Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ রেলওয়েতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কম্পার্টমেন্ট বৃদ্ধি
বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমশ উন্নতি লাভ করছে। বছর বছর মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। অনেক বাংলাদেশি আরামদায়ক রেল ভ্রমণ ব্যয় নির্বাহ করতে পারেন বর্তমানে। রেলে যাতায়াত অধিকতর আরামদায়ক করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ ট্রেনে আরও বেশি সংখ্যক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং প্রথম শ্রেণির কম্পার্টমেন্ট সংযোজন করতে পারে। এটা বিলাসের চেয়ে ক্রমশ প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তিগত বাস মালিকরা এ সুযোগটি ঠিকই কাজে লাগাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে লোকসান দিয়ে চলেছে। রেলের ভাড়া বৃদ্ধির পরও তা বাস ভাড়া থেকে অনেক কম। রেলে যাতায়াত সড়ক অপেক্ষা অধিকতর নিরাপদ। রেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং প্রথম শ্রেণির কম্পার্টমেন্ট কম থাকাতে অনিচ্ছা সত্যেও উচ্চ ভাড়ায় বিলাসবহুল বাস ভ্রমণ করতে বাধ্য হচ্ছে। অধিকতর আরাম ও সুযোগ তৈরি করা হলে যাত্রীরা রেলে যাতায়াতকে অগ্রাধিকার দেবেন।
সরকার দীর্ঘ চার দশক পর বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে লাইন সংস্কার, লাইন নির্মাণ, ইঞ্জিন আমদানি, কম্পার্টমেন্ট আমদানি, এমনকি বৃহৎ ওয়ার্কশপ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এখন প্রতিটি ট্রেনের অর্ধেক কম্পার্টমেন্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও প্রথম শ্রেণির হওয়া সময়ের দাবি। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি পাবে এবং লোকসান হ্রাস পাবে। এমনকি তা না লাভ, না লোকসান পর্যায়েও উপনীত হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য সরকারের সংশ্নিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
মো. আশরাফ হোসেন
ব্যাংক টাউন, সাভার, ঢাকা।

 

চিকিৎসায় স্বচ্ছতা আনুন
পল্লী অঞ্চলে ক্লিনিক নির্মাণ ও বিনা মূল্যে ওষুধ প্রদান সরকারের সফলতা। তদুপরি চিকিৎসা ক্ষেত্রে পুরোপুরি বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করতে পারেনি। চিকিৎসার কথা শুনলেই সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ভোগে। ডাক্তার যেন আজকাল রোগীদের কাছে এক ভয়ের নাম। ভোগান্তির শিকার প্রধানত প্রসূতিরা। গজ-কাপড় ভেতরে রেখেই তড়িঘড়ি অপারেশনের পর পেট সেলাই করা হচ্ছে। এমনকি ভেজাল যন্ত্রপাতি দিয়ে রোগ পরীক্ষা ও ভেজাল ওষুধ সেবনে রোগ আরও চরমে। সাধারণ জ্বর বা মাথাব্যথায় ক্লিনিকে গেলে ডাক্তাররা স্বার্থ উদ্ধারে হাজার হাজার টাকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। অনেক চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানির স্বার্থ বিবেচনা করে ভেজাল ওষুধ ক্রয়ে প্রেসক্রিপশন করেন। নামিদামি ক্লিনিকের ডাক্তাররা রোগীদের সেবার পরিবর্তে টাকা হাতিয়ে নিতে প্রতিনিয়ত অপকৌশল অবলম্বন করছেন। সব হাসপাতালের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। দরিদ্রদের উন্নত চিকিৎসা প্রদানের সঙ্গে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সুনজরই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
তাইফুর রহমান মুন্না
মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন