Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পার্থক্য গড়ে দেয়া ভিএআর

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৮, ১০:০৪ পিএম

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হচ্ছে ভিডিও এসিস্ট্যেন্ট রেফারি (ভিএআর)। ম্যাচের ফলাফলের উপর ভালোই প্রভাব রাখবে এই প্রযুক্তি, সেটা অনুমিতই ছিল। তাই বলে এভাবে, সেটা হয়ত আয়োজকরাও বোঝেন নি। বেশ অনেকগুলো ম্যাচেই রেফারিরা ভিএআরের সহায়তা নিয়েছেন, তার মধ্যে এই পাঁচটি ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে নতুন এই প্রযুক্তি-
গ্রæপ ‘সি’ ম্যাচ
ফ্রান্স ২-১ অস্ট্রেলিয়া
এই ম্যাচেই প্রথমবারের মতো ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল। বক্সের মধ্যে গ্রিজম্যানকে ফেলে দিলেও রেফারি আন্দ্রেস কুনহা খেলা চালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে ভিডিও কন্ট্রোল রুম থেকে তার কাছে বার্তা আসলে খেলা থামিয়ে পুনরায় ভিডিও দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন তিনি। এটি থেকে গোল করেই ভিএআরের সাহায্যে গোল করা প্রথম খেলোয়াড় হয়ে গেছেন গ্রিজম্যান।
গ্রæপ ‘ই’ ম্যাচ
ব্রাজিল ২-০ কোস্টারিকা
ম্যাচের তখন ১২ মিনিট বাকি। বক্সের ভেতর কোস্টারিকার খেলোয়াড় গঞ্জালেজের সাথে বল দখলের লড়াইয়ে না পেরে পড়ে যান নেইমার। সাথে সাথে রেফারি বিয়ন কুপার্স পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু ভিএআরের পরামর্শে আরেকবার ভিডিও দেখেন রেফারি, এবং পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি বাতিল করার প্রথম ঘটনা এটি।
গ্রæপ ‘বি’ ম্যাচ
ইরান ১-১ পর্তুগাল
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে এটিকে পেনাল্টি দেন রেফারি। যদিও রোনালদো সেটি থেকে গোল করতে পারেননি, কিন্তু এই পেনাল্টিটি দিয়েই ইতিহাসের পাতায় নাম তুলেছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। এটি ছিল এই বিশ্বকাপের ১৯ তম পেনাল্টি, আগের রেকর্ড ১৮ তম পেনাল্টিকে ছাড়িয়ে যাওয়া পেনাল্টি ছিল এটি।
এই ম্যাচেই আরও দুইবার ভিএআরের সাহায্য নিতে হয়েছে রেফারিকে। ইরানের এক খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে ধাক্কা মারার অপরাধে রিপ্লে দেখে রোনালদোকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি, আর ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি পায় ইরান।
গ্রæপ ‘বি’ ম্যাচ
স্পেন ২-২ মরক্কো
ইরান যখন ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি পেয়েছিল, প্রায় একই সময়ে রাশিয়ার আরেক প্রান্তে ভিএআরের সহায়তায় গোল পেয়ে বিশ্বকাপ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিল স্পেন। ইয়াগো আসপাসের শট জালে জড়ালেও সহকারী রেফারি সেটিকে অফসাইড দেন। কিন্তু ভিএআরের সহায়তায় পরে সেটিকে গোল দেয়া হয়।

শেষ ষোলো
সুইডেন ১-০ সুইজারল্যান্ড
ম্যাচের একদম শেষ দিকে দ্রæত প্রতি আক্রমণে উঠেছিল সুইডেন। মার্টিন ওলসনের গতির সাথে তাল মেলাতে না পেরে তাকে পেছন থেকে ফাউল করে বসেন সুইজারল্যান্ডের মাইকেল ল্যাং। রেফারি প্রথমে পেনাল্টি দিলেও পরে ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল করে ফ্রিকিক দেয়া হয়। ল্যাংয়ের লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত অবশ্য বহাল থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ

২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ