Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কোম্পানি আইনের সংস্কার চেয়েছে ডিসিসিআই

| প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন ও উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কোম্পানি আইনের সংস্কার করার আহŸান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে সংগঠনটি আয়োজিত ‘বেসরকারিখাতের উন্নয়নে কোম্পানি আইনের সংস্কার’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ আহŸান জানান ব্যবসায়ী নেতারা। গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কোম্পানি আইন প্রণয়ন ও চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে সরকার সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারকে সাথে মতবিনিময় করেছে। আশা প্রকাশ করছি নতুন এ আইনে ব্যবসায়ীদের আশা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ অর্থনীতির সূচকে উল্লেখজনক অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে ডুইং বিজনেস ক্যাটাগরিসহ বেশ কিছু সূচকে পিছিয়ে পড়ছে যা কিনা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এ ধরনের সূচকগুলোতে অগ্রগতি অর্জনে একযোগে কাজ করতে হবে এবং ডুইং বিজনেসসহ অন্যান্য সূচকে অগ্রগতি অর্জনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শাসন ব্যবস্থায় প্রচুর অপ্রয়োজনীয় আইন রয়েছে যেগুলো বাদ দেওয়া প্রয়োজন এবং সরকার এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আইনসমূহের সংস্কারে আরো গতি আনার ওপর জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে বেগবান করা এবং নতুন নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালার সংস্কার, ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্্রাস, মানবসম্পদ ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে ব্যবসা পরিচালনায় সহজাত পরিবেশ তৈরির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া নতুন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর জন্য নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত জটিলতা কমানো এবং বিভিন্ন ধরনের ফি/চার্জ কমানোসহ প্রস্তাবিত কোম্পানি আইন বাস্তবায়িত হলে অনেক নতুন কোম্পানি করের নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে এবং সরকারের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু বলেন, কোম্পানি আইনটি এ উপমহাদেশে প্রথম প্রণয়ন করা হয়েছিল ১৯৩০ সালে, যেটির প্রথম সংস্কার করা হয় ১৯৯৪ সালে এবং ব্যবসায়ী সমাজের প্রয়োজন ও অর্থনীতির সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে বর্তমানে এটির সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ডিসিসিআই’র সমন্বয়কারী পরিচালক নূহের লতিফ খান মূল প্রবন্ধ উপস্থানকালে বলেন, কোম্পানি আইনের সংস্কারের বিষয়টি এখন সময়ের দাবি। ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তিতে আইন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা লাঘবের জন্য হাইকোর্টে দুই বা ততোধিক অধিক বেঞ্চ গঠনের প্রস্তাবসহ আরজেএসসিকে আরো শক্তিশালীকরণ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের প্রক্রিয়ার ধাপ ও ফি কমানোর প্রস্তাব করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিসিসিআই সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক আন্দালিব হাসান, হোসেন এ সিকদার, ইমরান আহমেদ, খন্দকার রাশেদুল আহসান, মো. আলাউদ্দিন মালিক, সেলিম আকতার খান এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোম্পানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ