Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সৌর বিদ্যুতে আলোকিত লামা

লামা (বান্দরবান) থেকে মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সোলার স্ট্রিটলাইট প্রকল্প আলোকিত হলো বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা পৌর সভার বিভিন্ন অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা। বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে তা দিয়ে স্থাপিত সোলার স্ট্রিট অটো পদ্ধিতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে এখন আলো ছড়ায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপির অন্তরিক প্রচেষ্টায় রাতের বেলায় সাধারণ মানুষের চলাচল সুবিধায় শহরের বিভিন্ন স্থানে সোলারস্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়। তবে চুরি রোধে কোনো ব্যবস্থা না রাখায় ইতোমধ্যেই সোলার স্ট্রিটগুলোর ব্যাটারি চুরি শুরু হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত বলেন, লামা পৌরসভা এলাকার মাতামুহুরী ব্রিজ, লামা-রুপসীপাড়া সড়কের কাটাপাহাড়সহ ৪০টি স্থানে ৪০টি স্ট্রিটলাইট লাগানো হয়। মূলত বিদ্যুৎ না থাকা অবস্থায় সাধারণ মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন সে জন্যই এই লাইটগুলো স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ স্ট্রিট লাইট প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর মেয়াদকাল পর্যন্ত সোলার স্ট্রিট লাইট অক্ষত থাকবে এবং সার্ভিস দেবে।
এদিকে চুরি রোধে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সোলার স্ট্রিটগুলোর ব্যাটারি চুরি শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে লামা গজালিয়া সড়কের টিটিএন্ডডিসি পাড়ার ইয়াহিয়া বাবুলের মৎস্য খামার সংলগ্ন স্থানে ও মধুঝিরি এলাকায় স্থাপিত সোলার স্ট্রিটের ব্যাটারি চুরি হয়ে যায়। পরে ব্যাটারিসহ দুই চোরকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।এই চুরি রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান উন্নয়ন বোর্ডের সুপারভাইজার প্রশান্ত ভট্টাচার্য।পৌর শহরের কাটা পাহাড় এলকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম এবং টিটিএন্ড ডিসি পাড়ার বাসিন্দা ইব্রাহিম, নুর মোহাম্মদ বলেন, পৌর বিদ্যুৎ খুঁটিতে স্থাপিত লাইটগুলো বেশির ভাগ সময় নষ্ট থাকে, ফলে এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। সোলার স্ট্রিট স্থাপিত হওয়ায় পুরো এলাকাই এখন আলোকিত থাকছে।তারা আরো বলেন, শহরের মোড়ে মোড়ে সোলার ষ্ট্রিট লাইট স্থাপিত হওয়ায় শহরবাসী বহু অপরাধ কর্ম থেকে রেহাই পাচ্ছেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং হলেও সমস্যা হবে না। লোডশেডিং এর সময়ে সোলার
লাইটগুলো আলোকিত করে তুলছে অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা। এ বিষয়ে লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম জানান, পৌরসভার নিজস্ব বাতিগুলোর পাশাপাশি জনগণের বাড়তি সুবিধার জন্য সোলার স্ট্রিট লাইটগুলো পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় উন্নয়ন বোর্ড স্থাপন করা হয়। বিশেষ করে রাতে যখন বিদ্যুৎ থাকে না সে সময়ে বাতিগুলো উপকারে আসছে। রক্ষণাবেক্ষণ খরচও তুলনামূলক কম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ