প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের প্রথম কংক্রিটের ঢালাই উদ্বোধন করেছেন। গতকাল দুপুরে তিনি উদ্বোধনী মঞ্চে ভাষণে বলছেন, আমারা যখনই কোন ভাল কাজ করি, একটি মহল আছে যারা আতংক সৃষ্টি করে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এ কেন্দ্র নির্মাণে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দীর্ঘ ২০ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিগত পাকিস্তান আমলে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের কোন কাজের অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করার পর জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছর যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদশেকে গুছিয়ে নিয়ে তাঁর সময়ে দেশ ৭% প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি জাতির পিতা এবং জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ভারত ও তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অকৃত্রিম সহযোগিতা দিয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানী বাহিনীর মাইন পোঁতা ছিল চট্টগ্রামে। এটি রাশিয়া অপসারণ করে দেয়। এ সময় তাদের কয়েকজন মৃত্যু বরণ করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি ইভানোভিচ বোরিসভ, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিচালক দোহি হ্যান এবং বাংলাদেশে এটমিক কমিশনের প্রধান বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাই। ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় না আসার কারণে এই কাজ থেমে যায়। এরপর ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে এই কাজে হাত দেই। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির পুতিন। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে দেশের ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হলে বিদ্যুৎ-এর ঘাটতি থাকবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, মোঃ নাসিমসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং দলীয় এমপিরা উপস্থিত ছিলেন ।
এদিকে গতকাল সকালে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০১৮ (১ম রাউন্ড) পাবনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা সদর এম.পি গোলাম ফারুক প্রিন্স। সভাপতি করেন স্বাহ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব হাবিবুর রহমান খান। ডা: আনানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পাবনার সিভিল সার্জন ডা: মো: তাহাজ্জেল হোসেন। ##