Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি’ নিয়ে ঢাবিতে আলোচনা

বাংলাদেশ ছাড়া দ. এশিয়ায় ভারতের কোনো বন্ধু নেই

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৮, ৩:২২ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা আলোচনা হয় সেটা হলো আগামী জাতীয় নির্বাচন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি আবার হবে কিনা তা নিয়ে সবার মধ্য একটা আশংকা কাজ করছে। এ নিয়ে সবার মধ্য অস্থিরতা এবং ভয় কাজ করছে। যদিও এটা নতুন কিছু নয়। তবে আমার মনে হয় অতিতের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে বেশি রাজনৈতিক সংকট চলছে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে ‘বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কোনো বন্ধু নেই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান যথেষ্ট। কিন্তু ভারত সব সময় বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। আর এটা বুঝতে প্রণব মুখার্জির বই যথেষ্ট। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূলত অ¤ø­ মধুর মতো।
বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন না হলে কট্টর ইসলাম পন্থীদের প্রভাব বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই এখন বলছে এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা? তবে তার থেকে বড় প্রশ্ন হলো সকল দল নির্বাচনে যাবে কিনা। গণতন্ত্রের এই একটা বিষয় নিয়ে সবাই ভাবছে। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে কারোর কোনো চিন্তাভাবনা নেই এটাই আমাকে অবাক করে। অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনা হওয়া উচিৎ।
বৈশ্বিক ভাবে এখন বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বেড়েছে জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা একটি ভিন্ন মর্যাদা এনে দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বিস্তার ক্রমান্বয়েই বাড়ছে। সেখানে ভারতও প্রতিযোগি হওয়ার চেষ্টা করছে। প্রকৃত অর্থে তারা পেরে উঠছে না। তাদের সাথে বাংলাদেশ ছাড়া আর কেউ নেই। এখানের সব বিষয়েই তাদের যতটুকু দৌরত্ম রয়েছে। এটা আর কোথাও নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, কতৃত্ববাদী শাসনের অবসান হলেই যে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বিষয়টা আসলে তা নয়। ১৯৯১ সালেই সিভিল সোসাইটিকে দলীয় করণ করা হয়েছে। এতে করে সিভিল সোসাইটির মধ্য বিভক্ত তৈরি হয়েছে। গত কয়েক দশকে নতুন করে শ্রেণি বৈষম্য বেড়েছে। সুইস ব্যাংকে টাকাতো বাংলাদেশীরাই রাখছে। কিন্তু সেটার কোনো ব্যাখা রাষ্ট্রের কাছে নেই। বিএনপির অন্যতম রাজনৈতিক উপাদান হলো ভারত বিরোধিতা করা আর ক্ষমতাসীনদের ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ এসব একেকটা অর্থ বহন করে।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর ফেলো রাষ্ট্র বিজ্ঞানী রওনক জাহান বলেন, বিশ্ব নেতৃত্ব দেখছে শুধু তরুণদের। ওবামা জাস্টিন ট্রুডোরা যখন তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করছে তখন বাংলাদেশ শুধু বুড়োদের খুঁজে বেড়ায়। তরুনদের প্রতিনিধিত্ব এবং তাদের মেধার মূল্যায়নের বিষয়টিও আমাদের ভাবতে হবে।
রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট ও জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে। রিডিং ক্লাব ট্রাস্টের সভাপতি আরিফ খান, নির্বাহী প্রধান জুলফিকার ইসললাম প্রমূখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজনীতি

২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ