Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৩৫০০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করবে আইসিবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পুঁজিবাজারের চাকা সচল রাখতে সদ্য শুরু হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নতুন করে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে রাষ্ট্রায়ত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। পাশাপাশি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সেকেন্ডারি মার্কেটে ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের শুরুতেই বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তিতে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এ টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে আইসিবি’র এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নতুন করে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে আইসিবি। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের চুক্তি হয়েছিল। মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত ২ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ হয়েছে।
২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর এ সময়ে আইসিবি মোট ৪ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করেছিল।
আইসিবি সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে স্টক এক্সচেঞ্জের সেকেন্ডারি মার্কেটে আইসিবি প্রতিদিনই লেনদেন করছে। গত তিন বছরে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আইসিবি মোট লেনদেন করেছে ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। যা এক্সচেঞ্জগুলোয় সংঘটিত মোট লেনদেনের ১০.৩৬ শতাংশ। আর এ ধারা বজায় রাখার জন্য চুক্তিতে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে আইসিবি স্টক এক্সচেঞ্জগুলোয় ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্রধান লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আরো রয়েছে, ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা মার্জিন ঋণ এবং ৩৫০ কোটি টাকা প্রকল্প ঋণ ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড সার্টিফিকেটের বিপরীতে অগ্রিম বিতরণ। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ৬৬৫ কোটি টাকা মার্জিন ঋণ বিতরণ করেছে। এর আগের হিসাব বছরে মোট ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার মার্জিন ঋণ বিতরণ করেছিল।
চলতি অর্থ বছরে ১ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা মার্জিন ঋণ এবং ৯৫ কোটি টাকা প্রকল্প ঋণ ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড সার্টিফিকেটের বিপরীতে অগ্রিম আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ৬৬৪ কোটি টাকা মার্জিন ঋণ আদায় হয়েছে। এর আগের হিসাব বছরে মোট ১ হাজার ৭৯২ কোটি টাকার মার্জিন ঋণ আদায় হয়েছিল। আইপিও ত্বরাণ্বিত করতে এই অর্থবছরে ১০টি কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজমেন্ট এবং আটটি কোম্পানির আন্ডারাইটিং। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ১১টি ইস্যু ম্যানেজমেন্ট ও ৪ কোম্পানির আন্ডার রাইটিংয়ের কাজ করেছে আইসিবি। ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরে ৬টি করে ইস্যু ম্যানেজমেন্ট ও আন্ডার রাইটংয়ের কাজ করেছিল।
সঞ্চয় সংগ্রহ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে ২ হাজার ৫০০ সংখ্যক মার্কেট পার্টিসিপেন্ট সৃষ্টি এবং ৭০ কোটি টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ড সার্টিফিকেট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার ৭৫৭ সংখ্যক মার্কেট পার্টিসিপেন্ট সৃষ্টি এবং ৪৮ কোটি টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ড সার্টিফিকেট বিক্রি হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিনিয়োগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ