরাসরি বিরোধিতা করে। অর্থাৎ তিনি যাদেরকে নিয়ে আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ব বলে দাবী করেছেন - তারাই বিভিন্ন সময় জাতীয় নির্বাচনে প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের পক্ষে ছিলেন। মোহাম্মদ আলী আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত হননি। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। উক্ত কমিটি দলীয় সভানেত্রী কর্তৃক অনুমোদিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ