স্যালাইনের কৃত্রিম সংকটের ভয়াবহ অনিয়মের অভিযোগে মহাখালীস্থ জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার জনসাধারণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান চালায়। উপ-পরিচালক সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশসহ পাঁচ সদস্যের একটি টিম স্যালাইন উৎপাদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১১টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে ভয়াবহ অনিয়মের সন্ধান পায়।
অভিযোগে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটিতে গত এক বছরে স্যালাইন উৎপাদন প্রায় বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে কাঁচামাল ক্রয় বন্ধ রাখায় স্যালাইন উৎপাদন শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। উল্লেখ্য,ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রেখে বেসরকারি স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবসা চাঙ্গা করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। অভিযানকালে পরিচালক ড. আবুল কালাম মোহাম্মদ আজাদ স্বীকার করেন, কাঁচামাল কিনতে না পারায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, গত অর্থবছরে এ প্রতিষ্ঠানের বাজেটের ৮ কোটি টাকা ফেরত গিয়েছে। এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলেও কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়।
অবিলম্বে এ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গোচরে আনা হবে। তিনি আরো বলেন, কোনো যৌক্তিক কারণ ও ভিত্তি ছাড়া উৎপাদন বন্ধ রাখাও এক ধরনের দুর্নীতি। অনুসন্ধানে এ দুর্নীতি প্রমাণিত হলে দুদক আইনানুগ ব্যবস্থার পথে যাবে।