Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকায় ফিরতেও ভোগান্তি

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম


বিশেষ সংবাদদাতা : ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ভুক্তভোগিদের মতে, ঈদের আগেও যেমন ঈদের পরেও ঢাকায় ফিরতে একই রকম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঢাকা ফিরতে দূরপাল্লার বাসগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারনে যানজট এবং বাসগুলোতে অধিক ভাড়া আদায় করায় সাধারণ মানুষ বেছে নিয়েছে ট্রেন। যাত্রীদের অভিযোগ, কালোবাজারে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ট্রেনের টিকিট।
প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ঈদের পর দিন থেকে এই ফেরা শুরু হলেও গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে মহাসড়কগুলোতে গাড়ির চাপ ছিল না বললেই চলে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ছিল। হাইওয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, চাপ থাকলেও টাঙ্গাইল ছাড়া আর কোথাও কোনো যানজট ছিল না। তবে যাত্রীরা জানান, মহাসড়কে খানাখন্দের কারনে যানবাহনগুলো ধীরে চলার কারনে অতিরিক্ত সময় লাগছে।
কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকামুখি প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীদের উপচে পরা ভিড়। ট্রেনের ছাদেও শত শত যাত্রী আসছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। আলাপকালে রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত সোমবার থেকে যাত্রী আসা শুরু করেছে। তবে সেদিন খুব একটা ভিড় ছির না। গতকাল মঙ্গলবার থেকেই ভিড় বেড়েছে। আজ থেকে ভিড় আরও বাড়লেও সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে আগামী শুক্র ও শনিবার। ঈদের পরদিন থেকে বেশিরভাগ ট্রেন সময় মেনে চলছে বলে জানান রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা। তবে এবারও ঈদের আগে ট্রেনের সিডিউল ভেঙ্গে পড়েছিল। মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারনে যাত্রীরা এবার ট্রেনকে বেছে নিলেও বেশিরভাগ ট্রেন চলেছে দেরিতে। গতকালও দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী দ্রæতযানসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন চলেছে দেরিতে। আর ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলো কোনো সময় মেনে না চলায় সেগুলোতে যাত্রী হচ্ছে না।
এদিকে, সড়কপথে যাত্রীদের চাপ গতকাল পর্যন্ত খুব একটা ছিল না। এ কারনে মহাসড়কে খুব একটা ভোগান্তিও পোহাতে হয়নি। মহাখালী টার্মিনালের বাস মালিক সমিতির এক নেতা জানান, ঈদের পর সবেমাত্র মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। গাড়ির চাপ গতকাল পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। ফিরতি পথে ভাঙাচোরা মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতির কারনে কোনো কোনো স্থানে যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
ঢাকামুখি যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজট না থাকলেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২/৩টি স্থানে যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে। এজন্য সময়টা লেগেছে অনেক বেশি। গাবতলী টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে এখনও ৪/৫ ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে।
অপরদিকে, নৌপথেও ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌঘাটে গতকাল মঙ্গলবার সাময়িক সময়ের জন্য লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছিল বিআইডবিøউটিসি। ঈদে ঢাকাগামী মানুষের অতিরিক্ত চাপ থাকায় যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন। তিনি জানান, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ঝড়ো বাতাস শুরু হলে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এদিকে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ঘাটে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের ভিড় ক্রমেই বাড়তে থাকে।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোগান্তি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ