Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চাঁদপুরে বোরো আবাদে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত

উৎপাদন ২ লাখ ৪৮ হাজার মে.টন

| প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে : চাঁদপুরের ৮টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো চাষাবাদ ও উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। আবাদ হয়েছে ৬২ হাজার ৬ শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬ শ’ ২০ মে.টন ধান। যদিও চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ৬১ হাজার ২ শ’ ৬৬ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪ শ’ ৫৩ মে.টন ধান। ফলে ১ হাজার ৪ শ’ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ কম হলেও উৎপাদন ৩ হাজার ২ শ’ মে.টন বেশি হয়েছে। কৃষক বর্তমানে লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত শ্যালো বা ডিপ নলকূপ দিয়ে পানি সেচ, গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, বোনার পরিবর্তে সারিবদ্ধভাবে ধান রোপণ, উন্নত বীজ, পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ইরি-বোরোর ফলন আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ছিলা বলে কৃষিবিদরা জানান। চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষক। চাঁদপুর সেচ ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে ব্যাপক ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে ৫ হাজার ৬ শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার ৮শ’ ২৯ মে.টন, মতলব উত্তরে ৮ হাজার ৯ শ’ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ৩৬ হাজার ৩ শ’ ৭৭ মে.টন। মতলব দক্ষিণে ৪ হাজার ৯ শ’ ৮৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ২০ হাজার ৫ শ’ ৪৩ মে.টন, হাজীগঞ্জে ১০ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ৪১ হাজার ৫ শ’ মে.টন। শাহরাস্তিতে ৯ হাজার ৬ শ’ ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৫ মে.টন, কচুয়ায় ১২ হাজার ৭শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ৪৭ হাজার ৯০ মে.টন। ফরিদগঞ্জে ১০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ৩৯ হাজার ২ শ’ ৬০ মে.টন এবং হাইমচরে ৬ শ’ ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৫শ’ ৩৬ মে.টন ধান। চাঁদপুর নদীবিধৌত কৃষিভিক্তিক অঞ্চল বিধায় কৃষক সময়মত চাষাবাদ, বীজ রোপণ বা বীজবপন করে সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শী। কিন্ত এবার অসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়াতে বীজতলা পানিতে তলিয়ে অনেকটা চারা তোলা যায়নি, জমিতে রোপণ কার যায়নি। এ কারনে কাংখিত ফলন কম হয়েছে বলে জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন কৃষিবিদ জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাঁদপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ