Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রী আসলে সত্যতা স্বীকার করেছেন -রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৮, ৩:৫৯ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের ভোট কারচুপির সিলমোহর বানায় কিন্তু বিএনপি কমিশনের স্বাধীন সত্ত্বা কখনোই ক্ষুণ্ন করেনি। সুতরাং ‘বর্তমান সরকার বিএনপির মতো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী নয়’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এমন বক্তব্যের মাধ্যমে মূলত সত্য কথাই বলেছেন। রিজভী বলেন, দলের কর্মীদের এ কথা মাথায় রাখতে হবে যে প্রধানমন্ত্রী অকপটে সত্য কথাই বলেছেন। অবশ্যই বিএনপির মতো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না আওয়ামী লীগ। কেননা বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্র বিশ্বাস করে, আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশালে বিশ্বাস করে। বিএনপি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেয়, আওয়ামী লীগ ফেনী মার্কা নির্বাচন, হাজারী মার্কা নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে বিশ্বাস করে। বিএনপি বহুদল ভিত্তিক মতান্তরে বিশ্বাস করে, আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধ মতের লোকদের গুম করে।
আজ শনিবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব বলেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারী বোর্ডের এক সভায় প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘ভোটারদের আস্থা অর্জনসহ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন।’ কিন্তু আমি মনে করি এতদিনে যথার্থই উপলব্ধি করেছেন যে, তার এবং সরকারের প্রতি ভোটারদের আস্থা নেই। লুটপাট, দখল, ডাকাতি, ব্যাংকের টাকা তছরুপ, খুন, জখম, বেআইনি হত্যা, গুম, সন্ত্রাসীদের লালন পালন, ভোট জালিয়াতি ও একের পর এক ভোটারবিহীন নির্বাচন করাতে ভোটারদের আস্থা শুন্যের কোঠায় চলে গিয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর আর একটু উপলব্ধি করতে পারলে দেশের গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক হবে। সেটি হলো, নিজের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তাহলেই শুধু ভোটারদের আস্থা কিছুটা ফিতে আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখলে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য হচ্ছে জনগণের মন ভুলিয়ে ক্ষমতায় এসে একদলীয় বাকশালের মাধ্যমে নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদ কায়েম করা।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে অকুতোভয় উচ্চারিত কুৎসিত, অসংযমী বাক্যবিলাসে লিপ্ত আর বিএনপি সৌজন্যবোধ ও হিতাহিত জ্ঞানসম্পন্ন বক্তব্য বিবৃতি প্রদান করে।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের ভোট কারচুপির সীলমোহর বানায়, বিএনপি কমিশনের স্বাধীন সত্ত্বা কখনোই ক্ষুণ্ন করেনি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রধান শর্ত আলোচনা ও সংলাপ- যা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। বিএনপি সমঝোতার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অব্যাহত রাখায় বিশ্বাসী। আওয়ামী নেতারা শোনে কম, বলে বেশি। বিএনপি নেতারা বলে কম, শোনে বেশি। আওয়ামী নেত্রী ক্ষমতায় চিরস্থায়ী থাকার গ্যারান্টি হিসেবে পাশের দেশকে নিজে দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করে অনেক কিছু উজাড় করে দিয়েছেন আর বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার জন্য জনগণের ওপর নির্ভর করে। সুতরাং বিএনপির প্রক্রিয়া আর আওয়ামী লীগের প্রক্রিয়া এক নয়। আমার মনে হয় উল্লিখিত কথাগুলো জনগণের মাথায় খুব ভালোভাবেই গেঁথে আছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সামরিক একনায়করা নির্বাচনী কারচুপির মাধ্যমে জনগণের রায়কে ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি বলতে চাই, আবার অনেক সামরিক মহানায়কেরা বেসামরিক ফ্যাসিস্টদের কাছ থেকে জনগণকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করেছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর দেশে দেশে এর দৃষ্টান্ত ভুরি ভুরি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ