Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

২০১৯ অর্থবছরে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতি

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

২০১৮ অর্থবছরে পাকিস্তানের অর্থনীতি অনেক ধরনের ধাক্কার মুখে পড়েছে এবং প্রায় সবগুলো সূচকেই পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে, বিষয় হলো সবচেয়ে খারাপ সময়টা এখনও আসেনি। ২০১৯ অর্থবছরে আরও নতুন ও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ২০১৭ অর্থবছরে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫.৩% জিডিপি ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ অর্থবছরে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫.৭-৫.৮% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। কিন্তু ২০১৯ অর্থবছরে এটা কমে ৪.৭-৪.৮% এ নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছরে অর্থনৈতিক সূচকগুলোর অবনতি হয়েছে এবং এতে অর্থনীতির অবস্থার অবনতি হবে।
“পানির সঙ্কট ২০১৯ অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে”। বিএমএ ক্যাপিটালের অর্থনীতিবিদ মুহাম্মাদ ফাওয়াদ খান দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে, ২০২৫ সাল নাগাদ বড় ধরনের পানি সঙ্কটে পড়তে পারে পাকিস্তান। চলতি অর্থবছরে পানি সঙ্কটের কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। এটা অর্থনীতির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, মূলত সিন্ধু এলাকার তুলা চাষীরা গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির অভাবে প্রায় তিন মিলিয়ন হেক্টর জমিতে তুলার বীজ বপন করতে পারেনি। এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ২০১৮ অর্থবছরের শুরুটা ইতিবাচক হয়েছে এবং জিডিপি বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। তবে নির্বাচনের বছর হওয়ার রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে এই প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
আইএমএফ’র দ্বারস্থ হওয়া
অর্থনৈতিক এই দুরবস্থার মধ্যে দেশের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ মারাত্মক কমে গেছে। ২০১৮ সালের ২২ জুন যে পরিমাণ বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ ছিল, তা দিয়ে মাত্র দুই মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। তিনি বলেন, “এটা এখন অবশ্যম্ভাবী যে শিগগিরই পাকিস্তানকে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হতে হবে”।
২০১৯ অর্থবছরের জন্য ৬% জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে সরকার। তবে, “২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪.৮% অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছি আমরা”। বিআইপিএল সিকিউরিটিজ অর্থনীতিবিদ জাহানজেব জাফর এই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সময়মতো সংশোধনী ব্যবস্থা নেয়া না গেলে ২০১৯ অর্থবছরে সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান। তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান গত বছর থেকে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতির মধ্যে রয়েছে এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে পরিশোধের উপযোগী অর্থ সঙ্কট তৈরি হবে এবং একই সাথে মুদ্রার মানেরও অবনতি হতে পারে। এগুলো সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে একটা সঙ্কট তৈরি হচ্ছে”।
২০১৮ অর্থবছরের রেজাল্ট কার্ড সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে দেখা গেছে রুপির মানের ১৫% অবনতি হয়েছে। এক ডলারের বিপরীতে মান দাঁড়িয়েছে ১২১.৪৯ রুপি। প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর ২০১৭) মুদ্রার মান ১০৫.৫ রুপিতে স্থির ছিল। তবে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে তিন দফায় রুপির মান পড়ে যায়। ২০১৮ সালের মে মাসে আমদানি বিলের পরিমাণ দাঁড়ায় রেকর্ড ৫.৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এবং চায়না পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার কারণে এই বিলের অঙ্ক বেড়েছে। সূত্র : এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ