Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজধানীতে তুচ্ছ ঘটনায় হত্যাকান্ড ও মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে জমির বিরোধে সাদিকুল ইসলাম শিপন (২৩) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া উত্তরখানে গাছ কাটা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়ায় কাজী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (৫২) নামে অপর একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিাবর মধ্যরাতে ও গতকাল সকালে এ দুটি ঘটনা ঘটে।
শিপনের বাবা কুদ্দুস মিয়া জানান, পল্লবীর বারনটেকে নিজের বাড়িতে থাকেন তারা। শিপন গাড়ীর ব্যবসা করত। বাড়িটির তৃতীয় তলায় পরিবারের সবাই থাকেন। অন্যান্য ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়ারা থাকেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শিপন বাসা থেকে বাইরে যায়। রাতে আর বাসায় ফেরেনি। মধ্যরাতে বাসার নিচে ওড়না দিয়ে হাত-পা বাধা অবস্থায় তার লাশ পান তারা। পরে থানায় জানালে পুলিশ এসে সকালে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কুদ্দুস মিয়ার অভিযোগ, জায়গা নিয়ে তার ভাইর (নিহতের চাচা) সাথে তাদের দ্ব›দ্ব রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এ নিয়ে একাধিকবার ঝগড়া-বিবাদও হয়েছিল। জায়গা নিয়ে শত্রæতার জেরে শিপনকে তার ভাই হত্যা করিয়েছে।
পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির জানান, খবর পেয়ে ভোরে শিপনের বেড রুম থেকে ওড়না দিয়ে হাত ও পা বাধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার (শিপনের) পরিবার বলছেÑ লাশটি বাসার নিচের মাটিতে পাওয়া গেছে। কিন্তু আমরা শিপনের শোয়ার রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করি। মাটিতে লাশ থাকার কোন প্রমান পাইনি। এটি রহস্যজনক হত্যাকাÐ মনে হচ্ছে। ওসি আরও জানান, জায়গা-জমি নিয়ে শিপনের বাবার সঙ্গে তার চাচার দ্ব›দ্ব রয়েছে। তাই পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিপনের চাচা ও চাচাত বোনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃত আব্দুল্লাহর ছোট ভাই কাজী শামসুল হক অভিযোগে বলেন, তার ভাই উত্তরখানের জামতলা মধ্যপাড়া এলাকায় থাকেন। গতকাল সকালের দিকে প্রতিবেশী কামাল একটি বড় আম গাছ কাটছিলেন। গাছটি কাটা শেষ হলে বড় ভাইয়ের বাড়ির গেটের সামনে গিয়ে পড়ে। এতে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে গাছটি সরানোর কথা বললে তাদের মধ্যে কথাকাটি হয়। একপর্যায়ে কামাল তার হাতে থাকা ‘দা’ নিয়ে ভাইয়ের (আব্দুল্লাহ) দিকে তেড়ে গেলে তিনি ভয় পান এবং হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শামসুল হক আরও বলেন, ‘কামাল আামর ভাইকে হত্যা করেছে। সে দা নিয়ে তাড়া না দিলে কোন ঘটনা ঘটতো না। আমি এ হত্যার বিচার দাবি করছি।’ দুই সন্তানের জনক আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ রেলওয়ের টেলিকম বিভাগে চাকরি করতেন বলে স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে।
উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ঘটনাটি অনুসন্ধ্যান করেছে। মৃতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এছাড়া এখনো কেউ থানায় মামলা করেনি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ