Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীনা পণ্যে ফের শুল্কারোপের হুমকি

যুক্তরাষ্ট্র ‘বø্যাকমেইলিং’ করছে অভিযোগ, পাল্টা ব্যবস্থা নেবে চীন

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বাড়তে থাকা বাণিজ্য দ্ব›েদ্বর মধ্যে অতিরিক্ত আরও ২০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন তার অনুসৃত নীতি ‘পরিবর্তনে অস্বীকৃতি জানালে’ তাদের ওই পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে ট্রাম্প জানিয়েছেন। ট্রাম্পের কথামতো এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা চলমান বাণিজ্যিক দ্ব›দ্বকে আরও বাড়িয়ে তুলে তা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলার হুমকি তৈরি করবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। ট্রাম্পের এই হুমকির প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ‘বø্যাকমেইলিং’ করছে অভিযোগ করে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে চীন। অনেক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতার সুযোগ নিয়ে চীন অনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে বলে অভিযোগ ট্রাম্পের। গত সপ্তাহে তিনি চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ৬৫৯টি পণ্যের ওপর সমপরিমাণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় বেইজিং। সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে চীনের ওই ঘোষণার জবাবে ট্রাম্প বলেন, যারা ভুল কিছুই করেনি, যুক্তরাষ্ট্রের সেই কোম্পানিগুলোসহ শ্রমিকদের এবং কৃষকদের হুমকি দিচ্ছে চীন। ওই বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, অতিরিক্ত আর কোন কোন চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক বসানো যায় তা শনাক্ত করতে নিজের বাণিজ্য উপদেষ্টাদের বলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, যদি চীন তার ধরন পাল্টাতে অস্বীকার করে এবং স¤প্রতি ঘোষিত নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়ে অনঢ় থাকে তবে নতুন এই শুল্ক কার্যকর করা হবে। যদি চীন আবারও শুল্ক বৃদ্ধি করে তবে আরও ২০০ বিলিয়ন ডলার পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার পদক্ষেপ নেব আমরা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক অবশ্যই আরও ন্যায়সঙ্গত হতে হবে। ইতোমধ্যেই চীনের বার্ষিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের আওতাভুক্ত আট শতাধিক পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৬ জুলাই থেকে ওই শুল্ক আদায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আরও ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়ে পরামর্শ করছে তারা এবং পরবর্তী কোনো এক সময় সেটি আরোপ করা হতে পারে। এসব খবরে মঙ্গলবার এশিয়ার বাজারগুলোতে দরপতন হয়। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও নাজুক হয়ে পড়বে আশঙ্কায় সোমবার থেকেই স্টক মার্কেটগুলোতে দরপতন শুরু হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা শুল্কের কারণে দেশটির কয়েকটি খাত ক্ষতির মুখে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এসব খাত রক্ষার চেষ্টা করছে, কিন্তু খাতগুলো চীনা পার্টস ও সংযোজন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ