Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ক্ষতি ৩০ কোটি টাকা

বেনাপোল বন্দরে দ্বিতীয় দিনের মতো বাণিজ্য বন্ধ

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

 বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে কাস্টমস ওয়েব্রীজে বিজিবি স্থায়ীভাবে অবস্থান নেয়ার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। গত রোববার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দর থেকে সব ধরনের মালামাল খালাশ প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। ফলে গত দু দিনে সরকারের ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে আমদানীকৃত পণ্য মাপার ওয়েইং স্কেলে বিজিবি প্রত্যাহারের দাবিতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানী রফতানী বাণিজ্যসহ পণ্য খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। আমদানী রফতানী বন্ধ থাকায় দুদেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্য বোঝাই ট্রাক। বৈধ রুটে আমদানিকৃত পণ্যচালানে কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রমের বাইরে বিজিবির কাষ্টমস আইন বহির্ভূত হস্তক্ষেপের ফলে বেনাপোলের সামগ্রিক বাণিজ্য ও রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান। গতকাল সোমবার দুপুরে বেনাপোল চেকপোষ্ট ও রফতানী টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা যায় দ’ুদেশের বন্দর এলাকায় শত শত আমদানী কৃত পণ্য বোঝাই ট্রাক দাড়িয়ে আছে যত্রতত্র।
বেনাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের এমদাদুল হক লতা জানান, সুপ্রীম কোর্টের রায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আইন এবং বিভিন্ন সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্দেশনা বিজিবি উপেক্ষা করে বন্দর ও কাস্টমস ওয়েইং স্কেলে বসে আমদানি পণ্য চালানের ওজন পরিমাপ করা শুরু করলে বিজিবি ,কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত শনিবার থেকে বিজিবির কয়েকজন সদস্য বন্দর ও কাস্টমস ওয়েইং স্কেলে বসে আমদানিকৃত পণ্য চালানের মালামাল নিজেরাই ওজন করতে থাকে। বিজিবি বন্দর এলাকায় আমদানী ও রফতানী কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করায় ব্যাহত হচ্ছে রাজস্ব আদায় ।
বিজিবি বলছেন, তারা জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির ৬০ তম সভার কার্যবিবরণীর গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক বন্দর ও চেকপোস্ট সমূহে আমদানিকৃত মালামাল ওজন করার সময় বিজিবির প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবে।
তবে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কার্যক্রম সম্পাদনে উল্লিখিত আইন, প্রজ্ঞাপন ও বিধি বিধান উপেক্ষা করে কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রমে বিজিবির এহেন কর্মকান্ড সম্পূর্ণভাবে আইন বহির্ভূত।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়েছে পত্র নথি নং-০৮.০১.০০০০.০৬৩.০১.০০৬.১৫/৭৬, তারিখ : ০২/০৮/২০১৫ খ্রি. পত্রে বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে আমদানিকৃত নয় এমন পণ্য পরিবহন তথা চোরাচালান রোধকল্পে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে টাস্কফোর্সের আওতায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ উক্ত পত্রে বিল অব এন্ট্রির পণ্য টাস্কফোর্সের আওতা বহির্ভূত রাখা হয়েছে।
দিকে ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে; কর্নেল আরিফুল হক জানান জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির ৬০ তম সভার কার্যবিবরণীর গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপেক্ষিতে কাষ্টমস ও বন্দরের দুটি ওয়েইং স্কেলে আমদানীকৃত মালামাল ওজন করার সময় বিজিবির প্রতিনিধি উপস্থিত নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় এ ধরনের প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেনাপোল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ