Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

২ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসক একজন

পাবনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলার মানুষের চিকিৎসা সেবা নেয়ার একমাত্র হাসপাতালটি। ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসক মাত্র একজন। এই চিকিৎসককে পাবনার সিভিল সার্জন বিশেষ ব্যবস্থায় রেখেছেন। সরকারিভাবে এখানে পোষ্টিং হওয়া ১১ জন চিকিৎসক কোথায় ? মানুষের মনে এই প্রশ্ন এখন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আটঘরিয়া উপজেলার ২ লক্ষাধিক মানুষের জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে। যে হাসপাতালে স্থানীয়ভাবে উপজেলার সকল মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৪-৫ মাস যাবত ১১ জন চিকিৎসকের জায়গায় মাত্র ১ জন চিকিৎসক রয়েছেন। এই চিকিৎসককে বিশেষ ব্যবস্থায় পাবনার সিভিল সার্জন রেখেছেন।
আটঘরিয়া উপজেলার পাটেশ্বর গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, এখানে এসে ডাক্তার পাওয়া যায় না, চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না, শুধু হাসপাতালের ইমারত পাওয়া যায়। উপজেলার মতিগাছা গ্রামের রুবিয়া বেগম জানায়, এখানে আসি ডাক্তারের কাছে, কিন্তু মাত্র একজন ডাক্তার। কোন মহিলা ডাক্তার নেই। সকালে আসে ঘন্টার পার ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মোঃ আবুল হোসেন কোন অভিযোগকেই অস্বীকার করেননি। তিনি জানান, চিকিৎসক বদলী বা নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা তার হাতে নেই। এই হাসপাতালে মোট ১১ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও দীর্ঘ প্রায় ৪-৫ মাস ধরে মাত্র ১ জন চিকিৎসক দিয়ে ২ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে দেয়া হচ্ছে। পাবনার সিভিল সার্জন তাহজ্জেল সাহেব ডা. মোঃ নুরুজ্জামানকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসাবে বিশেষ ব্যবস্থায় এখানে দিয়েছেন। তা না হলে এই হাসপাতালে তিনি ছাড়া আর কোন চিকিৎসক থাকতেন না। এ ব্যাপারে পাবনা সিভিল সার্জন ডা. তাহাজ্জেল হোসেন জানান, এ রকম ডাক্তার সংকট চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর সহ প্রায় প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে ডাক্তার সংকটের কথা বলা জানাননো হচ্ছে। সূত্র মতে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন চিকিৎসক থাকতে চান না। পোষ্টিং হলেও বদলী অথবা প্রেষণে চলে যান। অন্যত্র প্রাইভেট প্র্যাকটিস রেখে কে এই উপজেলা কমপ্লেসে থাকতে চায় , জানালেন সচেতন এবং ভূক্তভোগী রাহেলা বেগম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্যসেবা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ