Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভয়নগরের পুড়াখালীতে রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম

অভয়নগর (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৮, ৭:৪৬ পিএম

যশোরের অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পুড়াখালী বাওড় খনন ও রাস্তা বাঁধাই কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। বাওড়ের মাটি কেটে নতুন রাস্তা বাঁধাইয়ের কাজ চলছে। কচুরীপানা অপসারণ করে দেখানো হয়েছে খনন কাজ। কেটে ফেলা হয়েছে বাওড় পাড়ের শতাধিক ঔষধী ও ফলজ গাছ। এলাকাবাসী মৎস্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
গতকাল রোববার সরেজমিনে পুড়াখালী বাওড়ে গেলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা মৎস্য অফিস ও বাওড় কমিটিকে ম্যানেজ করে পুরাতন রাস্তার মাটি কেটে নতুন রাস্তা বাঁধাই কাজ করছে। ৬ ফুট প্রসস্থের রাস্তা নির্মানের নির্দেশনা থাকলেও স্থান ভেদে ২ থেকে ৩ ফুট করেছে। কিছু জায়গায় রাস্তা বাঁধাইয়ের কোন কাজই করা হয়নি। কাজের নামে কেটে ফেলা হয়েছে শত শত ঔষধী ও ফলজ গাছ, যার প্রায় অর্ধেকাংশ পড়ে আছে বাওড়ের পানিতে। বাকি অর্ধেকাংশ গাছ সাইজ করে গোপনে উপজেলার বিভিন্ন স’মিলে বিক্রি করেছে বাওড় কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান। এমনসব অভিযোগ তুলে গ্রামবাসী মৎস্যমন্ত্রী নারান চন্দ্র চন্দ-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, কার্যাদেশ মোতাবেক গাছ বাচিয়ে রাস্তা ও পাড় বাঁধাই এর কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শতাধিক গাছ কেটে বাওড় কমিটির সভাপতির মদদে তা হজম করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে সংবাদকর্মীর উপস্থিত টের পেয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসের একজন সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য নানাভাবে অনুরোধ করে চলেছেন। ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফের সাথে, তিনি জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ আবার শুরু করবে। সন্ধ্যা নাগাদ কাজ দৃশ্যমান হবে। বাওড়ের পাড় ও রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুরাতন রাস্তার মাটি কেটে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বলেন, এসকেভেটর পরিচালনার জন্য কিছু গাছ ও পুরাতন রাস্তার মাটি কাটা হয়েছে। এতে কোন সমস্যা হবে না। ৬ ফুট চওড়া পাড় ও রাস্তা ৪ হাজার ৪শ’ মিটার পর্যন্ত হবে। মোট ৩৪ লাখ টাকার কাজ। ৩ পর্বের প্রথম পর্ব ১১ লাখ টাকার কাজ শুরু হয়েছে মাত্র। বাকি পর্ব পরবর্তী বছর করা হবে। এ ব্যাপারে বাওড় কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে বাওড়ের কাটা গাছ বিক্রির অভিযোগ ঠিক না। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের সুবিধার্থে কিছু গাছ কেটেছে। কাজ শুরু হয়েছে শেষ করতে দেন। এ ব্যাপারে সদ্য যোগদানকারী অভয়নগর উপজেলা মৎস্য অফিসার ফেরদাউস আনসারীর বলেন, আমি এ এলাকায় নতুন যোগদান করেছি। বাওড় সম্পর্কে আমার কোন ধারনা হয়নি। খোঁজ খবর নিয়ে আপনাদের জানাবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ