Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পন্টুনবিহীন লঞ্চঘাটে জীবনের ঝুঁকি

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 প্রমত্তা মেঘনার পাড়ে হাইমচর উপজেলায় নৌপথে যাতায়াতের জন্যে রয়েছে একাধিক লঞ্চঘাট। অথচ এসব ঘাটের একটিতেও পন্টুন নেই। নেই যাত্রী ছাউনিও। ফলে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত যাত্রীকে লঞ্চে ওঠানামা করতে হচ্ছে।
চাঁদপুরের হাইমচর-ঢাকা নৌ-পথে প্রতিদিন ৪টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। উপজেলার নীলকমল লঞ্চঘাট, হাইমচর লঞ্চঘাট, তেলির মোড় ও চরভৈরবী লঞ্চঘাটে দেখা যায়, মেঘনা তীর রক্ষা বাঁধের সাথে নোঙর করে লঞ্চ ভেড়ানো রয়েছে। লঞ্চ থেকে সরু কাঠের গ্যাংওয়ের ওপর দিয়ে যাত্রীরা নদীর পাড়ে নেমে আসে। এতে করে একদিকে যেমন তীররক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় সীমাহীন।
নীলকমল লঞ্চঘাট কথা হয় যাত্রী সীমা আক্তারের সাথে। তিনি জানান, বাচ্চা কোলে করে নামতে হচ্ছে। একহাতে বাঁশ ধরেছি, অন্য হাতে বাচ্চা ধরে লঞ্চ থেকে নেমেছি। একটু এদিক-সেদিক হলেই পানিতে পড়ার সম্ভাবনা ছিলো।
মনজুমা বেগম নামের এক বৃদ্ধা বলেন, অনেক কষ্টে লঞ্চ থেকে নেমেছি। সদরঘাট থেকে লঞ্চে উঠতে কোনো কষ্ট হয়নি, এখন নামতে গিয়ে দেখি দুর্দশার সীমা নেই। স্থানীয়রা জানান, হাইমচরে এ লঞ্চঘাটগুলোতে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে। দীর্ঘদিন পন্টুন না থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হলেও পন্টুন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অনেকে লঞ্চ থেকে নামার সময় পানিতেও পড়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ।
এ ব্যাপারে তাকওয়া লঞ্চের সুপারভাইজার মন্টু পেদা বলেন, পন্টুন ও যাত্রী ছাউনির জন্যে অনেকবারই লঞ্চ মালিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পন্টুন ও যাত্রী ছাউনি করা হয়নি। আশা করছি, খুব দ্রæত যাত্রীদের এসব সমস্যা সমাধান হবে। পন্টুন না থাকায় হাইমচরের লঞ্চঘাট থেকে যাত্রী ওঠানামা করতে গিয়ে যে কোনো মুহুর্তেই ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। তার আগেই যথাযথ কর্তৃপক্ষ পন্টুন ও যাত্রী ছাউনি স্থাপন করবে এমন প্রত্যাশা যাত্রী ও সচেতন মানুষের। হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুর হোসেন পাটোয়ারী বলেন, লঞ্চ যাত্রীদের দুভোর্গের বিষয়টি বিআই ডবিøউ টিএর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রীকে অবহিত করেছি। কিন্তু এখনো পন্টুন ও যাত্রী ছাউনি স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ