Inqilab Logo

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফিলিস্তিনি ফুটবলপ্রধানের আহ্বান: ‘ইসরাইলে এসো না মেসি’

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

১০ জুন জেরুজালেমে ইসরায়েলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। ম্যাচকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে আর্জেন্টিনা তথা লিওনেল মেসি ভক্তদের উপর। তাদের চাওয়া, আর যাই হোক জেরুজালেমে ম্যাচ খেলে ফিলিস্তিনের প্রতি ইসরায়েলের অবৈধ আগ্রসনকে যেন স্বীকৃতি না দেন মেসি।
ব্যাপারটা ফুটবলীয় হলে কোন কথা ছিল না। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এই ম্যাচ থেকে রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে চায় ইসরায়েল। প্রথমে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল হাতিয়ায়। পরে ভেন্যু বদলে তা পশ্চিম জেরুজালেমের টেডি কোলেক স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। জেরুজালেমের এই অংশই প্রস্তাবিক স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী। ম্যাচকে তাই শ্রেফ ফুটবলীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখার সুযোগ নেই। ফিলিস্তিনিরা মনে করছেন, ইসরায়েল রাষ্ট্রের ৭০ বছর পূর্তি-উৎসবের অংশ হিসেবে এই ম্যাচের আয়োজন করতে যাচ্ছে ইসরায়েলি ফুটবল ফেডারেশন। ব্যাপারটি তাই আমলে নিয়েছে ফিলিস্তিনি ফুটবল এসোসিয়েশন (পিএফএ)। পিএফএ চিফ জিব্রল রাজুব অভিযোগ করেন, ‘ইসরায়েলি সরকার জেরুজালেমে ম্যাচটি আয়োজন করে রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে চাই।’
লক্ষ ফিলিস্তিনির প্রতিনিধি হিসেবে তাই রাজুব মেসির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এখানে এসো না মেসি। এখানে এসে ফিলিস্তিনির প্রতি ইসরায়েলি অবৈধ আগ্রসানকে স্বীকৃতি দিও না।’ তিনি বলেন, ‘মেসি হলো শান্তি ও ভালোবাসার প্রতীক। আমরা তাই তাকে বলছি এখানে অংশ নিয়ে দখলদারিত্ব ও অপরাধের ভাগিদার না হতে।’
কিন্তু নির্যাতিত ফিলিস্তিনিবাসীর এই আহ্বান কি শুনবেন মেসি? যদি না শোনেন তাহলে সারা বিশ্বের মুসলিমদের প্রতি রাজুবের আহ্বান, ‘আরব বিশ্বে মেসির লক্ষ লক্ষ ভক্ত রয়েছে। আমরা সবাইকে বলেছি মেসি যদি এখানে খেলতে আসে তাহলে তার ছবি ও জার্সি পুড়িয়ে প্রতিবাদ করতে এবং তাকে বয়কট করতে।’ সার্বিক ব্যাপারটা তাই মেসি আমলে নেবেন এমন বিশ্বাস রাজুবের, ‘আমরা এখনো আশা করছি মেসি আসবেন না।’
শুধু ফিলিস্তিন নয়, মেসি ইজরায়েলে খেলতে গেলে বিশ্বব্যাপিই তার ভক্ত-সমর্থকের সংখ্যা কমে যাওয়ার জোর শঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে অনেক সমালোচনাও শুরু হয়েছে। ভক্তদের অভিমত, ইসরায়েলে খেললে আর্জেন্টিনাকে বয়কট করবেন তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিনি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ