Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভদ্রলোকের কর্মসূচি নয়, কঠোর আন্দোলন -ব্যারিস্টার মওদুদ

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসককে পতন করা যায়নি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধরুন। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কর্মসূচি দেয়া হবে। সেটা কোনো নরম কর্মসূচি কিংবা ভদ্র লোকের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হবে না। কঠোর আন্দোলন হবে, যা তারা (সরকার) কল্পনাও করতে পারবে না। তাদের (সরকার) আর কোন ভবিষ্যত নাই। গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত বিনা বিচারে হত্যাকাÐ ও মৌলিক অধিকার শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আমরা জানি কোনো ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচার সরকারকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে উৎখাত করা যায় না। পৃথিবীর কোথাও সম্ভবপর হয়নি, আমাদের দেশেও অতীতে হয়নি। তাই এখন আর শুধু ২০ দল নয়। সরকারবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। বিএনপিকে আরও উদার হতে হবে। সরকারকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি পুনরায় তুলে ধরে এজন্য সংবিধান সংশোধন করতে সরকারকে আহ্বান জানান তিনি। মওদুদ বলেন, সংবিধান মানুষের ঊর্ধ্বে নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা খালেদা জিয়া। এত বড় একটি দলের নেতৃত্বে দেন তিনি। তাকেই মিথ্যা মামলায় বন্দী রাখা হয়েছে। তাও কোথায়? একটি পরিত্যাক্ত কারাগারে। যেখানে তার সঙ্গী ছারপোকা, মশা, তেলাপোকা, ইঁদুর, টিকটিকি ইত্যাদি। এদের সাথে রাখলে তিনি স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থ হয়ে যাবেন।
সরকার খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে কষ্ট দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের বাইরে রাখার উদ্দেশ্যেই তার জামিন বিলম্ব করছে বলে অভিযোগ করেন ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, উচ্চতর আদালত জামিন দিলেও নিম্ন আদালতের কারণে তার মুক্তি হচ্ছে না। কারণ সরকার চায় না। বিলম্বিত করার পেছনে সরকারের কারসাজি রয়েছে। এটি তাদের হীনমন্যতা। তারা জানে না যে, যত বেশি দিন তাকে কারাগারে রাখা হবে তত বেশি জনপ্রিয়তা বাড়বে। খালেদা জিয়াকে বের করলে কি হবে সে ভয়েও সরকার তাকে বের করছে না।
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিনা বিচারে হত্যাকাÐ অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে এটা বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। এমনকি তাদের (ক্ষমতাসীন) বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, এটা বন্ধ করা দরকার। মাদক দ্রব্য নির্মূলের নামে ঠাÐা মাথায় মানুষ হত্যা করা হয়েছে। প্রতিটি হত্যার বিচার করা হবে। কারণ কে ব্যবসায়ী, কে দোষী, তার রায় কে দিলো? বিনা বিচারে হত্যার ক্ষমতা কে দিলো? যারা দিলো তাদেরও বিচার হবে দেশে। ৯ বছর কোনো পদক্ষেপ নিলেন না কেন?’
নির্বাচনের আগে মানুষের মাঝে ভয় সৃষ্টি ও বিরোধী দল দমনের লক্ষ্যে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে অভিযোগ করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা শুনেছি এখন জেলায় জেলায় আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে। অবিলম্বে এই অভিযান বন্ধ করুন। আপনারা যে শীর্ষ ৭৮ জন মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা করেছেন তাদের কাউকে এখনো ধরতে পারেননি। আগে তাদের ধরুন। নাগরিক আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা হাজী মো. মাসুক মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় গোলটেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

 



 

Show all comments
  • sharfuddin shawon ১৫ জুলাই, ২০১৮, ৪:৪৯ পিএম says : 0
    অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ,সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, ন্যায্যতার সংগ্রাম করতে অভদ্র হতে হয় না,সাহসী ও আদর্শবান নেতা হওয়া জরুরী।।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যারিস্টার মওদুদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ