Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ৫:৫৮ পিএম

মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক নিয়োগে ৩৫ বছরের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর আগে বয়সসীমা না রেখেই ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কারিগরি ও মাদ্রাসা)-এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এতে বিতর্ক ওঠায় নীতিমালায় বয়সের বিষয়টি নতুন করে সংযোজন করা হচ্ছে। এরসাথে শিক্ষকদের বদলির বিষয়টিও যুক্ত হচ্ছে খসড়া নীতিমালায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫ বছর রাখা হচ্ছে। বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার মতোই থাকছে এতে। খসড়া চূড়ান্ত করার পর সচিব, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী অনুমোদন দিলে নীতিমালাটি জারি করা হবে।’

সম্প্রতি নীতিমালাটির খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তিনি বলেছিলেন, ‘কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা রাখা হচ্ছে না। কারণ, সাধারণ শিক্ষার সাথে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার পার্থক্য রয়েছে। অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্যই বয়সের বাধা রাখা হয়নি।’

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে। ওই নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয় ৩৫ বছর। পাশাপাশি বদলির ব্যবস্থাও রাখা হয়।
কিন্তু ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কারিগরি ও মাদ্রাসা)-এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ চূড়ান্ত করা হয় বয়সসীমা নির্ধারণ না করেই। এতে বিতর্ক দেখা দেয়। প্রশ্ন ওঠে দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষকদের নিয়োগ পেতে বয়স ৩৫ বছর থাকবে আর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিয়োগে কোনও বাধ্যবাধকতা থাকবে না সমমানের পদে নিয়োগে এই নিয়ম অনৈতিক।

কিন্তু এই সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারেনি কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উঠলে তা পরিবর্তন করে নতুন করে বয়সসীমা ৩৫ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি খসড়া চূড়ান্ত করার কাজ করা হচ্ছে নতুন করে। এতে চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা নির্ধারণ ছাড়া বদলির ব্যবস্থা থাকছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, ‘সরকার চাইলে যে কোনও সময় কোনও শিক্ষককে বদলি করতে পারবেন বদলি নীতিমালা করে।’

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) এ কে এম জাকির হোসেন ভুঞা বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিমালাটি অনুমোদন দিয়েছে। মাদ্রাসা ও কারিগরির ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য আছে। সেগুলো ঠিক করে আগামী সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর থেকে জানা গেছে, দেশে মোট মাদ্রাসার সংখ্যা ৯ হাজার ১৩৭টি। মোট শিক্ষক এক লাখ ২৫ হাজার ৩৪৪ জন। এর মধ্যে দাখিল ও কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষক রয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৭ জন, এবতেদায়ি শিক্ষক ৪ হাজার ৫২৯ জন এবং আইসিটি শিক্ষক রয়েছেন ১ হাজার ২২৮ জন।

মোট মাদ্রাসার মধ্যে এমপিওভুক্ত দাখিল-কামিল মাদ্রাসা ৭ হাজার ৬১৮টি। অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র এবতেদায়ি এক হাজার ৫১৯টি।

সম্প্রতি অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাসহ আরও বেশ কিছু মাদ্রাসা অনুদান না পাওয়া এবং নন-এমপিও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।



 

Show all comments
  • মোঃ হেলাল উদ্দিন ১৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:৩৬ এএম says : 0
    শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।বেসরকারী স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষায় প্রবেশের যোগ্যতা যদি একই হয় তাহলে শিক্ষা নীতিমালা সকলের জন্য একই হওয়া উচিত বৈকি।এখানে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ যেহেতু একই প্রক্রিয়ায় তাহলে নীতিমালায় কেন পার্থক্য সৃষ্টি করা হবে।সকল শিক্ষা ক্ষেএে যোগ্য তা সম্পন্ন শিক্ষক প্রয়োজন এটা বতমান সরকার ভালো করেই জানেন।সুতারাং সকল শ্রেণীর শিক্ষকদের ও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত ।হোক সেটা বেতন হোক সেটা বয়স আর হোক সেটা বোনাস ।তবে কেনই বা মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা কে সরকার স্কুল কলেজ থেকে আলাদাভাবে মূল্যয়ন করতে সর্মথন করবে সেটা বোধ্গম্য নয়।আমার বিশ্বাস বতমান সরকার মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা র ক্ষেএে যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন তা জনগণ সহ অএ পেশায় নিয়োজিত শিক্ষক বা সম্মানিত হুজুর বা আলেম সম্প্রদায় কোনদিন মন থেকে বতমান সরকারকে ভুলতে পারবে না আমার সহ অন্যদের দৃঢ় বিশ্বাস।বতমান সরকারের কাছে আকুল আবেদন যেন সকল শিক্ষা র মান ও শিক্ষক দের যেন সকল ক্ষেএে সমান অধিকার দান মূল্যয়নের মাপকাঠি টিক রাখেন তাহলে দেশ জাতি উপকৃত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • শওকত আলম জাহিদ ১৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:৪৯ এএম says : 0
    দেশ যেহেতু একই সকল শিক্ষা ও শিক্ষকের মানদন্ড ও একই হওয়া উচিত ।এটাই সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত আগেরটা ছিলো বৈষম্য তা মূলক।ধন্যবাদ মাননীয় সচিব কে একটু দেরি হলেও তিনি বুঝলেন আরও আন্তঃরিক অভিনন্দন রইলো মানণীয় প্রধান মন্এী শেখ হাসিনাকে যে তিনি সকলের কষ্ট বোঝেন এবং ভাবেন বৈকি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ