Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মালয়েশিয়ায় সাজা শেষে ১৪৯ জন দেশে ফিরছেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৮, ১:৩২ এএম

বন্দি জীবন কাটিয়ে চলতি মাসেই মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১৪৯ জন। এরা সবাই কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ক্যাম্পে বন্দি ছিলেন। এদের মধ্যে পিকে নানাস ক্যাম্পে ছিলেন ১৩৭ জন ও সিমুনিয়া ক্যাম্পে ১২ জন।
জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্ত প্রবাসী কর্মীদের অনেকেরই দেশে ফেরার বিমানের টিকেট কেনার অর্থ নেই। তারা পরিবারের সদস্যদের মুখে হাঁসি ফোটাতে ভিটেমাটি, সহায়-সম্বল বিক্রি করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বন্দি শিবিরে অসহায়ত্বের ঘানি টেনেছেন।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারাগার ও ক্যাম্পে যারা আটক আছেন, তাদের অধিকাংশই অবৈধভাবে প্রবেশ করে অবস্থান করায় গ্রেফতার হয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন এবং পাসপোর্ট আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। গত শুক্রবার দেশটির সিমুনিয়া ডিটেনশন ক্যাম্প পরিদর্শন করে এ তথ্য জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল।
গত ১ জুলাই জহুর বারু পিকে নানাস ক্যাম্প পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম। এ সময় তিনি পিকে নানাস ক্যাম্প কর্মকর্তাদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন। সভায় শহীদুল ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকদের দ্রæত দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিদিনের মেগা-থ্রি অভিযানে কতজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে এখন পর্যন্ত তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল জানান, কারাগারে অহেতুক বন্দি না রেখে দ্রæত দেশে প্রেরণ এবং যাদেরকে কাজে নিতে চায় তাদেরকে কোম্পানির অধীনে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া যারা রি-হায়ারিং প্রক্রিয়ায় আছে তাদের যেন বৈধ হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়। ক্যাম্পে ৫৩ জনের সাক্ষাৎ শেষে তিনি বন্দিদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করে।
তিনি বলেন, সিমুনিয়া ক্যাম্প থেকে আগামী সপ্তাহে ১২ জন দেশে ফেরত যাবেন। অন্যদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে দুইজন ক্যাম্পে রয়েছেন। ক্যাম্প কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে, এই দুইজনকে যেন সেফ হাউসে রাখা রাখা হয়।
মালয়েশিয়ার সিমুনিয়া, লেঙ্গিং, জুরুত, তানাহ মেরায়, মাচাম্বু, পেকা নানাস, আজিল, কেএলআইএ সেপাং ডিপো, বøান্তিক, বুকিত জলিল ও পুত্রজায়ায় সা¤প্রতিক অভিযানে আটককৃত বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজারের বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাইকমিশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানায়, এসব ক্যাম্পে ৭ শতাধিক বাংলাদেশি রয়েছেন যাদের সাজা শেষ হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মালয়েশিয়া

৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ