Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাস লঞ্চ ট্রেনে উপচেপড়া ভিড় ঢাকা ফিরছে মানুষ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৮, ১১:১০ পিএম

প্রিয়জনের সাথে ঈদ শেষে দলে দলে মানুষ ঢাকায় ফিরছে। বাস, লঞ্চ, ট্রেনে উপচে পরা ভিড়। পথিমধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের বিড়ম্বনা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহনের ধীর গতির কারনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। আজ রোববার থেকে ঢাকা আগের মতোই ব্যস্ত হয়ে উঠবে। ঈদের ছুটিতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা ছিল।
প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। ঈদের পর দিন থেকে এই ফেরা শুরু হলেও গতকাল শনিবার ছিল সবচে’ বেশি ভিড়। বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ঈদের আগে যেভাবে মানুষ গেছে গতকাল ঠিক একইভাবে মানুষ গাদাগাদি করে ফিরেছে।
কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকামুখি প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীদের উপচে পরা ভিড়। ট্রেনের ছাদেও শত শত যাত্রী আসছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। আলাপকালে রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার প্রতিটি ট্রেনের ছাদেই শত শত যাত্রী এসেছে। গতকাল তার চেয়েও বেশি ভিড় ছিল। দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী দ্রæতযান এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, পার্বতীপুর থেকে শুরু করে প্রতিটি স্টেশনে ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠেছে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ট্রেন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারেনি। কোনো কোনো স্টেশনে যাত্রীদেরকে মই দিয়ে ছাদে উঠানো হয়েছে টাকার বিনিময়ে।
এদিকে, সড়কপথে যাত্রীদের চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। মহাসড়কগুলোতে এখন ঢাকামুখি বাসে উপচে পরা ভিড়। ভাঙাচোরা মহাসড়কে ঢাকামুখি বাসগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারেনি। এদিকে, গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত যানজট লেগে আছে গত শুক্রবার থেকে। ভাঙাচোরা সড়কের কারনেই এ যানজটের সৃষ্টি। ভুক্তভোগিরা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী ঈদের আগে ভাঙাচোরা মহাসড়ক জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে মেরামত করা হয়েছিল। একদিনের বৃষ্টিতে সব ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। এ কারনে ঈদের আগে যানজট না হলেও ঈদের পরে আবার আগের অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গাবতলী টার্মিনালের বাস মালিক সমিতির এক নেতা জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় শুক্রবার ও গতকাল শনিবার ভিড় অনেক বেশি। বাসের ছাদেও আসছে মানুষ। ফিরতি পথে প্রচÐ গরম ও যানজটের ভোগান্তিতে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, ঈদের আগে ঢাকা থেকে বগুড়া যেতে সময় লেগেছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। অথচ ঈদের পর এখন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা লাগছে।
আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাওয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। গত শুক্রবার সকাল থেকেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঈদ ফেরত যাত্রীদের উপচে পরা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। একইভাবে মাওয়া ফেরিঘাটেও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত যাত্রীরা মাওয়া ফেরিঘাট হয়ে ঢাকায় আসছে। যাত্রীদের ভিড়ে ফেরিঘাট এলাকা এখন জমজমাট। এই সুযোগে স্পীডবোডের ভাড়াও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে স্পীডবোডে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকার পথে রওনা করছে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল ভোরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আগত সবগুলো লঞ্চই যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল। এমনকি কোনো কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রীও ছিল। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোতে তেমন যাত্রী ছিল না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাস


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ