পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতাসীনদের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, দেশে কি যুদ্ধ শুরু হয়েছে? প্রতিদিন এভাবে বন্দুকযুদ্ধে মান্ষু হত্যা করা হচ্ছে। যাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে তারা কি এদেশে জন্ম নেয় নাই? তাদের কি বিচার পাওয়ার অধিকার নেই।
মাদক নির্মূলের নামে যাদের হত্যা করছেন তারা এদেশের নাগরিক। মানুষ মারার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? দেশে কি আইন বা আদালত নেই? গতকাল রাজধানীর বিজয়নগরের একটি হোটেলে জাতীয় ইসলামী মহাজোট আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি মন্তব্য করেন। ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু নাসের এয়াহেদ ফারুকের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমূখ।
এইচ এম এরশাদ বলেন, রমজান শান্তি ও সংযমের মাস। কিন্তু আমরা কেউ শান্তি ও শ্বস্তিতে নেই। আমাগীকাল কে বন্দুক যুদ্ধের শিকার হয়ে মারা যাবেন আমরা কেউ জানি না। রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের কথা বললেও সরকার সেটা করতে পারেননি।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আমাদের জন্য কি এনেছেন? আমরা জানি না, জানতে চাই। তিস্তার কোনো সমাধান কি করতে পেরেছেন? আশা করি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে দেশবাসীর সামনে সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখবেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, নিজ দেশে বিপদে পড়ে পাশের দেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে অনেকে যাচ্ছে। অনেক প্রতিশ্রæতি দিচ্ছে। কিন্তু তাদের প্রতিশ্রæতির কোনো মুল্য নেই। নো-ম্যানস্ ল্যান্ড দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা। তাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসুন। দশ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারলে আরো চার লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, ইসলামী রাষ্ট্রগুলো আজ বিচ্ছিন্ন। কারো সাথে কারো মিল নেই। ফিলিস্তিনিসহ অনেক মুসলিম রাষ্ট্র আজ নিগৃহীত। তাদের পক্ষে বলার কেউ নাই। মুসলমান রাষ্ট্রগুলো নিরব। ফিলিস্তিনিরা নিজ দেশেই আজ ইসরাইলীদের দ্বারা হত্যার শিকার হচ্ছে, বিশ্ব বিবেক নিরব।
এইচ এম এরশাদ বলেন, আমাদের দেশেও আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ নই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে এদেশে কেউ ইসলাম বিনষ্ট করার সাহস পাবেনা। তিনি সকল ইসলামী দলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আসুন সকল ইসলামীদল একত্রিত হয়ে নির্বাচন অংশ নেই। যাতে করে আমরা ইসলামের সেবা করতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।