Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শেয়ার কেলেঙ্কারি আত্মসমর্পণ পর কারাগারে মার্ক বাংলাদেশের পরিচালক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:৪১ এএম

মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিটির শেয়ার কেলেঙ্কারী মামলায় অভিযুক্ত আসামী কোম্পানির পরিচালক সালমা আক্তার আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের পর তিনি জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গতকাল পল্টনে শেয়ারবাজার বিষয়ক বিশেষ ট্রাইবুন্যালে এ রায় দেন ট্রাইব্যুন্যালের বিচারক আকবর আলী শেখ। এর আগে গত ২৪ জুন মামলায় অভিযুক্ত কোম্পানিসহ চার আসামীকে ৫০ লাখ টাকা করে মোট ২ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন শেয়ারবাজার বিষয়ক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তিন আসামীকে পাঁচ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন।
বিচারক বলেন, অভিযুক্তরা যোগসাজশে লাভবান হয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্তরা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর ১৭ ধারার (ই) (২) উপ-ধারা লঙ্ঘন করেছেন। যা একই অধ্যাদেশের ২৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য।
এর আগে কোম্পানিটির শেয়ার কেলেঙ্কারী মামলায় ১২ জুন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আর গত ৬ জুন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. এম.এ রশীদ সরকার সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া ৭ মে বুয়েটের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হেলালী ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহুরুল হক ও ১২ এপ্রিল বিএসইসির নির্বাহি পরিচালন এটিএম তারিকুজ্জামান সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যে এটিএম তারিকুজ্জামান মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি পরিদর্শন করেছেন বলে জানান। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দ্ধারা স্থায়ী সম্পদের মূল্য অনেক বেশি সত্যতা পান। এছাড়া এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে বেনামে শেয়ার বিক্রয় করে বলে সাক্ষ্য দেন তিনি।
গত ৩ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য দেন বিএসইসির আরেক নির্বাহি পরিচালক ফরহাদ আহমেদ। যিনি মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো এমন ঠক ও প্রতারক কোম্পানি জীবনে কোনদিন দেখেননি বলে সাক্ষ্য দেন। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারে ধসের জন্য যে কয়টি কোম্পানি দায়ী, মার্ক বাংলাদেশ তারমধ্যে প্রথম সারির বলে জানান তিনি। ওইদিন ফরহাদ আহমেদ বলেন, মার্ক বাংলাদেশের স্থায়ী সম্পদের বাজার মূল্য বেশি দেখিয়ে সাধারন বিনিয়োগকারীদেরকে কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়। যার সঙ্গে কোম্পানিটির পর্ষদ জড়িত ছিল। এর আগে বিএসইসির উপ-পরিচালক এএসএম মাহমুদুল হাসান ও সাবেক উপ-পরিচালক শুভ্রকান্তি চৌধুরী সাক্ষ্য দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ