Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হাটহাজারীতে ভেজাল ঘি’র রমরমা ব্যবসা

মাহে রমজানে ঘিয়ের চাহিদা বেশি

| প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


নীরব কর্তৃপক্ষ : বিভিন্ন মারাক্তক রোগ হওয়ার আশঙ্কা
আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী থেকে : পবিত্র মাহে রমজান কে ঘিরে হাটহাজারী উপজেলার ১টি পৌরসভা সদরসহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারগুলো ভেজাল ঘি-তে ভরে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন দোকানে চড়া দামে বিক্রয় হচ্ছে ভেজাল ঘি। ভেজাল ঘি উৎপাদনকারীরা বেশ আগে ভাগেই বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে দিয়েছে তাদের ভেজাল ঘি পণ্যগুলো। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে উৎপাদিত ভেজাল ঘি-য়ে ব্যাবহার করা হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর অনেক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অধিক মুনাফালোভী কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী চক্র ভেজাল ঘি উৎপাদন ও বাজারজাত করণের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানায়। দোকানীরা অধিক লাভের আশায় খাঁটি ঘি-য়ের পরিবর্তে নি¤œমান ভেজাল ঘি বেশি বিক্রি করে থাকেন। পৌরসভা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানীরা এরই মধ্যে মজুদ করছে ভেজাল ঘি আবার অনেকে গুদামজাতও করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে অনেকে নামি-দামি কোম্পানির লেভেল লাগিয়েও ভেজাল ঘি বাজারজাত করছে। ফলে ঘি কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে জনসাধারণসহ নি¤œ আয়ের মানুষ গুলো।
হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজারের দোকান গুলোতে র্দীঘদিন যাবৎ ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় অবাধে উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে এ সব ভেজাল ঘি দাবি ভুক্তভোগিদের। এ ধরনের ভেজাল ও নি¤œমানের ঘি খেলে মানুষ কিডনি, লিভার, হৃদরোগ ও পেটের পীড়াসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
বিএসটিআই এর এক কর্মকর্তার এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, খাঁটি দুধের মাখন থেকেই মূলত বিশুদ্ধ ঘি উৎপাদিত হলেও এক কেজি খাঁটি গাওয়া ঘি তৈরি করতে ১০-১১ কেজি দুধের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের প্রতি কেজি ঘি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। কিন্তু ভেজাল ঘি তৈরি হয় দুধ ছাড়া। শুধু ডালডা, সাবান তৈরির সোডা, পাম অয়েল ও পারফিউম জাতীয় উপকরণ দিয়ে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের ভেজাল ঘি তৈরি হয় বলেও তিনি জানান। প্রতি কেজি ভেজাল ঘি বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০-২৫০ টাকায়। আবার অনেকে ভেজাল ঘি দিয়ে খাঁটি ঘি-য়ের দাম নিচ্ছে বলেও জানা গেছে। ফলে ক্রেতা সাধারণ দিনের পর দিন প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
জানা যায়, অন্যান্য সময়ের তুলনায় পবিত্র মাহে রমজানে ঘি-য়ের চাহিদা একটু বেশি থাকে। এ জন্য ভেজাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ তৎপরতার সঙ্গে আগে-ভাগেই ঘি তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরবরাহ করছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার হাট-বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, মুদির দোকান, মিষ্টির দোকান ও কুলিং কর্ণারগুলোতে তাকের পর তাক সাজিয়ে রেখেছে বিভিন্ন কোম্পানির ভেজাল ঘি। বাজারে ঘি তৈরির সঙ্গে জড়িতরা অনেকে নামি-দামি কোম্পানির লেবেল লাগানোর ফলে কোনটি আসল আর কোনটি নকল তা বোঝার কোন সাধ্য নাই। যার কারণে সাধারণ ক্রেতাদের প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। এ ব্যাবপারে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন ও যথাযথ ব্যাবস্থা নিলে জনসাধারণ উপকৃত হবে বলেও জানান সাধারণ ক্রেতারা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ