Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিশুদের রক্ষা করুন

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৮, ১২:০২ এএম

শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। কারণ, আজকে যে শিশু, সেই আগামীতে অভিভাবক, সব কর্মের কর্ণধার। তাই শিশুকে ভালোভাবে লালন-পালন করা তথা উপযুক্তভাবে শিক্ষা দিয়ে, কর্মোদ্যোগী করে গড়ে তুলতে প্রতিটি দেশেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। বাংলাদশেও তাই করার চেষ্টা করা হয়। স্মরণীয় যে, দেশে শিশুর সংখ্যা বিপুল- কয়েক কোটি। যা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও অধিক। উপরন্তু দেশে মানুষের প্রজনন হার বেশি। তাই দেশে শিশুর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক শিশুর উপযুক্ত শিক্ষা-দীক্ষা নিশ্চিত করে তাদের গড়ে তোলার ব্যাপারে আমরা কি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পেরেছি?
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) বাংলাদেশে শিশু পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারের নিকট সুপারিশ পেশ করেছে। যা বাস্তবায়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকার শিশু আইন-২০১৩ প্রণয়ন করেছে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে শিশু অধিকার কি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে? হচ্ছে বলে মনে হয় না। গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞণ জানিয়েছেন, ‘দক্ষ হাতে প্রসব না হওয়ায় বাংলাদেশে দৈনিক ১৮ মা ও ৮ নবজাতক মারা যাচ্ছে। এভাবে বছরে মৃত্যু হয় ৬,৫৬৯ জন মায়ের ও ৭৪ হাজার নবজাতকের। মা ও শিশু মৃত্যুর বেশি ঘটনা ঘটে বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও অদক্ষ দাইয়ের হাতে সন্তান প্রসবে। গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষ দাই বা চিকিৎসকের হাতে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা নেয়া হলে মা ও শিশু উভয়ের মৃত্যু ঝুঁকি কমে যেতে পারে।’ অপরদিকে, সেভ দ্য চিলড্রেন ‘মেনি ফেসেস অফ এক্সক্লুশন’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গত ৩০ মে। এতে শিশুশ্রম, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়া, বাল্যবিবাহ এবং অল্পবয়সে গর্ভবতী হওয়াÑ এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ১৭৫টি দেশের র‌্যাংকিং করা হয়েছে। তালিকায় বাংলাদেশ আছে ১৩০ নম্বরে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারত আছে ১১৩ নম্বরে, পাকিস্তান ১৪৯, শ্রীলঙ্কা ৬০, ভুটান ৯৮, মালদ্বীপ ৫২, নেপাল ১৩৮ ও আফগানিস্তান ১৬০ নম্বরে। উক্ত প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের ১৮.৪% শিশু এখনও স্কুল শিক্ষার বাইরে আছে। আর বাংলাদেশে শিশু শ্রমের হার ৪.৩% ও বাল্যবিয়ের হার ৪৪.২%। এছাড়া, পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি এক হাজারে ৩৪.২%’। অন্যদিকে সরকারের জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি ২০১০-এ বলা ছিল, বাংলাদেশে ২০১৫ সালের মধ্যে সকল ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন হবে এবং ২০১৬ সালের মধ্যে কোনো শিশুই আর শ্রমে যুক্ত থাকবে না। কিন্তু জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩ অনুযায়ী, ৩৪.৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন ধরনের শ্রমের সাথে যুক্ত আছে। এর মধ্যে ১২.৮০ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিযুক্ত। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুর কাজ সব দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সরকার এখনও গৃহকর্মে নিযুক্ত শিশুশ্রম ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি। গৃহকর্মীদের সাথে অশালীন আচরণ, দৈহিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না উল্লেখ করে নীতিমালায় বলা হয়েছে, গৃহকর্মীর উপর কোনো হয়রানি ও নির্যাতন হলে বিচারের দায়িত্ব সরকারের। তবে সরকার সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)। স্মরণীয় যে, উক্ত জরিপের পর প্রায় ৫ বছর হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা আরো অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে নিঃসন্দেহে এবং তা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যা’হোক, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-২০১৭ পর্যন্ত শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে ১,৪৮০টি এবং শিশু ধর্ষণের ঘটনা ১,৯২৯টি। শিশুরা প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক শাস্তির সম্মুখীন হচ্ছে। এ ধরনের শাস্তি পরিবার, বিদ্যালয়, সমাজ ও শিশুর কর্মস্থলে এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রোধ করা সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এবং সরকারের এ সংক্রান্ত পরিপত্র রয়েছে। এদিকে শিশুবিবাহ শিশু নির্যাতনের আরেক নাম। শিশু বা বাল্যবিবাহ কেড়ে নেয় শিশুর শৈশব। ২০১৭ সালে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ৫২৪ জন। বাল্যবিয়ের জন্য মারা গেছে একজন এবং আহত হয়েছে ৫২৩ জন। ২০১৬ সালে বাল্যবিয়ের সংখ্যা ছিলো ৮৩ জন। অর্থাৎ ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে বাল্যবিয়ের সংখ্যা প্রায় ৭ গুণ বেড়েছে। অন্যদিকে, জন্ম নিবন্ধন বাল্যবিবাহ রোধ করে বিধায় সরকার শিশুর জন্ম নিবন্ধনকে উৎসাহিত করার জন্য বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড প্রোটেকশন ও চাইল্ড রাইটস গভর্ন্যান্স সেক্টরের তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর জন্ম নেয়া ৩০ লাখ শিশুর মধ্যে মাত্র ৩.৩% শিশুর জন্ম নিবন্ধিত হয় জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে। সঠিক সময়ে জন্ম নিবন্ধন না করার ফলে শিশুরা বাল্যবিবাহসহ অন্যান্য ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রান্তিক, ভাসমান ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। ইউনিসেফ প্রতিবেদন-২০১৮ মতে, বিশ্বে এক দশকে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ের হার ১৫% কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বেড়েছে। বাংলাদেশে ২০১১ সালে এর হার ছিল ৫২%, এখন ৫৯%। যা সংখ্যায় ৩৯.৩০ লাখ কন্যা শিশুর। অপরদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে, মায়ের বুকের দুধ শিশুদের জীবন বাঁচায়, প্রাণঘাতী ব্যাধি থেকে রক্ষা করে, সুস্থ বৃদ্ধির জন্য পুষ্টি প্রদান করে ও বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি করে এবং মায়ের ক্যান্সার হওয়া হ্রাস পায়। তবুও বাংলাদেশে শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার খুব কম। সম্প্রতি প্রকাশিত ইউনিসেফের তথ্য মতে, বাংলাদেশে নবজাতকদের ৫১% জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে এবং ছয় মাসের কম বয়সী ৫৫% শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হয়। অথচ এই হার আফগানিস্তানে ৯৮%, ভুটানে ৯৯%, নেপালে ৯৯% ও শ্রীলঙ্কায় ৯৯%। বাংলাদেশে শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার কম হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে নারীদের কর্মস্থলে ডে-কেয়ার সেন্টার না থাকা।
অপরদিকে, যেসব শিশু স্কুলে যাচ্ছে, তাদের বিরাট অংশ প্রাথমিকের স্তর উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ঝরে পড়ছে এবং তারা বিভিন্ন শ্রমে নিয়োজিত হচ্ছে। একই অবস্থা মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও। যেমন: প্রাথমিক পেরিয়ে মাধ্যমিক স্তরে যে শিক্ষার্থীরা আসে তাদের ৪০% ঝরে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি হিসাবেই। তবে বাস্তবে ঝরে যাওয়ার হার ৫০ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। ইউনেস্কোর ২০১৭-১৮ সালের প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশে অতিদরিদ্র পরিবারের ছেলেদের ৫৭% প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করলেও মাধ্যমিকে এসে তা ধরে রাখতে পারছে না। এসব পরিবারের ৯৬% শিক্ষার্থীই মাধ্যমিকের গÐি পেরোনোর আগে ঝরে পড়ছে। মেয়েদের মধ্যে এ হার আরো বেশি। অতিদরিদ্র পরিবারের ৬৮% মেয়ে প্রাথমিক পেরোতে পারলেও মাধ্যমিক শেষ করার আগেই ঝরে পড়ছে এদের ৯৭%।
অন্যদিকে, শিশুদের বিরাট অংশ নানা মাদক ও তামাক পাতা থেকে তৈরি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে নানা জাটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের আর একটি আসক্ত হয়ে পড়ার বিষয়টি দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সেটা হচ্ছে মোইল, কমিউটার, ইন্টারনেট, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং এর বিভিন্ন গেম ও পর্ণো ছবিতে। এতে করে শিশুরা নানা ধরনের ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইউনিসেফের অভিমত, প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শিশু যেমন প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট জগতে আসছে, একই সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার তাদের জন্য নানাবিধ ঝুঁকি তৈরি করছে। এসবের মধ্যে রয়েছে- ক্ষতিকারক বিষয়ের দিকে আসক্তি তৈরি হওয়া, যৌন হয়রানির শিকার কিংবা নিজের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়ে যাবার ঝুঁকি। অপরদিকে, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাদের নিয়মিত আনাগোনা, তাদের মধ্যে ডিপ্রেশন, মানসিক অস্থিরতা, কিংবা লোক দেখানোর দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার ভয়ের মতো প্রবণতা বেশি কাজ করে। এছাড়াও ফেসবুকে আসক্তদের মধ্যে মনঃসংযোগের অভাব ও মিথ্যা কথা লিখে নিজেকে জাহির করার প্রবণতাও রয়েছে। সমাজে আর একটি ব্যাধি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সেটা হচ্ছে মোবাইল গেম বা কম্পিউটারে গেম। অনেকে খেলতে খেলতে অনেক সময় বাস্তব জীবন থেকে সরে গিয়ে কম্পিউটার গেমে ডুবে থাকে। অনেক বেশি সময় ধরে কম্পিউটারে গেম খেলে। এটাই কম্পিউটার গেমে আসক্তি, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। মোবাইল ফোনেও এ ধরনের আসক্তি হতে পারে। ইদানীং ছেলে-মেয়েরা খুব বেশি কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে বাংলাদেশের শিশুর্ওা মুক্ত নয়! স্মরণীয় যে, দেশের শিশুদের বিনোদনের প্রয়োজনীয় যায়গা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে শহরে। এতে করে তাদের শারীরিক ও মানসিক গঠন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হতে পারছে না। উপরন্তু, দেশের প্রচার মাধ্যমেও শিশুদের বিনোদনের তেমন ব্যবস্থা নেই। ফলে তারা বাধ্য হয়ে বিদেশি প্রচার মাধ্যমের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ফলে তারা বিদেশি কৃষ্টি-কালচার ও ভাষার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। পিতা-মাতার কর্মব্যাস্ততার কারণে শিশুরা তাদের সঙ্গ তেমন পায় না। ফলে তাদের মধ্যে একাকীত্ব মনোভাব গড়ে উঠছে। এছাড়া, শিশু ধর্ষণ, নানা নির্যাতন যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শিশুদের মধ্যে বিরাট অংশ পথ শিশু। তারা শিক্ষা, খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। পথই তাদের ঠিকানা। আবার অনেকের পিতা-মাতা না থাকায় তারা ¯েœহ-মমতা ও ভালোবাসা থেকেও বঞ্চিত। তারা বড় হয়ে উঠছে নানা চরম প্রতিকূলতার মধ্যে। ইউনেস্কোর প্রতিবেদন-২০১৪ মতে, বাংলাদেশে পথ শিশুর সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। তাদের বেশিরভাগ চুরি, ছিনতাই, ভিক্ষা, মাদক বহন, যৌন কর্মে লিপ্ত। এদেরকে ব্যবহার করছে দুষ্ট লোকেরা। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর কয়েক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশে পথ শিশুর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে নিঃসন্দেহে।
নানা কারণে শিশুদের বিরাট অংশ বিপথে ধাবিত হয়েছে। ফলে তারা জাতির ভবিষ্যত না হয়ে বোঝায় পরিণত হচ্ছে। যা দেশের শান্তি ও উন্নতির জন্য মোটেও সুখকর নয়। এই অবস্থায় জাতির স্বার্থে, সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট শিশু ও তাদের পরিবারের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে শিশুদের অধিকারসমূহ পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। অর্থাৎ শিশুদের রক্ষা করতে হবে। এ দায়িত্ব শুধুমাত্র সরকারের একার নয়। পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, সমাজ তথা দেশের সকলের দায়িত্ব। বাল্যবিবাহ দেশে এক মারাত্মক সংকট সৃষ্টি করেছে। তাই যে কোন মূল্যেই হোক এটা বন্ধ করা আবশ্যক।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশু

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন