Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শহীদ বুদ্ধিজীবীর ছেলের কাটা লাশ উদ্ধার

| প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর খিলগাঁওয়ে রেললাইন থেকে একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের ছেলে সুমন জাহিদের (৫২) ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে খিলগাঁওয়ের বাগিচা মসজিদ সংলগ্ন রেললাইনে তার লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। জাহিদ ফারমার্স ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার সেকেন্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় থাকতেন। এটি পরিকল্পিত হত্যা না দুঘর্টনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সুমন জাহিদের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্ত করা হচ্ছে। একই সাথে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে কথা বলেছেন বলে তিনি জানান।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতের বায়রা এটিএম এমদাদুল হক দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, গততকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কে বা কারা সুমনকে বাসা থেকে মোবাইল করে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর রেল লাইনে তার লাশ পাওয়া যায়। সুমনকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এসব তথ্য নিহতের স্ত্রী সুইটির কাছ থেকে জানতে পেরেছেন বলে জানান।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন নিহতের লাশ উদ্ধার করে এর সুরৎহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। তিনি জানান, শাহজাহানপুর থানা পুলিশের একজন এসআই-এর ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। তার শরীর ও মাথা দুইভাগ ছিল। এ ছাড়াও ডান কানের ওপরে ও কপালে দুইটা ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের কোনো যন্ত্রাংশ লেগে ক্ষতগুলো সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ট্রেনে কাটা পড়েছে এটা নিশ্চিত হলেও কোন ট্রেনের সঙ্গে কাটা পরে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
মৃতের শ্যালক সারোয়ার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সুমন জাহিদ ফারমার্স ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার সেকেন্ড অফিসার ছিলেন। আজ (গতকাল) সকালে তিনি কখন বাসা থেকে বেরিয়েছেন তা জানি না। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষী ছিলেন তিনি। সুমন জাহিদের স্ত্রীর নাম টুইসি। তাদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান। সুমন জাহিদের বাবার নাম জাহাঙ্গীর।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, সুমন জাহিদের মৃত্যুর ঘটনা আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা বলা কঠিন। তদন্ত না করে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শহীদ বুদ্ধিজীবী

১৫ ডিসেম্বর, ২০২১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ